নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেইলিওর ইজ দ্যা পিলার অব সাকসেসঃ ব্যর্থতার কাহিনী - ১ (ফটোকপি থেকে বই)

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৪



আমি মানুষকে সাফল্যের কাহিনী শুনাতে পছন্দ করি। মানুষ এসব কাহিনী শুনে যাতে নিজের জীবনে কাজে লাগাতে পারে। আমিও আনন্দ পাই মানুষকে এসব কাহিনী শুনিয়ে। আর, নিজে সফল না হলে অন্যকে সাফল্যের কাহিনী শুনালে অন্য মানুষের জীবনে পজিটিভ পরিবর্তন আনা যায় না। আমি একজন সুখী ও সফল মানুষ। আমি নিজেকে সফল মনে করি এই কারণে যে, একদম শুন্য থেকে শুরু করে আমার ছোট্ট ফার্মটি এখন পর্যন্ত দেশের জন্যে ৩০ কোটি টাকার সমপরিমাণ বিদেশী মুদ্রা এনে দিয়েছে! কিন্তু, আমার এই সফলতা একদিনে আসেনি।

আমার বর্তমান প্রতিষ্ঠানটি সফলতা পাওয়ার আগের প্রতিটি ব্যবসায়িক চেষ্টা বিফলে গিয়েছে। বার বার মুখ থুবড়ে পড়েছিলাম আমি। আমার প্রতিটি ব্যর্থতা মানুষের মাঝে হাসির খোরাক জুগিয়েছে। তেমনই কিছু ব্যর্থতার কাহিনী আমি ধারাবাহিক ভাবে লিখবো।

১) ফটোকপি থেকে বইঃ

আমি তখন দ্বিতীয় বর্ষের ১ম সেমিস্টারে পড়ি। আমাদের 'এন্ট্রাপ্রেনিওরশিপ' সাবজেক্ট পড়ানো শুরু করলেন মাজহার স্যার। প্রথম ক্লাসেই তিনি পিটার ড্রুকার-এর এমন একটি বই থেকে পড়ানো শুরু করলেন যা বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায় না। পুরো সিলেট ও নীলক্ষেত খুঁজেও একটি কপি পাওয়া যায় নাই। তবে, স্যারের কাছে একটি ফটোকপি আছে, তাও কিছুটা ঝাপসা। কি করা? ক্লাস কোর্ডিনেটর বলে দিলো সিলেটে এটা ফটোকপি করলে আরও ঝাপসা হয়ে যাবে। পড়া যাবে না!

আমি সাহস করে বলে ফেললাম- ''স্যার, আমাকে দায়িত্ব দিন। আমি করে দিবো।''

স্যার কিছুটা অবাক হয়েই আমাকে দায়িত্ব দিলেন। আমি করলাম কি, আমার পরিচিত নীলক্ষেতের এক বইয়ের দোকানে সেটা ঐদিনই পাঠিয়ে দিলাম, কুরিয়ারে করে। ফোনে আইডিয়া দিলাম দোকানের মালিককে-

''আপনি ফটোকপিটিকে বইয়ে রুপান্তর করে পাঠাবেন।''

তিনি সব শুনে আকাশ থেকে পড়লেন। এই প্রায় ঝাপসা বইটি কীভাবে একটি নতুন বইয়ে রূপান্তর করবেন!!!

আমি বললাম- "আপনি প্রথমে বইটি অফসেট ফটোকপি করবেন। তারপরে, কেটে কেটে তা বই আকারে নিয়ে আসবেন। মলাটে বইয়ের নাম ও লেখকের নাম থাকবে! ব্যস, হয়ে গেলো!''

সব কাজ শেষ হওয়ার পরে, দেখা গেলো, সিলেটে ফটোকপি করতে বইটির যেখানে ১২০ টাকা লাগতো, সেখানে ৩০ কপি বই প্রতিটি ৮০ টাকাতেই করে দেওয়া সম্ভব হলো!!! প্রতীতি বইয়ে সেই সময়ে আমার ৪০ টাকা লাভ হয়েছিলো।

কিন্তু, কিছু ক্লাসমেট বেকে বসলো। বলে বেড়াতে লাগলো যে, আমি তাদেরকে ঠকিয়েছি! তারা একটা ফটোকপি বই ভালো প্রিন্টের পরিপূর্ণ 'বই' হিসেবে হাতে পেয়েছে, তা দেখলো না! মনে খুব আঘাত পেয়েছিলাম সেদিন। বন্ধুদের মন জয় করতে না পারাটাই ছিলো আমার ব্যর্থতা!





মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

দারাশিকো বলেছেন: চমৎকার। আপনার ব্যর্থতার কাহিনীগুলো পড়তে আগ্রহী।
ছাত্রজীবনে আমরাও একটা ব্যবসা করেছিলাম - কম্পিউটার কম্পোজ এবং প্রিন্টিং। দুই বন্ধু মিলে বেশ ভালোই আয় করেছিলাম।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ। জেনে খুশি হলাম যে ছাত্র জীবনে আপনি ব্যবসা করার চেষ্টা করে লাভেড় মুখ দেখেছেন।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

বই পড়ে কি সাঁতার শেখা যায়? অথবা সাইকেল চালানো?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


অনেক ধন্যবাদ।

অনেক কৌশল শেখা যায়।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.