নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শামস তাবরিজি যেভাবে রুমীর মাঝে পরিবর্তন নিয়ে আসেন

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:২৭



রুমির শিক্ষক কে ছিলেন এই প্রশ্নের কোনো একক উত্তর নেই। রুমি নিজেও বলেছেন যে, তাঁর পিতা বাহা ওয়ালাদ এবং সুফি মাস্টার সাইয়্যেদ বুরহান আল-দীন-সহ অনেক শিক্ষক থেকে তিনি শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু, রুমির জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল তাঁর বন্ধু এবং আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক শামস আল-দিন তাবরিজির সঙ্গে।

১২৪৪ সালে রুমি আর শামসের মাঝে দেখা হোয়, যখন শামস রুমির বাবার সাথে দেখা করতে কোনিয়ায় আসেন। তাঁদের দেখা হওয়ার প্রথম মুহূর্ত থেকেই রুমি শামসের প্রতি আকৃষ্ট হোন। রুমী পরে লিখেছিলেন যে তিনি অনুভব করেছিলেন যেন তিনি শামস তাবরীজীকে "জগত সৃষ্টির আগে থেকেই" চিনেন।

ঈশ্বর, প্রেম এবং জীবন সম্পর্কে কথা বলার জন্য দুই ব্যক্তি ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়েছেন। তাঁরা দ্রুত অবিচ্ছেদ্য হয়ে ওঠেন; রুমি এমনকি কিছু সময়ের জন্য শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়েছিলেন যাতে তিনি শামসের সাথে আরও বেশি সময় কাটাতে পারেন। এই নিবিড় বন্ধুত্ব রুমির জীবন ও কর্মে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।

শামসের প্রভাবে রুমি আরবি’র (ধর্মীয় পাণ্ডিত্যের ভাষা) পরিবর্তে ফারসি ভাষায় কবিতা লিখতে শুরু করেন। তিনি ধর্মীয় আইনের কঠোর আনুগত্যের পরিবর্তে প্রেম এবং সহনশীলতার গুরুত্ব সম্পর্কে প্রচার শুরু করেন। সংক্ষেপে, শামস রুমিকে একজন কবি ও চিন্তাবিদ হিসেবে তাঁর সত্যিকারের কণ্ঠ খুঁজে পেতে সাহায্য করেছিলেন।

রুমি এবং শামসের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং এটা বিশ্বাস করা হয় যে- রুমির জীবন ও কাজের উপর শামসের অনেক প্রভাব ছিল। কিছু লোক এমনও বিশ্বাস করে যে- শামস আসলে ছিলেন ঈশ্বর দ্বারা নিযুক্ত বিশেষ ব্যক্তি।

রুমি নিজেই শামসের সাথে তার সম্পর্কের বিষয়ে বিস্তৃতভাবে লিখেছেন এবং এটা স্পষ্ট যে তিনি তাকে উচ্চ সম্মান করতেন। রুমি তার একটি কবিতায় শামসকে সূর্যের সাথে তুলনা করে বলেছেন, "তুমি সূর্য, আমি তোমার ছায়া।" এ থকে বুঝা যায় যে, রুমির তার শিক্ষকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ছিল।

মজার ব্যাপার হল, শামস রুমির জীবন থেকে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পর (কেউ কেউ বলে যে তাকে হত্যা করা হয়েছিল, অন্যরা বলে যে তিনি রুমীকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন), রুমি তাঁর বিখ্যাত রচনাগুলো লিখতে শুরু করেন। যেন নিজের শিক্ষক হারানো তাঁকে তাঁর লেখায় নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে অনুপ্রাণিত করেছিলো। যাই হোক না কেন, এতে কোন সন্দেহ নেই যে রুমি শামস তাবরিজির প্রতি অনেক ঋণী ছিলেন এবং তাঁদের সম্পর্ক ছিল রুমীর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২০

অপু তানভীর বলেছেন: ফর্টি রুলস অব লাভ বইতে শামস তাবরিজের কথা আছে । এই বইটা বেশ ইন্টারেস্টিং । সেখানে শামস তাবরিজের জীবনের একটা অংশ বেশ ভাল ভাবে ফুটে উঠেছে । রুমীর সাথে তার পরিচয় ঘনিষ্ঠতার ব্যাপারটাও আছে । বইটা পড়ে দেখতে পারেন ।

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:১৮

মোগল বলেছেন: ইয়ে ও হ্যায় যো তু নেহি জানতা......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.