নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার নির্বাচনী ইশতেহার - ২০২৩ঃ ওয়ার্ড ভিত্তিক স্থানীয় সরকার কাঠামোর ধারণা

১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:১২



ব্লগে অনেকেই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন। আমার মনে হয়, আমারও তাতে যোগ দেওয়া উচিৎ। আমার নিজের নতুন কোন দল শুরু করার ইচ্ছে নাই। তবে, একটি রাজনৈতিক দল খুঁজছি যারা আমাকে দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার তৈরীর দায়িত্ব দিবে। যদি কখনো সুযোগ হয়, তাহলে, নিচের বিষয়গুলো তুলে ধরবো।

তবে, এটা প্রকাশ করার এখনই কোন ইচ্ছে ছিলো না। কিন্তু, রাজনীতিতে যোগ দেয়ার সুপ্ত বাসনা থেকেই এই পদক্ষেপ।

আমার দল সুযোগ পেলে যা করবে-

১) দেশের অবকাঠামোতে পরিবর্তন নিয়ে এসে পুরো বাংলাদেশকে ১৫০০ ওয়ার্ডে ভাগ করে ফেলা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডের পরিধি হবে ৯৬ বর্গ কি, মি।

২) দেশের পুরো নির্বাচন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হবে। ওয়ার্ড ভিত্তিক স্থানীয় সরকার গঠন করে দেওয়া হবে যারা নির্বাচিত হবেন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে। প্রত্যেক ওয়ার্ডের স্থানীয় সরকার প্রধানগণের ভোটের ভিত্তিতে দেশে একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন যার দায়িত্ব হবে সম্পদের সুষ্ঠু বন্টন এবং ওয়ার্ড সরকারগুলোর চেক-ব্যালেন্স ঠিক রাখা।

৩) দেশে কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল থাকবে না। ওয়ার্ডগুলোর প্রধান নির্বাচন করার সময় ১৫০০ আলাদা আলাদা প্রতীক বরাদ্দ করে দেওয়া হবে যাতে কোন নির্দিষ্ট প্রতীক না থাকে। প্রতিটি ওয়ার্ড সরকারে থাকবে্ন ১২ জন উপদেষ্টা- ক) পরিকল্পনা, খ) সমাজকল্যান,
গ) অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য, ঘ) আইন, ঙ) প্রযুক্তি, চ) পরিবেশ, ছ) শ্রমিক, জ) খাদ্য, ঝ) বস্ত্র, ঞ) বাসস্থান, ত) চিকিৎসা, থ) আনন্দ। এই ১২ জন উপদেষ্টার নিজেদের মাঝ থেকে একজনকে ওয়ার্ড সরকার প্রধান হিসেবে বেছে নিবেন।

৪) প্রতি বছরের শেষ মাসে পরবর্তী বছরের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং অন্যন্য পণ্য ও সেবার মূল্য তালিকা ঠিক করে দেওয়া হবে। মুক্তিযোদ্ধা, শ্রমিক, বুদ্ধিজীবি ও যাটোর্ধ নাগরিকদে বিশেষ পাস দেওয়া হবে যা দেখিয়ে তারা চিকিৎসা ও পরিবহন ছাড়া সকল দ্রব্য ও সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে ২০% ডিসকাউন্ট পাবেন। সব ব্যবসায়ী একটি দ্রব্য বা সেবা থেকে সর্বোচ্চ ২৫% মুনাফা নিতে পারবেন।

৫) ৫ বছরের মাঝে প্রতিটি নাগরিকের মাথাপিছু আয় কমপক্ষে ২৫,০০০ টাকায় উন্নিত করা হবে। সে হিসেবে দেশের আয় প্রতি বছরে কমপক্ষে ৩৭৫০,০০,০০,০০,০০০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে। দেশের সকল মানুষের আয় নিশ্চিত করে বাড়তি টাকা দেশের উন্নয়নে ব্যয় হবে।

৬) দেশের সকল জমির মালিকানা সরকারের থাকবে। সরকার কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও প্রযুক্তি'র জন্যে সবার প্রথমে জমি বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপরে, অগ্রাধিকার দেওয়া হবে শিল্প-কারখানার জন্যে।

৭) দেশের নিয়মিত সামরিকবাহিনীর সংখ্যা ৫০,০০০-এ নামিয়ে এনে ভূমির সকল নাগরিকদের ১৬ বছর থেকে সামরিক শিক্ষার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হবে। প্রতিটি মহল্লা থেকে ঐ ওয়ার্ডের জন্যে পুলিশ সদস্য-সদস্যা নিয়োগ পাবেন।

৮) সকলের জন্যে বাসস্থান নিশ্চিৎ করতে কোন নাগরিকই একটির বেশি ফ্ল্যাট রাখতে পারবেন না। ১৮ উর্ধো প্রতিটই নাগরিকের জন্যে হায়ার পারচেজ ভিত্তিতে ১০০ তলার বিল্ডিং-এ ফ্ল্যাট বরাদ্দ করা হবে।

৯) প্রতিটি নাগরিককে প্রতি বছর ১টি টি-শার্ট, ১টি ফুলহাতা শার্ট, ২টি প্যান্ট, ১টি গেঞ্জি, ১টি মাফলার, ১টি চাঁদর, ১টি সোয়েটার এবং ১টি আন্ডারওয়ার দেওয়া হবে।

১০) সকল শিশু, নারী এবং ষাটোর্ধ পুরুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য-সুবিধা দেওয়া হবে।

১১) সবার জন্যে শিক্ষা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে দিন ও রাতের কোর্স শুরু করা হবে। রিসার্চের উপর বিশেষ প্রাধান্য দিয়ে স্কুল থেকে ট্রেইনিং-এর ব্যবস্থা করা হবে। উচ্চ শিক্ষার জন্যে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা হবে।

১২) পরিবহন ব্যবস্থা হবে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ ভিত্তিতে। শহরের জন্যে বাস, আন্তঃ শহরের জন্যে ট্রেন ও লঞ্চ , বিদেশে ভ্রমনের জন্যে উড়োজাহাজ এবং জরুরী কাজের জন্যে হেলিকপ্টার হবে বাহন। সকল শ্রমিক, বুদ্ধিজীবি, শিক্ষার্থী এবং ষাটোর্ধ নাগিরকের জন্যে ফ্রি পরিবহন পাস দেওয়া হবে। নাগরিকরা প্রতি বছরের শুরুতে যাতে পরিবহন পাস সাপ্তাহিক, মাসিক এবং বাৎসরিক ভিত্তিতে কিনে নিতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাসগুলোর

১৩) দেশের ১০০% বিদ্যুৎশক্তি পারমানবিক চুল্লি থেকে তৈরী হবে। কৃষি খামারগুলোর জন্যে বায়ো-ডিজেল উৎপন্ন করা হবে সামুদ্রিক শৈবাল থেকে যেহেতু তা তৈরী করতে বেশি জায়গার দরকার হয় না।

১৪) দেশের বন্ধু রাষ্ট্র তৈরি করার ক্ষেত্রে শান্তিপ্রিয় দেশগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। তাদের সাথে জোট তৈরী করে ফ্রি ইকোনমিক জোন গঠন করা হবে।

১৫) ফরেন রিজার্ভের ফান্ড থেকে দেশের ও বিদেশের লাভজনক ব্যবসায় সরকার বিনিয়োগ করবে।

১৬) ব্যাংকের সুদের হার ২% করে দেওয়া হবে। সবাইকে ব্যবসায় উদবুদ্ধ করার লক্ষ্যে কোন ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট সুবিধা রাখা হবে না। বরং, আগ্রহীদের কাছ থেকে সরকার বিনিয়োগ নিয়ে লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে ব্যবসায় বিনিয়োগ করবে।

১৭) বিদেশী বিনিয়োগকারীরা দেশের অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করবেন দেশের কোন ব্যবসায়ীকে পার্টনার রেখে।

১৮) প্রতিটি ব্যবসায়িক সংস্থাকে কর্পোরেট সোশ্যাল রেস্পোন্সিবিলিটি ফান্ডে নিজেদের মুনাফার ৫% দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হবে।

১৯) প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হবে। তাঁদের পরিবারকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৬:৪৮

কামাল১৮ বলেছেন: নিজে একটা রাজনৈতিক দল গঠন করেন,নয়তো আপনার মতের কাছাকাছি কোন দলে যোগদান করে চেষ্টা করেন কেন্দ্র যাবার।

২| ১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার নির্বাচনী ইশতেহার ভালো লেগেছে। তবে প্রশ্ন রইল;

দুর্নীতি এবং খেলাপি ঋণ কিভাবে বন্ধ করবেন?
বেকারত্বের জন্য কি ব্যবস্থা নিবেন?

৩| ১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি সহজ সরল ভালো মানুষ। আপনি জটিলতা কুটিলতা মুক্ত মানুষ। রাজণীতি আপনার জন্য না।

৪| ১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: রাজনীতি করলে কি হয়? :-B

৫| ১৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:৫১

কামাল১৮ বলেছেন: রাজনীতি করলে ক্ষমতায় যেতে পারবেন।ক্ষমতায় গেলে আপনি যা চান সেটা ব্যাস্তবায়ন করতে পারবেন।রাজনীতি না করলে ইহ জিন্দিগীতে ক্ষমতায় যেতে পারবেন না।আর আপনার চাওয়া বাস্তবায়ন করতে পারবেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.