নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

চীনে মুসলমান মাত্রই অত্যাচারিত হচ্ছেন - কথাটা কতটা সত্যি?

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২১



বাংলাদেশ ও পশ্চিমা দেশগুলোর পত্রিকাগুলো বেশ কয়েক দিন ধরেই চীনে মুসলমানদের উপর অত্যাচার হচ্ছে বলে ফলাও করে প্রচার করছে। চীনে জিনজিয়াং প্রদেশের রাস্তায় রাস্তায় মুসলমান পুরুষ-মহিলাদের অপমানিত করা হচ্ছে, স্থাণিয় কর্তৃপক্ষ দোকানগুলো থেকে আরবী ব্যানার নামিয়ে ফেলছে, অনেক নারী-পুরুষকে অন্তরীন রেখে বিচারের সম্মুখীন করা হয়েছে। এমন খবর নাড়া দিয়েছে আমার মতো অনেককেই। চীনের মুসলমানদের ইতিহাস হাজার বছরের। এই শত শত বছরে সেই দেশের মানুষদের মাঝে অনেক গোত্রীয় লড়াই হয়েছে। কিন্তু, তাই বলে শুধুই মুসলমানদের উপর আক্রমন, এ কেমন কথা! প্রশ্নটা অনেকের মতো আমারও ছিলো।

একটু ইন্টারনেটে পত্রিকা ঘাটতেই বিপরীত কিছু চিত্র বেরিয়ে এলো। চীনের মুসলমানরা মূলতঃ দু'টি গোত্রে বিভক্ত- হুই এবং উইঘুর। হুই-রাই চীনে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান। তাঁরা সারা দেশে ছেয়ে আছেন। চীনের রাজধানী বেইজিং-এও হুই মুসলমানদের সংখ্যা কম নয়। পুরো চীনে হুই-দের সংখ্যা প্রায় ১.৫ কোটি।

অন্য দিকে, উইঘুর-রা মূলতঃ চীনেরতীব্বত-ঘেষা জিনজিয়াং প্রদেশেই বাস করেন। এই প্রদেশের অনেক বাসিন্দা গত কয়েক বছর ধরেই 'পুরো পৃথিবী জুড়ে এক ইসলামী রাজ্য' নামক যে আন্দোলন চলছে তাতে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছেন। সেই আন্দোলনে গা ভাসিয়ে তারা জিনজিয়াংবাসীদের মাঝে আলাদা এক স্বত্বা গড়ে তুলছিলেন। যদিও, তাতে চীনের হুই মুসলমানদের সায় ছিলো না। সেজন্যে, হুই অধ্যুসিত এলাকাতেও এই আন্দোলনের রেশ-মাত্র পাওয়া যায়নি।

চীনে মুসলমানদের মেইনস্ট্রিম হুইরা এখনো নিজেদের ধর্ম স্বাধীন ভাবেই পালন করে যাচ্ছেন। এমনকি চীনের কমিউনিস্ট সরকার এতে কোন বাধা দিচ্ছে বলে কোন খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ২০১৪ সালে আমি একবার এক হুই মুসলমানকে জিগগাসা করেছিলাম তাঁরা রোজা রাখতে পারেন কি না। উত্তরে তিনি বলেছিলেন - ''অবশ্যই! শুধু আমি নই, অন্যান্য হুইরাও রাখেন। এটা তো আমাদের উপর ফরজ কাজ।''

যদিও, উইঘুরদের উপর চীনা সরকারের চাপ প্রয়োগের কথা অস্বীকার করা যাবে না। এটা ইসলামের প্রতি বিদ্বেষের কারণে হচ্ছে, তা অবশ্য মনে না করার অনেক কারণ আছে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০৭

জুন বলেছেন: বেইজিং এর ওয়াংফুজিং এলাকা , তিয়েন আনমেন স্কয়ারের কাছে , পর্যটকদের স্বর্গভুমি সেখানে আমি মসজিদ আর হালাল খাবারের রেস্তোরা দেখেছি । পর্যটনে বের হলে ট্যুর গাইড আগেই জিজ্ঞেশ করে নেয় খাবারের ব্যপারে আমাদের কোন পছন্দ আছে কি না । আমরা হালাল খাবারের কথা বললে তার ব্যবস্থা করার আপ্রান চেষ্টা করেছে, তা নিয়ে কোন বিরক্তি বা টিটকারি করতে দেখিনি ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: এই ব্যাপারগুলোতে ইসলাম বিদ্বেষের কোন ছাপ আছে বলে আমি মনে করি না। এটা আসলে অনেকটা সরকার - টেরোরিস্ট সম্পর্কের যের ধরেই হচ্ছে।

২০০৮ সালে অনেক হুই মুসলমানদের উপর আক্রমন করেছিলো উইঘুর মুসলমানরা।

প্লাস ও কমেন্টের জন্যে ধন্যবাদ সহস্র।

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:২৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্যপারটা এত সরল নয়।জটিল রাজনীতি আছে এর মাঝে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: এখানে বসে যতটা কঠিন ভাববেন, মস্তিস্ক জিনিসটাকে তত কঠিন করে তুলবে।

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২১

অন্তরা রহমান বলেছেন: ইদানীং বিশ্ব রাজনীতির হালচাল খুব একটা জানি না তাই কিছুই বলা গেল না।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:২১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ঠিক আছে। পরে যখন আবার আগ্রহ জন্মাবে, তখন জেনে নেবেনক্ষণ। ধন্যবাদ।

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৩০

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আপনি ইন্টারনেট পত্রিকা পড়েই সত্য আবিষ্কার করে ফেললেন, আর নরওয়েতে আমার পরিচিত এক ভারতীয় বন্ধুর উইঘুর স্ত্রীর পাসপোর্ট আটকে রেখেছে চীন সরকার, চীনে তার পরিবারের সকল সদস্যকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে, সে জানেও না তাদের কী অবস্থা, তার পরিবারের ঘনিষ্ট একজনের মৃত্যুতে (সম্ভবত মা বা ভাই, আপনি চাইলে জিজ্ঞেস করে নিব) সে চীনে যেতে পারেনি, বর্তমানে সে স্টেটলেস মানুষ, নরওয়েই একমাত্র ভরসা তার জন্য। চীন সরকার উইঘুরদের উপর কী করছে, আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না! ইন্টারনেটের সবকিছু বিশ্বাস করবেন না, প্রয়োজনে কোনো উইঘুরের সঙ্গে কথা বলুন।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:২৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আমি হুই আর উইঘুর বিভেদে বিশ্বাস করি না। হুইদের উপর উইঘুরদের আক্রমন ও হিসাত্মক বাণী খুব খারাপ বলে মনে হলো।

আমি অস্বীকার করিনি যে, উইঘুরদের উপর চীন সরকার চাপ প্রয়োগ করছে না। তবে, সেই চাপ ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ থেকে কি না সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পুরো পৃথিবী জুড়ে এক ইসলামী রাজ্যের ধারনাটা মোটেই বাস্তবসম্মত নয়।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:২৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আমার কাছেও তা-ই মনে হয়, হেনা ভাই। এটা মোটেও ইসলামসম্মত নয়।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: মুসলমানদের ইতিহাস হলো দাঙ্গা হাঙ্গামার ইতিহাস।
মুসলমানরা পৃথিবীর শান্তি নষ্ট করছে।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:২৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: সব জাতির মতো মুসলমানরাও দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত হয়ে গিয়েছে। এটা তাদের ধ্বংসের কারণ হয়েছিলো, হয়েছে এবং হবে।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৩২

জাহিদ হাসান বলেছেন: চীন যে আসলে কি করছে সে ব্যাপারে আমাদের কোন স্পষ্ট ধারনা নেই। আমরা বিভ্রান্তিতে আছি।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: বিভ্রান্তিতে পড়ার কোন কারণ নেই, ব্লগার জাহিদ হাসান। চোখ-কান খোলা রাখুন। ইনফরমেশন আপনার কাছে এমনিতেই এসে পড়বে। শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.