নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৈয়দা হুররা - পৃথিবী\'র ইতিহাসে একমাত্র মুসলমান নারী জলদস্যু

১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৩৪



সৈয়দা হুররা-এর নাম হয়তো অনেকেরই অজানা।..তিনি ছিলেন মুসলমানের ইতিহাসে একমাত্র নারী জলদস্যু!

জলদস্যু নামটি শুনলেই কেমন গা শিউরে উঠে...কিন্তু, যখন জানবেন যে, স্পেনের গ্রেনাডার শাসক পরিবারের সন্তান সৈয়দা হুররাকে কিভাবে ছোটকালে শরণার্থী হিসেবে কাটাতে হয় যা তাঁকে পরে একজন জলদস্যুতে পরিণত করে, তখন ঠিকই তাঁর পক্ষে কথা বলাটা স্বাভাবিক হয়ে পড়ে।

স্পেনের গ্রানাডাতে মুসলমানদের উপর যে অবর্ণনীয় অত্যাচার করা হয়, তারপরেই সৈয়দা হুররা-এর পরিবার অন্য একটি শহরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।

সৈয়দা হুররা তার উপাধি। যার অর্থ হল সার্বভৌম স্বাধীন রাণি। তার প্রকৃত নাম লাল্লা আয়েশা বিনতে আলি ইবনে রশিদ আল-আলমি। জন্ম ১৪৮৫ সালে স্পেনের তৎকালীন রাজধানী গ্রানাডায়। ১৪৯২ সালে গ্রানাডার পতন ঘটলে তার পরিবার মরোক্কোয় চলে আসেন।
সাইয়িদার বয়স যখন ১৬ বছর তখন তার বিয়ে হয় মরোক্কোর স্থানীয় তিতওয়ান প্রদেশের প্রশাসক আবুল হাসান আল-মান্দারির সঙ্গে।

১৫১৫ সালে তারস্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি উত্তর মরক্কোর তিতওয়ানের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পরে তিনি উত্তর মরক্কোর সুলতান আহমেদ আল-ওয়াত্তিসিকে বিয়ে করেন। তিনি হলেন তিনি হলেন তিতওয়ানের রাণি। রাণি হিসেবে অধিষ্ঠিত হবার পর তিনি ভূমধ্যসাগরে চলাচলরত স্প্যানিশ ও পর্তুগিজ বাণিজ্যিক জাহাজ লুট করার সিদ্ধান্ত নেন।

‘খ্রিষ্টান দুশমনদের’ শাস্তি দিতে তিনি তৎকালীন দুর্ধর্ষ নৌযোদ্ধা ও জলদস্যু বলে খ্যাত আলজিয়ার্সের বারবারোসা ভাইদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি তার তিতওয়ানে বসবাসরত গ্রানাডার পুরোনো নাবিক ও নতুন যোদ্ধা সহযোগে তার নৌবাহিনী গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে, স্পেনিয়ার্ড ও ইউরোপীয়দের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া শুরু করেন। তাদেরকে মেডিটারিয়ান সমুদ্র জুড়ে তাড়িয়ে বেড়াতে থাকেন। তাঁর অভিযানে পর্তুগিজরা সম্মিলিত ভাবে খোদার কাছে প্রার্থনা জানতে বাধ্য হয় যাতে স্রষ্টা সৈয়দা হুররাকে জাহাজের মাস্তুলের সাথে ঝুলিয়ে ফাঁসি দেন।

কিন্তু, তাদের সেই আশা পূর্ণ হয়নি। সৈয়দা হুররা ঠিকই সাগর জুড়ে তাঁর তান্ডব চালিয়ে যেতে সক্ষম হোন। ১৫৬১ সালের ১৪ জুলাই তিনি মরক্কোর তেতুয়ানে মৃত্যুবরণ করেন।


[লেখার কিছু অংশ ব্লগার নূর মোহাম্মদ নূরু'র কমেন্ট থেকে নেওয়া হয়েছে।]

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সৈয়দ বংশের মেযেরা এত খারাপ !!
যা হোক তার সম্পর্কে আজই জানলাম
আরো জানবো আগামীতে।

অপটাপিকঃ শিরোনামটা সংশোধন করতে হবে !!

২০ শে মে, ২০২০ রাত ১২:০৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

উনার সম্পর্কে তেমন একটা জানা যায় না। যতটুকু জেনেছি, তার সারমর্ম দিয়েছি এখানে। আপনার কাছে থেকে হয়তো আরো জানতে পারবো।

শিরোনামটি কি হতে পারে?

ধন্যবাদ নিরন্তর।

২| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৪৭

সোহানাজোহা বলেছেন: আমাদের পূর্বপুরুষ হরেক রকম কাজ করেছেন তার মধ্যে জলদস্যুও ছিলেন। বাংলার সোনার সন্তান ছিলেন তারা। বৃটিশ নৌ ডাকাতি করে বৃটিশ মেরে তিতাস-মেঘনা মোহনায় লাশ ফেলে দিয়েছেন। ভাবতেও গর্ব হয়।

২০ শে মে, ২০২০ রাত ১২:০৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

বাপ রে! এরকমটা তো জানা ছিলো না!

আশা করি, আপনার কাছ থেকে আরো জানতে পারবো।

প্লাস ও কমেন্টে অনেক ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৩| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেখক বলেছেন: শিরোনামটি কি হতে পারে?

শিরোনামটি ইতিমধ্যে পরিবর্তিত হয়েছে!!
ইতিহাসে অনেক নারী জলদস্যুর কথা জানা যায়।
মুসলমান কথাটি যোগ না করেলে শিরোনামটি
অর্থবহ হতোনা। ধন্যবাদ আপনাকে।


সৈয়দা হুররা তার উপাধি। যার অর্থ হল সার্বভৌম স্বাধীন রাণি।
তার প্রকৃত নাম লাল্লা আয়েশা বিনতে আলি ইবনে রশিদ আল-আলমি।
তার জন্ম ১৪৮৫ সালে স্পেনের তৎকালীন রাজধানী গ্রানাডায় ।
১৪৯২ সালে গ্রানাডার পতন ঘটলে তার পরিবার মরোক্কোয় চলে আসেন।
সাইয়িদার বয়স যখন ১৬ বছর তখন তার বিয়ে হয় মরোক্কোর স্থানীয় তিতওয়ান
প্রদেশের প্রশাসক আবুল হাসান আল-মান্দারির সঙ্গে। ১৫১৫ সালে তারস্বামী মারা
যাওয়ার পর তিনি উত্তর মরক্কোর তিতওয়ানের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
পরে তিনি উত্তর মরক্কোর সুলতান আহমেদ আল-ওয়াত্তিসিকে বিয়ে করেন। তিনি হলেন
তিনি হলেন তিতওয়ানের রাণি। রাণি হিসেবে অধিষ্ঠিত হবার পর তিনি ভূমধ্যসাগরে
চলাচলরত স্প্যানিশ ও পর্তুগিজ বাণিজ্যিক জাহাজ লুট করার সিদ্ধান্ত নেন।
‘খ্রিষ্টান দুশমনদের’ শাস্তি দিতে তিনি তৎকালীন দুর্ধর্ষ নৌযোদ্ধা ও জলদস্যু
বলে খ্যাত আলজিয়ার্সের বারবারোসা ভাইদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তিনি তার তিতওয়ানে বসবাসরত গ্রানাডার পুরোনো নাবিক ও নতুন যোদ্ধা
সহযোগে তার নৌবাহিনী গড়ে তোলেন। ১৫৬১ সালের ১৪ জুলাই তিনি মরক্কোর
তেতুয়ানে মৃত্যুবরণ করেন।

যদি বেঁচে থাকি ১৪ জুলাই তার মৃত্যুদিবসে একটা বিস্তারিত লেখা প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে।
দোয়া করবেন যেন নেক হায়াত দান করেন মহান সৃষ্টিকর্তা।

২০ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:০৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই।

অপেক্ষায় থাকলাম।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৪| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: নামটা সুন্দর হুররা

২০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:১০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: উপাধিটি সত্যি সুন্দর। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৫| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ১:৪২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মুসলমানের মতো কাজই করেছেন।জলে স্থলে আমরা এমন মুসলমানই চাই।

২০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আমি চমৎকৃত। ধন্যবাদ নিরন্তর

৬| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ৩:০৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: জিজান বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন হিন্দু শিক্ষক সৌদি বহিষ্কার করছে । যার বেতন ছিল মাসিক ৩৫ হাজার রিয়েল। মুসলিম নিয়ে টুটারে বাজে কথা লিখে সে।

২১ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: পোস্টের সাথে আপনার কমেন্টের কোন মিল খুঁজে পেলাম না!

আপনি কি প্রতিবাদ করে এটা লিখেছেন?

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৭| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ৩:২২

কানিজ রিনা বলেছেন: সৈয়দা হুররা ছবি দেখেই ভালবাসতে ইচ্ছা
হোলও এযুগে এমন দস্যুরানী থাকলে আমি
তার সাথে যোগ দিতাম। সত্য ইতিহাস
বিস্তারিত জানার ইচ্ছা। অভিনন্দন।

৮| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সত্যপথিক শাইয়্যান ভাই আপনাকে দেওয়া কথা রাখতে পেরে দ্বায়মুক্ত হলাম। দেখুন নিজের লিংক
সাইয়িদা আয়েশা আল-হুররাঃ ইসলামি যুগের দুঃসাহসী এক সমুদ্র রাণী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.