নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

চীনের বর্তমান সরকার আসলেই কি মুসলমানদের উপর খড়্গহস্ত?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৪



গত বছর পর্যন্ত চীনে ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনা যা সেখানকার হুই ও উইঘুর মুসলমানরা পছন্দ করেনি-

ঘটনা ০১ঃ চীনের 'লিটিল মক্কা'' খ্যাত গুয়ানসু প্রদেশের লিনজিয়া শহরে এখনো সবুজ গম্বুজওয়ালা মসজিদটি টিকে আছে। কিন্তু, মসজিদটির আঙ্গিনায় এখন আর মুসলিম শিশুরা খেলা করে না। তারা সেখানে আসে না আরবী ক্লাস আর নামাজ পড়ার জন্যে।

ঘটনা ০২ঃ ধর্মীয় উগ্রবাদ আর বিচ্ছিন্নতাবাদী মতবাদে ছেয়ে গিয়েছে বলে চীনের আরেকটি মুসলমান অধ্যুষিত এলাকা জিনজিয়াং-এর মুসলমান তরুণ-তরুণীদের বিশেষ 'রি-এডুকেশন ক্যাম্প'- এ পাঠানো হচ্ছে যেখানে কোরআন সাথে রাখা নিষিদ্ধ। সাথে সাথে দাঁড়ি রাখাও।

ঘটনা ০৩ঃ ষোল বছরের উপরে মুসলিম তরুণদের মাঝে যারা মসজিদে গিয়ে কোরআন শিক্ষা নিতে আগ্রহী তাদের সংখ্যাকে নিয়ন্ত্রনের মাঝে রেখেছে চীনের সরকার। নতুন ইমামদের রেজিস্ট্রশন প্রসেস নিয়ন্ত্রন করে আগের চেয়ে কম ইমামদের কর্মক্ষেত্রে আসার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

ঘটনা ০৪ঃ মসজিদ্গুলোতে চীনের পতাকা উড়ানো আর শব্দ করে আজান দিয়ে 'শব্দ দূষণ' না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে একটি এলাকার ৩৫৫টি মসজিদ থেকে লাউড স্পিকার অপসারণ করা হয়েছে।

এসব ঘটনা মোটেই ভালো চোখে দেখছেন না চীনের মুসলমানেরা। আমার এক বন্ধু'র ছোট বোন তা-ই বললেন। সেই দেশের একজন ইমামের সাথে সে কথা বলে এসব ঘটনা জানতে পারে আমার বন্ধুর ছোট বোনটি। ঐ ইমাম আরো জানান যে, সরকার এইসব নীতি অনুসরণের ফলে তরুণরা ধীরে ধীরে ইসলাম থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। ইসলামকে তার মূল বা জড় থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতেই এসব করা হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। তাঁর মসজিদে ১০০০-এরও বেশি শিশু কোরআন পড়তে আসতো। এখন সেই কম-বয়সী শিশুদের এমনকি মসজিদে আসতেও বাধা দেওয়া হয়। তাঁর মসজিদটিতে এখনো সৌদি আরব থেকে আসা কোরআনগুলো আছে। অথচ, বর্তমানে তাঁর মসজিদে ১৬ বছরের উপর বয়সী তরুণের সংখ্যা মাত্র ২০ জন।

আর, এভাবেই মুসলমানদের উপর চাপ প্রয়োগের নীতি অবলম্বন করেছে বর্তমান চীন সরকার। চীনের মুসলমানরা এটা কিভাবে গ্রহণ করছেন? এমনই এক প্রশ্নের জবাবে মসজিদের এক নারী কেয়ারটেকার কাঁদতে কাঁদতে জানালেন যে, তাঁরা খুবই ভয় পাচ্ছেন। এমন চলতে থাকলে এক বা দুই জেনারেশন পর চীনে ইসলামী ঐতিহ্য বলে কিছু থাকবে না। তাঁর ১০ বছর বয়সী ছেলেটি আগে ৫ ঘণ্টা করে মসজিদে যেতো। তিনি তাঁকে একজন ইমাম বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, ছেলেটির স্কুলের শিক্ষক তাকে কিভাবে টাকা বানানো যায় আর কমিউনিস্ট পার্টির একজন ক্যাডার হওয়া যায়, সেই শিক্ষা দিচ্ছেন।

চীনের সর্বত্রই বুঝি এমনটা ঘটছে। এমনকি হুই মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাতেও। যদিও হুইরা নিজেদেরকে উইঘুরদের চেয়ে আলাদা মনে করেন। এমনই একজন হলেন লিনজিয়া শহরের এক হেয়ারড্রেসার- মা জিয়ানসাই। তাঁর মতে, উইঘুররা ইসলাম পালন করলেও খুবই উগ্র আর রক্তপিপাসু। তারপরো সরকার আমাদের উপর এমন দমন নীতি চাপিয়ে দিচ্ছে!

চীনের বর্তমান সরকারের এমন নীতি কিভাবে চীনকে একুশ শতকে এক মহান দেশে পরিণত করছে তা নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন আছে।





মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪০

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: কি যে করছে চীন সরকার তা বলার বাইরে। রিসেন্টলি আল জাজিরার বেশ কয়েকটি রিপোর্ট এসেছে এ নিয়ে। ভয়ানক অবস্থা।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আমি কমিউনিস্টদের বিপক্ষে নই। কিন্তু, তারা এমন কান্ড করছে শুনে সত্যিই হতভম্ব হয়ে যেতে হয়। ধর্মীয় স্বাধীনতা সবারই উপভোগ করা দরকার।

অনেক দিন পর আপনাকে ব্লগে দেখে ভালো লাগছে।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: চীণারা ধর্ম নিয়ে মাথা কম ঘামায়।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: একুশ শতকে কতজন চীনা নাগরিক ধর্ম পালন করেন তা নিয়ে একটি জরিপ চালানো হয়েছিলো। তাতে উঠে আসে চীনের ৮০% মানুষ কোন না কোন ধর্ম পালন করেন। এই ধার্মিক মানুষদের মাঝে ১০-১৬% বৌদ্ধ, ১০% তাও ধর্মের, ২.৫২% খ্রিস্টান এবং ০.৪% মুসলমান।

এরপরো কি চীনাদের অধার্মিক বলবেন?!!!

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:১৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: সত্যপথের ভাই, জরিপটা কি নিজে করেছেন?

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:১৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ব্লগার রাজীব নুরকে দেওয়া তথ্যটি আমি ২০১০ সালে আমেরিকার পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অন রিলিজিয়ন এন্ড চায়নিজ সোসাইটি'র করা 'চায়নিজ স্পিরিচুয়াল লাইফ সারভে' থেকে নিয়েছি।

জিজ্ঞাসা করার জন্যে ধন্যবাদ।

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:২৮

অগ্নিবেশ বলেছেন: সত্যপথের ভাই, বেইজিং, সাংহাই, সেনইয়াং, হাংঝৌ ঘুরিয়া একটাও ধার্মিক পাইলাম না। আমার পোড়া কপাল।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ঐদিকের মানুষ হয়তো লুকিয়ে ধর্ম পালন করছে। নাহলে থাকবে না কেন! বেইজিং-এ তো অনেক হুই মুসলমান আছেন। ধন্যবাদ।

৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৫২

অগ্নিবেশ বলেছেন: সত্য পথের ভাই, অনেক বলতে কত?

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:১১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: অনেক বলতে আসলে যা বোঝায় তেমন আমি বুঝাতে চাইনি। সঠিক পরিসংখ্যানটি এই মুহুর্তে আমার কাছে নেই। তবে, যারা দিতে পারবে, তাঁদের নাম্বার আছে আমার কাছে।

এই নাম্বারটায় কল করলে অনেক মুসলিমের সাথে পরিচয় হবে আপনার - +86 10 6353 2564

এটা বেইজিং-এর নাইউজি মসজিদের নাম্বার। আপনি একলা বোধ করলে, এখানে আসতে পারেন। তাঁরা আপনাকে অনেক তথ্য দিতে পারবেন।

আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার কাজে লেগেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.