নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে চিকিৎসা সেবা পুরোপুরি ফ্রি করে দিতে যা করা প্রয়োজন

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩১



২০১৫ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৫,৮১৬টি হসপিটাল ও ক্লিনিক রয়েছে। এইসবগুলোকে যদি বাংলাদেশ সরকার পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপের আওতায় নিয়ে এসে জনগণকে সেবা দান শুরু করে, তখন কি হবে? সরকারের কর্ম-পরিকল্পনা ও জমি এবং প্রাইভেটের দক্ষতা মিলে বাংলাদেশে কি ফ্রি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিৎ করা সম্ভব? কেউ যদি করতে চান, তাহলে কি কি করতে হবে?

প্রথমেই আসি, বাংলাদেশে বর্তমানে কত জন ডাক্তার ও নার্স আছেন, আর কতইবা আসলে প্রয়োজন। ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি ১০,০০০ জনের জন্যে ৩.৫ জন ডাক্তার এবং ১.০৭-জন নার্স রয়েছেন। আসলে, কত জন ডাক্তার ও নার্স প্রয়োজন? এক্ষেত্রে, যদি সুইজারল্যান্ডকে আমরা যদি অনুসরণ করি, তাহলে, প্রতি ১০০০ জনের জন্যে লাগবে ৩.৬০ জন ডাক্তার এবং ১৮ জন নার্স। সেই হিসেবে, বাংলাদেশ বর্তমানে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার ডাক্তার এবং ২৭ লক্ষ নার্সের প্রয়োজন। আর, এই ডাক্তারদের গড় বেতন যদি বছরে ১২ লক্ষ টাকা হয়, তাহলে সরকারের ৬৪,৮০০ কোটি প্রয়োজন প্রত্যেক বছর। যদি পাবলিক -প্রাইভেট পার্টনারশীপ মডেলে যাওয়া হয়, তাহলে তো এই ব্যয় ভার অনেক কমে যাবে। সেই সঙ্গে দরকার নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান, রেজিস্ট্রার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী'র জন্যে লাগবে আরো প্রায় ৬,৪৮,০০০ কোটি টাকা।

আর, প্রতি ১০০০ জনের জন্যে ৩টি হসপিটাল ব্যাডের প্রয়োজন হলে, প্রায় ৫ লক্ষ ২৫ হাজার হসপিটাল ব্যাড আর ১,০৫০টি হসপিটাল প্রয়োজন হবে যার একেকটিতে থাকবে ৫০০ ব্যাড। এই অত্যাধুনিক হসপিটালগুলো একেকটি বানাতে ১০০ কোটি টাকা খরচ হলে ১০৫০ বিলিয়ন টাকার প্রয়োজন। এভাবে, বছরে যদি একেক জনের গড়ে ৫০০০ টাকার ওষুধ লাগে, তাহলে, ৮৭৫০ বিলিয়ন টাকার ঔষধ লাগবে। আর, ইলেক্ট্রনিক হেলথ রেকর্ডের আওতায় নিয়ে আসা হলে, প্রেস্ক্রিপশন বা অন্যান্য কাগজ-পত্র যা লাগবে, সেগুলোর খরচও আর লাগেবে না।

এই বিশাল ব্যয় কি সরকার বহন করতে পারবে? পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপের মডেলে চলে আসলে হয়তো পারবে। এক্ষেত্রে, হেলথ ইন্সুরেন্সের ব্যবস্থা করে দেওয়া হলে, ব্যয় ভার কমে আসবে। প্রতিটি মানুষকে যদি নূন্যতম ট্যাক্সের আওতায় নিয়ে আসা যায় তাহলেও সম্ভব। আর, সবচেয়ে ভালো হবে, সরকার যদি রাজস্ব আয় থেকে আন্তর্জাতিক কোন লাভজনক ব্যবসায় বিনিয়োগ করে এবং প্রফিটের টাকা স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করে, তাহলে তো কথাই নেই!

সরকার কি তা পারবে?

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:১৪

আল-ইকরাম বলেছেন: একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোক পাত করার জন্য আপনাকে মোবারকবাদ জানাই। আসলে মহান আল্লাহ্ পাক্ এর অনুগ্রহ আর আমাদের সদ ইচ্ছা থাকলে জগতের কোনো কল্যাণকর কাজই অসম্ভব নয়। প্রয়োজন শুধু নিজেদের ভুল গুলো সংশোধন করত বিচক্ষণতার সাথে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া ও তা বাস্তবে রূপ দিতে নিরলস কাজ করে যাওয়া। এক্ষেত্রে সরকারের যেমন দায়িত্ব আছে তেমনি আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব আছে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করা। জরুরী সচেতন হওয়া এবং নিজেদের ভুল, অপকর্ম, দুর্নীতি, অসংগতি গুলোকে নিজেরাই চিরতরে দূর করতে ব্রতী হওয়া। যেখানে কোনো কল্যণকর কাজে সরকার ও জনগণের সন্মিলিত উদ্দ্যোগ ও প্রচেষ্টা থাকে সেখানে আল্লাহ্ সুবাহান আল্লা তায়ালার রহমত বর্ষিত হয় । তাই তখন কোনো বড় কাজই আর বড় ও দুঃসাধ্য বলে মনে হয় না। সহজেই তা সম্পাদন করা সম্ভব হয়। সময় এসেছে এই দিকটি আমাদের গভীর ভাবে ভেবে দেখার। শুভ কামনা রইল।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়া এবং মন্তব্যের জন্যে।

আসলে ইচ্ছাটাই বড়। তারপরে দরকার সঠিক পরিকল্পনা এবং চেষ্টা। তারপরেই, ফলাফল আসবে।

আমরা খুব শীঘ্রই তা করতে পারবো বলে আশা রাখি।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আয়তনে অনেক ছোট ও কম সম্পদের দেশ বাংলাদেশ। এর জন সংখ্যা আয়তনের তুলনায় অনেক অনেক বেশী। আপনার চিন্তা ভাবনা ভালো। তবে এটা বাস্তবায়তন এই দেশে আশা করা যাবে না।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: অনেক কিছুই আছে, যা প্রথমে মনে হয়, করা যাবে না।

বিশাল কোন কিছু করতে গেলে, আগে ছোট পরিসরে করতে হয়। তারপরে, তা বিস্তৃত করা লাগে।

ছোট একটা উপজেলা দিয়েই শুরু করা গেলে, তা দেশের অন্যান্য প্রান্তেও ছড়িয়ে দেওয়া যাবে।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


চিকিৎসা ব্যবস্হা ফ্রি করার আইডিয়াটা সঠিক; তবে, আপনার হিসেবপত্র, ১৯ কোটী মানুষের চিকিৎসাকে ফ্রি করার জন্য যেই ব্যয়, সেটা কিভাবে আয় করতে হবে, ইত্যাদি নিয়ে আপনি যেই পরিমান ভুল আইডিয়ার কথা বলেছেন, ইহা হতাশ হওয়ার মতো।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
সঠিক আর বেঠিক মিলিয়েই মানুষ। আমিও এর উর্ধে নই।

আমি ১৫ কোটি মানুষ ধরে হিসেবটা করেছি।

আর, আমি সরকার কিভাবে আয় করতে পারে সেটার একটি সমাধান দিয়েছি। যেসব দেশ স্বাস্থ্য খাতকে ফ্রি করেছে, তাঁদের একটি বিরাট আয় আছে বলেই করেছে।

আমাদের দেশও তাদেরকে ফলো করা উচিৎ।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন:
যে ধরনের ডাক্তার সেই রকম সরকার । মনে হয় না ফ্রী করবে কখনো

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
সরকার পারবে। ঠিকই একদিন তাঁরা সেটা করে ফেলবেন।

ধন্যবাদ নিরন্তর।


৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র দেশে তা কি সম্ভব।
এরকম আবেগের চিন্তা মাঝে মাঝে আমার মধ্যেও আসে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
একবারে হয়তো করে ফেলা যাবে না। ধাপে ধাপে করতে হবে।

প্রথমে, ১-২টা উপজেলায়। তারপরে, অন্যান্যগুলোতে। এভাবেই সম্ভব।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনি অনেক বিষয়ে লিখতে চান, কোনটাই সঠিক হয় না।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
এই তো কমেন্ট করা হচ্ছে। এভাবেই মাথা ঠান্ডা রেখে কমেন্ট করতে হয়।

তবে, আপনাকে আরো একটু শিখতে হবে ব্লগে কিভাবে কমেন্ট করতে হয়।

ঠান্ডা মাথায়ও সুন্দর করে গুছিয়ে লিখে একজনকে বাঁশ দেওয়া যায়। ;)

চিয়ারস!

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "আর, আমি সরকার কিভাবে আয় করতে পারে সেটার একটি সমাধান দিয়েছি। যেসব দেশ স্বাস্থ্য খাতকে ফ্রি করেছে, তাঁদের একটি বিরাট আয় আছে বলেই করেছে।

আমাদের দেশও তাদেরকে ফলো করা উচিৎ। "

-আমাদের দেশ কোন দেশকে ফলো করা উচিত বলে আপনি মনে করেন?

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমি কিন্তু আলাদ কোন একটি দেশের বলিনি।

বলেছি- 'যেসব দেশ', অর্থাৎ, দেশসমূহকে।

ধন্যবাদ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
এই দেশগুলোগুলোর মধ্যে আমি যাদেরকে মনে করি ফলো করা উচিৎ, সেগুলো হচ্ছে-

ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, বেলজিয়াম, কিউবা, ইউ কে ।

ধন্যবাদ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


এবং নরওয়ে অবশ্যই।

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের শতকরা ৬০ ভাগ মানুষের 'রেগুলার' চাকুরী নেই; এরা নিয়মিতভাবে 'হেলথ ইন্সুরেন্চ'এর পরিমিয়াম দিতে পারবে না; সেই ক্ষেত্রে "কিউবার" হেলথ কেয়ার'এর মডেল অনুসরণ করতে হবে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

আমি মনে করি, আলাদা করে কোন দেশকেই ফলো করা উচিৎ নয়।

সরকারের কাছে হিসাব থাকে, কারা ভালো আয় করেন। তাই, যারা হেলথ ইন্সুরেন্সের প্রিমিয়াম দিতে পারবেন, তাঁদের জন্যে তা ঠিক করে দিলেই হবে।

আর, যারা পুরোপুরি পারবেন না, কিছুটা পারবেন, তাঁদের প্রিমিয়ামের একটা অংশ সরকার দিবেন।

আর, যারা একেবারেই পারবেন না, তাঁদের সমস্তটাই সরকার বহন করবেন। তবে, শর্ত এই যে, যদি কখনো এইসব মানুষ আয় করা শুরু করে, তাহলে, সরকারকে সেই টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে ধাপে ধাপে।

ধন্যবাদ।

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৯

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: ভাই, হাজার টাকা ভিজিট দিয়েই ডাক্তারের সময় পাওয়া যায় না!

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ডাক্তারের অভাব তো!

তবে, টেলি-মেডিসিনের যুগে একটা কিছু ব্যবস্থা হয়েই যাবে।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

১০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৭

মা.হাসান বলেছেন: হেলথ ইন্সুরেন্স জরুরি প্রয়োজন।
একজন খারাপ ডাক্তার (সবাই না) অপ্রয়োজনেও দশটা ওষুধ লেখেন। ডাক্তারের চেম্বার থেকে রোগী বের হলে এম আর প্রেসক্রিপশন চেক করে দেখে ডাক্তার তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে অন্য কোম্পানির ওষুধ লিখলো কি না। ইন্সুরেন্স থাকলে ইন্সুরেন্স কম্পানি ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করতে পারবে কোন কারনে ডাক্তার কোন ওষুধ দিলেন।
ইন্সুরেন্সের প্রিমিয়াম স্বচ্ছল পেশেন্ট নিজে দেবেন। গরীব লোকেরটা পার্শিয়ালি সরকার দেবেন। সুবিধার কিছু পার্থক্য থাকবে (হাসপাতালে বেড না ফ্লোর ইত্যাদি)।
এর আগে অনলাইন পেশেন্ট ডাটা বেজ থাকতে হবে।
একদিনে সম্ভব না। তবে আওয়ামীলীগ আরো অনেক দিন ক্ষমতায় থাকবে। সদিচ্ছা থাকলে সম্ভব। নাসিমের মতো চোর আর জাহিদ মালিকের মতো পিপিপি মন্ত্রী দিয়ে সম্ভব না। যাদের চিন্তা করার তারা করে না। আপনি সময় নষ্ট করেন ক্যানো?

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:১৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

মা.হাসান ভাই,

আমরা তো উনাদের অনেক পরের জেনারেশন। উনাদের পরে এক সময়ে আমাদেরকেই এই দেশের হাল ধরতে হবে। আমাদের সাথী বা সম-বয়সীরাই একেকজন একেক দিকে নেতৃত্ব দিবেন। আমাদেরও ডাক আসতে পারে।

সেই হিসেবে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ভালো। :)

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:১৩

রাজীব বলেছেন: কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। দিল্লিতে কেজরিওয়াল কিন্তু করে দেখিয়েছেন। যদিও এক সময় লোকজন বলেছে এগুলো কেজরিওয়াল এর রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি। কিন্তু ৫ বছরের মধ্যেই উনি স্বাস্থ্য সেবা ফ্রী করেছেন।

আমাদের পাশে ভারতের একটি রাজ্যে এটি সম্ভব হলে আমাদের এখানে সম্ভব হবে না কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.