নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

হযরত আবু যর গিফারী (রাঃ) - শাসকের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করায় যিনি নির্বাসিত হয়ে মরুভূমিতে মৃত্যুবরণ করেছিলেন

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩



''আমার লোকদের মধ্যে আবু যরের আত্মত্যাগ ও আল্লাহভীতি মরিয়ম তনয় ঈসা'র মতো।''... মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এই কথাই বলেছিলেন হযরত আবু যর গিফারী (রাঃ) সম্পর্কে। অথচ, এই মানুষটিকেই ইসলামী রাজ্যের শাসনকর্তার নির্দেশে নির্বাসনে থাকার সময় মরুভুমিতে মৃত্যুবরণ করতে হয়।

আরবে তখন হযরত উসমান (রাঃ)-এর শাসন চলছে। হযরত উসমান নিজ বংশের মানুষদের বিশ্বাস করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছিলেন। অথচ, এই মানুষগুলো হযরত উসমানের সরল মনের সুযোগ নিয়ে নিজ দেশে অশান্তির কালো আগুন ছড়াতে লাগলো। এই লুটেরারা এই সুযোগে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নিজেদের করতলে নিয়ে নিলো।

হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) তখন সিরিয়ার গভর্নর। হযরত আবু যর গিফারী, খলিফা হযরত উমর (রাঃ)-এর শাসনামল থেকেই সিরিয়াতে অবস্থান করছিলেন। আবু যর সেখানে উপদেশ প্রদান, ধর্ম প্রচার, সৎপথ প্রদর্শন এবং মহানবী (সাঃ)-এর পরিবারের মানুষদের মহত্ত্ব সম্পর্কে সিরিয়ার মানুষদের ওয়াকিবহালে ব্যস্ত ছিলেন। হযরত উসমান যখন শাসক হলেন, এরপর থেকেই হযরত আবু হযরত উসমানের সমালোচনা করতে থাকেন। গভর্নর হযরত মুয়াবিয়া এটা পছন্দ করতেন না। তাই, তিনি খলিফার নির্দেশে জীনবিহীন একটি উটে করে হযরত আবু যরকে মদিনা পাঠিয়ে দেন।

মদিনাতে পৌঁছেও তিনি শাসক হযরত উসমানের বিরোধীতা করতে লাগলেন। হযরত উসমানকে দেখতে পেলেই তিনি পবিত্র কুরআনের এই আয়াতটি পাঠ করতেন-

''...আর যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য পুঞ্জিভূত করে এবং তা আল্লাহ'র রাস্তায় ব্যয় করে না তাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তির সংবাদ দাও। সে দিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তা দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্ব এবং পৃষ্ঠদেশে দাগ দেওয়া হবে। সেদিন বলা হবে, এটিই সেই (জিনিস) যা তোমরা নিজেদের জন্যে পুঞ্জিভূত করতে।'' [আল-কুরআন, ৯ঃ ৩৪-৩৫]

এক পর্যায়ে, হযরত মুয়াবিয়া হযরত আবু যরকে মদিনা থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই সাথে বলে দেন, তাঁর যাওয়ার সময় কেউ যেন তাঁকে বিদায় জানাতে না আসেন। কিন্তু, হযরত মুয়াবিয়ার কথা অমান্য করে হযরত আলী (রাঃ), হযরত হাসান (রাঃ), হযরত হুসাইন (রাঃ), হযরত আকীল (রাঃ), হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর (রাঃ) এবং হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ)- এই ৬ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হযরত আবু যর (রাঃ)-কে বিদায় সংবর্ধনা দিতে আসেন। সেই সমাবেশে হযরত আলী (রাঃ) বলেন-

''হে আবু যর। তুমি আল্লাহর নামে ক্রোধ দেখিয়েছিলে। সুতরাং, যার উপরে রাগান্বিত হয়েছিলে, তার বিষয়ে আল্লাহতে আশা রেখো। মানুষ তাদের জাগতিক বিষয়ের জন্যে তোমাকে ভয় করতো, আর তুমি তোমার ইমানের জন্যে তাদেরকে ভয় করতে। কাজেই, তারা যেজন্যে তোমাকে ভয় করে তা তাদের কাছে রেখে দাও আর তুমি তাদেরকে যেজন্য তাদেরকে ভয় করো তা নিয়ে বেরিয়ে পরো।

যে বিষয় হতে তুমি তাদেরকে বিরত করতে চেয়েছিলে, তাতে তারা কতই না আসক্ত এবং যে বিষয়ে তারা তোমাকে অস্বীকার করেছে উহার প্রতি তুমি কতই না নির্লিপ্ত। অল্পকাল পরেই তুমি জানতে পারবে আগামীকাল (পরকালে) কে বেশি লাভবান আর কে বেশি ঈর্ষনীয়। এমনকি সমগ্র আকাশ ও পৃথিবী যদি কারো জন্য রুদ্ধ হয়ে যায় এবং সে যদি আল্লাহকে ভয় করে, তবে আল্লাহ তার জন্যে তা খুলে দিতে পারেন।

শুধু ন্যায়পরায়নতা তোমাকে আকর্ষণ করে এবং এবং অন্যায় তোমাকে বিকর্ষন করে। যদি তুমি তাদের জাগতিক বিষয়ের প্রীতি গ্রহণ করতে, তাহলে তোমাকে তারা ভালোবাসতো এবং যদি তুমি তাদের সাথে তাতে অংশগ্রহণ করতে, তবে তারা তোমাকে আশ্রয় দিতো।''


আর, এভাবেই, মদীনা থেকে বের করে দেওয়া হয় হযরত আবু যর (রাঃ)। তিনি তাঁর মেয়েকে-সহ মরুভূমিতে জীবিকার সন্ধানে যখন ঘুরে বেরাচ্ছিলেন, একটু বিশ্রামের জন্যে মরুভূমিতে একটি গাছও খুঁজে পাচ্ছিলেন না, তখন, মৃত্যু তাঁর কাছে এসে দাঁড়ায়। সেই সময়ে তিনি তাঁর মেয়েকে বলেন-

''বিচলিত হয়ো না। রাসূল (সাঃ) বলেছেন আমার অসহায় অবস্থায় মৃত্যুবরণ হবে এবং কয়েকজন ইরাকী আমাকে দাফন-কাফন করবে। আমার মৃত্যুর পর আমাকে চাঁদরে ঢেকে রাস্তার পাশে বসে থেকো এবং কোন যাত্রীদল যেতে থাকলে তাদেরকে বলবে- রাসূলের প্রিয় সাহাবী আবু যর মারা গিয়েছে।''








''




মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আপনার কি মাথা ঠিক আছে ? "শাসকের অন্যায়" বলিতে কি আপনি হজরত ওসমান রা. বা হজরত মুয়াবিয়া রা. এর অন্যায় (!) বোঝাইতেছেন ? (নাউযুবিল্লাহ !) কারণ তখন খলিফা ছিলেন ওসমান রা. এবং গভর্নর ছিলেন মুয়াবিয়া রা. !

আপনার কাছে এমন পোস্ট আশা করি নাই !

সাহাবী রা. দের সমালোচনাকে নিষিদ্ধ করা হইয়াছে ! তাহাদের মতবিরোধে নীরব থাকিতে বলা হইয়াছে ! আপনি তাহা লঙ্ঘন করিতেছেন ! সাহাবী রা. দের সমালোচনা, দোষচর্চা তো হেদায়েত হইতে দূরে সরিয়া যাওয়ার লক্ষণ ! ইহাতো পাঁঠা , ছাগু ও শিয়া সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্য !

আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুন ! আমিন !

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনি কি হেদায়েতের ঠিকাদার?

একজন শাসকের অন্যায়কে অন্যায় বলা যাবে না, এটা কোথায় পেলেন? সাহাবী এবং খলিফা - দুই স্বত্বা। খলিফা দোষ করলে, তাঁর প্রতিবাদ করা যাবে।


আর, আমাকে এক ব্লগার একবার ছাগু ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি্লো, আমি তাকে হারামীর বাচ্চা বলেছিলাম। পরে, সামনা-সামনি দেখা হওয়ার পরে, থাপ্পরও দিয়েছিলাম।


২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: সৎ ও সত্যের পথে এরকম মৃত্যু শুধু একটি স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনের উদেশ্যে গমন।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: শিরোণামেই অনেক কিছু বলে দিয়েছেন।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ধন্যবাদ নিরন্তর।

৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কাশেম সোলাইমানির হত্যা ঘটনায়ও মোল্লারা দুই ভাগ হয়ে গেছে।
সাধারন মুসলিমরা তীব্র নিন্দা করলেও
জামাত সমর্থকরা বলে কাজটা ভালই হয়েছে। শিয়ারাই সহ গ্যাঞ্জামের মুল। শিয়া তো মোসলমানই না।

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আপনি কি হেদায়েতের ঠিকাদার?

হেদায়েত একমাত্র আল্লাহতায়ালার হাতে। আমি আপনার কল্যাণকামী হিসেবেই আপনার জন্য হেদায়েতের দোয়া করিয়াছি , আপনাকে সতর্ক করিয়াছি !

একজন শাসকের অন্যায়কে অন্যায় বলা যাবে না, এটা কোথায় পেলেন? সাহাবী এবং খলিফা - দুই স্বত্বা। খলিফা দোষ করলে, তাঁর প্রতিবাদ করা যাবে।

আপনি কোথায় পাইয়াছেন সাহাবী রা. শাসক হইলে বা খলিফা হইলে সমালোচনা করা যাইবে ? আর আপনার জানা ভুল আছে ! আপনি কোন ভালো আলেমের কাছে গিয়া শুনিয়া নিন। মিরপুরে আল মারকাজুতদাওয়াতে যাইতে পারেন।অথবা তাহাদের পত্রিকা আল-কাউসারে প্রশ্ন করিতে পারেন !

আর, আমাকে এক ব্লগার একবার ছাগু ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি্লো, আমি তাকে হারামীর বাচ্চা বলেছিলাম। পরে, সামনা-সামনি দেখা হওয়ার পরে, থাপ্পরও দিয়েছিলাম।

আপনি আমার মন্তব্য ভালো করিয়া পড়ুন ! আমি ইহাকে ছাগুদের বৈশিষ্ট্য বলিয়া আপনাকে সতর্ক করিয়াছে , ইহা হইতে বিরত থাকিতে বলিয়াছি ! ইহার প্রতিউত্তরে আপনি যাহা বলিয়াছনে তাহাতে দুঃখ পাইলাম !

আপনার পোস্টে আর মন্তব্য করিব না ! আসসালামুআলাইকুম !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.