![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
আমার বিবিজানের অনূরোধে নিজের উদ্যোক্তা জীবনের ব্যর্থতার কাহিনীগুলো লিখছি। এটা দ্বিতীয় পর্ব-
আমি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ম ব্যাচের ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন নতুন ভর্তি হয়েছি, তখনই বুঝে গিয়েছিলাম সিলেটের বইয়ের দোকানগুলো শিক্ষার্থীদের নিয়ে খেলছে। একেতো দোকানগুলো ক্যাম্পাস থেকে অনেক দূরে, তার উপর, সময় মতো বই পাওয়া যেতো না। দোকানগুলো যা ইচ্ছা তা-ই দাম হাঁকতো।
শেষ পর্যন্ত, হঠাৎ আমার মাথায় একদিন আইডিয়া আসলো, বইয়ের ব্যবসা করবো। ঢাকা থেকে বই আনাবো, তার পরে, শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে বই পৌঁছে দিবো। এটাই মনে হয় সিলেটের প্রথম 'ডাইরেক্ট সেলিং' বইয়ের ব্যবসা ছিলো। কারণ, সময়টা তখন ছিলো ২০০১ সাল। ডাইরেক্ট সেলিং কি তা খুব কম মানুষই তা বুঝতো।
আইডিয়া মতো, নীলক্ষেতের একটি অখ্যাত বইয়ের দোকানের সাথে কন্ট্রাক্ট হলো, তারা রাজি হয়ে গেলো আমাকে বই সাপ্লাই দিতে। আমি ওদিকে সিলেটের আম্বরখানা এলাকায় একটি মেসে গুদাম হিসেবে একটি রুম ভাড়া নিলাম। আর, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮-টি ডিপার্টমেন্টের ২৪টি সেমিস্টারের প্রতিটিতে ১-জন করে ২৪-জন শিক্ষার্থীকে কমিশন এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিলাম। তাদের কাজ ছিলো- ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে আমাকে জানাবে, আর আমি ঢাকা থেকে আনা বইগুলো গুদামের স্টকে রেখে বিক্রি করবো।
পুরো সাপ্লাই চেইন সাজিয়ে ফেললাম এক মাসে। এবারে মূল সমস্যা দেখা গেলো এতো বড় প্রজেক্টে ফাইন্যান্স কে করবে! আমার আবার কাছে টাকা চাইলাম। তিনি প্রথমে খুব বকুনি দিলেন- ছেলে পড়ালেখার পাশাপাশি ব্যবসা করবে এটা তিনি মেনে নিতে পারলেন না। শেষে, অনেক বুঝানোর পরে ১০,০০০ টাকা দিয়ে বললেন চেষ্টা করতে। কিন্তু, আমার দরকার কমপক্ষে ৪০,০০০ টাকা। কি করা যায় ভাবছি। সেই সময়ে মেঝ খালু পিডিবি’র ইঞ্জিনিয়ার মরহুম আশফাক আহমেদ সাহেব সিলেটে। তাঁর কাছে চাইতেই তিনি ৩০,০০০ টাকা দিয়ে দিলেন।
ব্যস, সেই শুরু! আমার স্টার্ট আপের নাম দিলাম ‘সাস্ট স্টারস’। একটি লিফলেটে সব এজেন্টের নাম লিখে কিছু মার্কেটিং আহবান জানিয়ে প্রত্যেক সেমিস্টারে ছড়িয়ে দিলাম।
পুরো সিলেটের বইয়ের বাজার কাঁপিয়ে দিয়েছিলাম। সাস্টের শিক্ষার্থীরা আমার কাছ থেকে বই নিতে লাগলো। কয়েক সপ্তাহ ভালোই চললো। কিন্তু, এরপরে দেখি আমার কাছে আসা কমিয়ে দিয়েছে তারা। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম- সিলেটের বইয়ের দোকানগুলো এক জোট হয়ে বইয়ের দাম কমিয়ে দিয়েছে।
ছাত্ররাও চালু মাল। তারা আমার কাছে বইয়ের দাম জিজ্ঞাসা করে, সিলেটের দোকানগুলোর কাছ গিয়ে সেখানে দর কষাকষি করে বই কিনতে লাগলো। কিছু দিনে মাঝে, আমার এজেন্টরা হতোদ্যম হয়ে পড়লো। সেই সাথে সেমিস্টারের পড়ার চাপ।
আমার ব্যবসায় লালাবাত্তি জ্বলতে বেশি সময় লাগলো না! আমি বইয়ের ব্যবসা থেকে সরে আসলাম।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমিও তা-ই আশা করছি।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০৮
সোনাগাজী বলেছেন:
কি পরিমাণ লাভ হয়েছিলো?
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:১৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমার কমিশন এজেন্টদের কমিশন, আর স্টোর ভাড়া দেওয়ার পরে কিছুই ছিলো না।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:১৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
মার্কেটিং-এ অনেক খরচ হয়েছিলো।
৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১২
রাজীব নুর বলেছেন: পড়তে ভালো লাগছে।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:০৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
জেনে সত্যি খুব খুশি হলাম, রাজীব ভাই!
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:২৬
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: ছাত্রদের জন্য ভালো হলো- বইয়ের দাম কমলো।
৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
জেনে সত্যি খুব খুশি হলাম, রাজীব ভাই!
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
আপনাত এই লেখা গুলো আমার জন্য শিক্ষা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২১
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: নতুন উদ্যোক্তাদের কাজে লাগবে।