নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাষা শহীদ আবদুল জব্বারের আসল পরিচয়

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২২



রাজীব নূর ভাই আমার প্রিয় ব্লগারদের একজন। তিনি ভাষা শহীদ আবদুল জব্বার সম্পর্কে যা লিখেছেন, তা উইকিপিডিয়া থেকে নেওয়া। ডিজিটাল বাংলাদেশের যুগেও, কিভাবে এরকম একটি মিথ্যা লেখা উইকিপিডিয়াতে এলো, তা আশ্চর্যজনক!

ভাষা শহীদ আবদুল জব্বার ইমারত পার্টির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ইমারত পার্টিটি ছিলো তৎকালীন বিশিষ্ট আলেম, কৃষক নেতা ও রাজনীতিবিদ মাওলানা শামসুল হুদা পাঁচবাগী'র প্রতিষ্ঠিত একটি রাজনৈতিক দল।

শহীদ জব্বারের ছেলে নুরুল ইসলাম বাদল বাংলাদেশ আর্মীতে কর্মরত ছিলেন। তিনি তাঁর 'ভাষা শহীদ আবদুল জব্বার' নামক বইতে উল্লেখ করেছেন - "আমার বাবা আব্দুল জব্বার মাওলানা শামসুল হুদা পাঁচবাগীর সংগঠনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।"

এই বইয়ের ৬৮ নং পৃষ্ঠাতে লেখা আছে- "বুকের রক্ত রাজপথে ঢেলে দিয়ে আন্দোলনের রক্তাক্ত পথ গড়িয়া দিলো সালাম, বরকত, রফিক ও গফরগাঁওয়ের বীরসন্তান আব্দুল জব্বার। মাওলানা পাঁচবাগী তখন জামিনে গৃহবন্দী ছিলেন। এই অবস্থায় গর্জে উঠলেন পাচবাগী সাহেবও। তিনি লিখেলেন-

মোদের কপালে ছাই,
রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই।"

রাজীব ভাই হয়তো চেয়েছেন, আমরা যেন উইকিপিডিয়ার উপরে নির্ভরশীল না হয়ে আসল সত্যটা নিজেরা অনুসন্ধান করি।


ছবি উৎসঃ http://www.obhijatra.com



মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপনার দেয়া ওয়েব লিংকে ডুকতে পারিনি
যাহোক বাংলাদেশ সরকারের সরকারী সুত্র হতে ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার এর সম্পর্কে কিছু তথ্য নীচে তুলে ধরা হল ।
https://gafargaon.mymensingh.gov.bd/bn/site/top_banner/KY7K-ভাষা-শহীদ-আব্দুল-জব্বার-গ্রন্থাগার-ও-স্মৃতি-জাদুঘর

ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার পাঁচুয়া গ্রামে ১৩২৬সনের ২৬আশ্বিন(১৯১৯খ্রিঃ) তিনি জন্ম গ্রহণ করেন।
১৯৫২সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত শাশুড়ির চিকিৎসার জন্য তিনি স্ত্রী সহ ঢাকায় আসেন। ২০ ফেরুয়ারী শাশুড়ীকে
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে আবদুল জব্বার মেডিকেলের ছাত্রদের আবাসস্থল(ছাত্রব্যারাক)
গফরগাঁও নিবাসী হুরমত আলীর রুমে(২০/৮) উঠেন। ১৯৫২সালের ২১ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে ব্যাপক জনসমাবে শঘটে। আবদুল জব্বারও সমাবেশে যোগদেন।
সে সময়ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশ গুলি চালালে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
মৃত্যুবরণ করেন। ২০০০সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। বর্তমানে
তার নামে একটি জাদুঘর ওশহীদ মিনার স্থাপন করা হয়।
ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলাধীন ০৬ নং রাওনা ইউনিয়নের “জব্বার নগর” (পাচুয়া) গ্রামে ভাষা
শহীদ আঃ জব্বারের নিজ বাড়ীর নিকটে শহীদ জব্বার বেসরকারী রেজিষ্টার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শহীদ
মিনারের পার্শ্বের জমিতে ২০০৭ সালে গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মান করা হয়েছে। এটি গফরগাঁওয়ের
একটি দর্শনীয় স্থান।


শামছুল হুদা পাঁচবাগী এর বাড়ী ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বারের বাড়ীর খুব কাছে থাকায় তিনি পাঁচবাগীর ইমারত
পার্টির সমর্থক বা কর্মী হোয়া বিচিত্র কিছু নয় ।

উল্লেখ্য মাওলানা শামছুল হুদা পাঁচবাগী একজন দেওবন্দি ইসলামি পন্ডিত/ ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৯৩৭ সাল থেকে
১৯৫৪ সাল পর্যন্ত আইনপ্রণেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ১৯৩৭ সালে কৃষক প্রজা পার্টির প্রার্থী
হিসেবে বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।এরপর, ১৯৪৫ সালে তিনি ইমারত পার্টি প্রতিষ্ঠা
করেন। তিনি ছিলেন দলটির সভাপতি ও সানাউল্লাহ ছিলেন দলটির সহসভাপতি। ১৯৪৬ সালেও তিনি বঙ্গীয়
আইনসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি পাকিস্তান সৃষ্টির বিরোধী ছিলেন। তিনি অবিভক্ত
স্বাধীন বাংলার সমর্থক ছিলেন। তিনি পাঁচবাগে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বাংলা, ইংরেজি, আরবি,
উর্দু ও ফার্সি ভাষায় ১০,০০০ এর বেশি প্রচারপত্র ছাপিয়েছিলেন।তিনি প্রচারপত্রে পাকিস্তান সৃষ্টির প্রস্তাবের
বিরোধিতা করেছিলেন।
এর পরেও অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা না হওয়ায় তিনি বৃহত্তম ময়মনসিংহ নিয়ে একটি ম্বাধীন বাংলা গঠনের জন্য
জোড়ালো দাবী তুলেছিলেন । তিনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আয়ুব খানের প্রতি আনেক অনিয়মের বিপক্ষে ওপেন
টেলিগ্রাম পাঠাতেন ।

তিনি মাত্র একবার ছাড়া জীবনে কোন নির্বাচনে পরাজিত হন নি । সবাই জানতো এলাকায় ব্যপকভাবে জনপ্রিয়
ধর্মপ্রান এই মাওলানা পাঁচবাগীকে নির্বাচনে হারানো সহজ কর্ম নয় ।
তাই ১৯৭০ এর নির্বাচনে বেশ পরহেজগার আর ইংরেজীতে এম পাশ এক বেসরকারি কলেজের লেকচারার যার নাম
ছিল সামসুল ইসলাম , যার নাম সামছুল ইসলাম পাঁচবাগীর নামের সাথে বেশ মিল আছে , এতে করে মানুষজন মনে
করতে পারে এই লোকই বুঝিবা সামছুল হুদা পাঁচবাগী।এই সামছুল ইসলাম জীবনেও আগে সক্রিয় রাজনীতি করেন
নি । তবে তিনি তার এলাকার সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন একজন ইসলামি ব্যক্তিত্ব বলতে গেলে দরবেশ
পর্যায়ের মনিষীর বেশ পছন্দের মানুষ ছিলেন , ও তাঁর আর্শিবাদ ধন্য ব্যক্তি ছিলেন । তদুপরি তার শ্বশুর ছিলেন
এলাকার খুবই ধনবান একজন ইউপি চেয়ারম্যান, যিনি বিশাল অংকের অর্থ তার রির্বাচনী ব্যয়ে ডালতে সক্ষম ছিলেন ।
এতসব বিবেচনায় একদিকে পাঁচবাগীর মত একজনকে হারিয়ে দেয়ার মত পরহেজগার মানুষ ও তার নামের সাথে
বেশ মিল আছে আর দিকে তাকে নির্বাচনের জন্য প্রভুত অর্থ দিয়ে সাহায্যকারী থাকায় তিনি বঙ্গবন্ধুর নমিনেশন
পেয়ে যান ,ও নৌকা প্রতিক পেয়ে সেসময় নৌকার প্রতি প্রবল গণজোয়ার থাকায় কলাগাছ পার পেয়ে যাওয়ার
মত তিনি পাঁচবাগীকে জীবনে শেষবারের মত পরাজিত করেছিলেন ।

তার পর নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য হিসাবে , মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে নিরাপদে ভারতে কাটিয়ে দেন । অপরদিকে
পাঁচবাগী দেশে থেকেই যতভাবে সম্ভব মুক্তিযুদ্বে সহায়তা করেন ।
সুত্র : Click This Link

তার পর নির্বাচিত সেই এম এল এ এলাকায় জনগনের কল্যানে কোন কাজের সাথে যুক্ত হননি শুধু সেসম দেশের
শাসনতন্ত্র প্রনয়নের জন্য অন্য সকল এম এল এর মত একজন সদস্য ছিলেন , সেখানেও তার উল্লেখযোগ্য কোন
অবদান ছিল কিনা তা এলাকার জনগন শুনে নাই । যাহোক তিনি একজন সৎ ো ও ধার্মিক ব্যক্তি ছিলেন ।
তাই ১৯৭৩ এর নির্বাচনের সময় বঙ্গবন্ধু তাঁকে ডেকে নিয়ে বলেছিলেন হজুর আপনার সততার জন্য শ্রদ্ধা করি
কিন্তু যেহেতু আপনি জনগনের সাথে মিশে গিয়ে তাদের কল্যানে কোন কাজে নীজকে নিওজিত করেন নি তাই
এবার আর আপনাকে মনোনয়ন দেয়া গেল না । আপনি নীজ এলাকা ফিরে গিয়ে আপনার ধর্মীয় কাজে আরো
বেশী নিয়োজিত থেকে নীজের ও দেশের মঙ্গলার্থে কাজ করুন , আমার সহযোগিতা থাকবে আপনার প্রতি ।

যাহোক , প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় অনেক কথা বলে ফেললাম । আমি সে সময় ময়মনসিংহ সরকারী আনন্দমোহন
কলেজে ইন্টার মিডিয়েটের ছাত্র ছিলাম বলে অনেক কথা জানতে পেরেছিলাম এবং মৌলানা সামছুল হুদা
পাঁচবাগীর সাথে সাক্ষাতের সৌভাগ্য হয়েছিল ।

শুভেচ্ছা রইল

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


অনেক অজানা তথ্য আপনার কমেন্টে আছে, ভাইয়া। তাঁর সাথে দেখা হওয়াটা নিশ্চয় অনেক আনন্দদায়ক ছিলো।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ শাইয়ান ভাই।
আমি আপনার সাথে একমত।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


ধন্যবাদ, প্রিয় রাজীব ভাই।,

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনার পোস্ট এবং ড. এম এ আলী'র মন্তব্য থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আমি চেষ্টা করেছি আসল তথ্যটা তুলে ধরতে।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.