নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
''আসলেই, অক্ষমতার কারণে, আমার সাহায্যের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমি সর্বদা আমার অবস্থার সীমাবদ্ধতাগুলি অতিক্রম করার এবং যতটা সম্ভব একটি পরিপূর্ণ জীবনযাপন করার চেষ্টা করেছি। আমি অ্যান্টার্কটিকা থেকে শুরু করে শূন্য মাধ্যাকর্ষণ পর্যন্ত ভ্রমণ করেছি।''
.
স্টিভেন হকিং-এর কথা মনে আছে? আমি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম সেরা তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানীদের একজন, স্টিফেন উইলিয়াম হকিং-এর কথা বলছি। তিনিই এই কথাগুলো বলেছিলেন।
.
আপনারা হয়তো সবাই জানেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়ে ALS নামক এক দুরারোগ্য রোগে চলৎশক্তিহীন হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এমনকি কথা বলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো তাঁর। ডাক্তাররা হকিং-কে বলেছিলেন যে, ২/৩ বছরের মাঝে তাঁর মৃত্যু হবে।
.
কিন্তু, সেটা তাঁকে থামাতে পারেনি। লাভ করেছিলেন পি,এইচ,ডি ডিগ্রী....হয়েছিলেন পৃথিবীর সেরা বিজ্ঞানীদের একজন। তিনি তাঁর শারীরিক অক্ষমতাকে নিজের ইচ্ছে পূরণের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে দেননি! তিনি এমন একটি সায়েন্টিফিক মডেল দাঁড় করান যা বলে- 'সীমা বলতে আসলে কিছু নেই।' আমাদের পায়ের সীমা আছে, কিছু অনন্ত নক্ষত্ররাজির কোন সীমা-পরসীমা নেই!
.
আমি ফিজিক্স বুঝি না। বিজ্ঞান আমার কাছে অন্য গ্রহের এক বার্তা। কিন্তু, স্টিফেন হকিংদের মতো মানুষদের কাছ থেকে শিখেছি-
''কোন বাধাতেই থেমে থাকলে চলবে না। 'বাধা'-কে আশির্বাদ হিসেবে দেখতে হবে। স্টিভ হকিং-এর শারীরিক অক্ষমতার জন্যে চলৎশক্তিহীন হয়ে মহাবিশ্ব নিয়ে চিন্তা করার 'সময়' না পেলে, আমরা হয়তো 'বিগ ব্যাং থিওরি' পেতাম না!
আমাদেরকে চারপাশে যা ঘটছে তা অনুভব করার চেষ্টা করে মহাবিশ্বের অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আমাদেরকে হতে হবে কৌতূহলী! জীবন আপনার কাছে কঠিন হয়ে যতই ধরা দিক না কেন, আপনি কোন না কিছু করে সেই বাধাকে অতিক্রম করে জীবনে সফল হয়ে উঠতে পারবেন!''
©somewhere in net ltd.