| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যপথিক শাইয়্যান
আমার কাছে অনেক আইডিয়া আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সব কিছুর মূলে রয়েছে আইডিয়া!
দেশকে পূনর্গঠন করতে হবে। আমাদের দেশের ছাত্রসমাজ সেই সুযোগ করে দিয়েছেন। সংবিধান সংশোধন থেকে নতুন দল গঠন, সবই করতে হবে। পুরনো দলগুলো দিয়ে কতটুকু দেশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে, তা এখনই ঠিক বলা যাচ্ছে না। পুরনো দলগুলোকে আমাদের দেশের মানুষ ৪০ বছরের অধিক সময় ধরে দেখছে, কিন্তু তাঁরা আমাদের দেশকে ফলপ্রসূ কিছু একটা দিতে ব্যার্থ হয়েছেন। তাই, আমি ছাত্রসমাজ ও ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দেশ পূনর্গঠনের একটি প্রস্তাবনা পেশ করছি
১) ওয়ার্ড ভিত্তিক সরকার গঠনঃ
দেশের অবকাঠামোতে পরিবর্তন নিয়ে এসে পুরো বাংলাদেশকে ১৫০০ ওয়ার্ডে ভাগ করে ফেলা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডের পরিধি হবে ৯৬ বর্গ কি, মি।
২) নির্বাচন ব্যাবস্থাঃ
দেশের পুরো নির্বাচন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হবে। ওয়ার্ড ভিত্তিক স্থানীয় সরকার গঠন করে দেওয়া হবে যারা নির্বাচিত হবেন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে। প্রত্যেক ওয়ার্ডের স্থানীয় সরকার প্রধানগণের ভোটের ভিত্তিতে দেশে একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন যার দায়িত্ব হবে সম্পদের সুষ্ঠু বন্টন এবং ওয়ার্ড সরকারগুলোর চেক-ব্যালেন্স ঠিক রাখা।
৩) রাজনৈতিক দলঃ
দেশে কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল থাকবে না। ওয়ার্ডগুলোর প্রধান নির্বাচন করার সময় দলগুলোকে আলাদা আলাদা প্রতীক বরাদ্দ করে দেওয়া হবে যাতে কোন নির্দিষ্ট প্রতীক না থাকে। প্রতিটি ওয়ার্ড সরকারে থাকবে্ন ১২ জন উপদেষ্টা- ক) পরিকল্পনা, খ) সমাজকল্যান,
গ) অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য, ঘ) আইন, ঙ) প্রযুক্তি, চ) পরিবেশ, ছ) শ্রমিক, জ) খাদ্য, ঝ) বস্ত্র, ঞ) বাসস্থান, ত) চিকিৎসা, থ) আনন্দ। এই ১২ জন উপদেষ্টার নিজেদের মাঝ থেকে একজনকে ওয়ার্ড সরকার প্রধান হিসেবে বেছে নিবেন।
অর্থনৈতিক ব্যাবস্থাঃ
৪) প্রতি বছরের শেষ মাসে পরবর্তী বছরের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং অন্যন্য পণ্য ও সেবার মূল্য তালিকা ঠিক করে দেওয়া হবে। শ্রমিক ও যাটোর্ধ নাগরিকদে বিশেষ পাস দেওয়া হবে যা দেখিয়ে তারা চিকিৎসা ও পরিবহন ছাড়া সকল দ্রব্য ও সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে ২০% ডিসকাউন্ট পাবেন।
৫) ৫ বছরের মাঝে প্রতিটি নাগরিকের মাথাপিছু আয় কমপক্ষে ৫০,০০০ টাকায় উন্নিত করা হবে। সে হিসেবে দেশের আয় প্রতি বছরে কমপক্ষে ৭৫০০,০০,০০,০০,০০০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে। দেশের সকল মানুষের আয় নিশ্চিত করে বাড়তি টাকা দেশের উন্নয়নে ব্যয় হবে। সব ব্যবসায়ী একটি দ্রব্য বা সেবা থেকে সর্বোচ্চ ২৫% মুনাফা নিতে পারবেন। বাকি মুনাফা শ্রমিকদের মাঝে বণ্টন করে দিতে হবে।
৬) দেশের সকল জমির মালিকানা সরকারের থাকবে। সরকার কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও প্রযুক্তি'র জন্যে সবার প্রথমে জমি বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপরে, অগ্রাধিকার দেওয়া হবে শিল্প-কারখানার জন্যে।
প্রতিরক্ষা ও আইন-শৃঙ্খলা ব্যাবস্থাঃ
৭) দেশের নিয়মিত সামরিকবাহিনীর সংখ্যা কমিয়ে এনে ভূমির সকল নাগরিকদের ১৬ বছর থেকে সামরিক শিক্ষার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হবে। প্রতিটি মহল্লা থেকে ঐ ওয়ার্ডের জন্যে পুলিশ সদস্য-সদস্যা নিয়োগ পাবেন।
বাসস্থান ব্যাবস্থাঃ
৮) সকলের জন্যে বাসস্থান নিশ্চিৎ করতে কোন নাগরিকই ২টির বেশি ফ্ল্যাট রাখতে পারবেন না। ১৮ উর্ধো প্রতিটই নাগরিকের জন্যে হায়ার পারচেজ ভিত্তিতে ১০০ তলার বিল্ডিং-এ ফ্ল্যাট বরাদ্দ করা হবে।
বস্ত্র ব্যাবস্থাঃ
৯) প্রতিটি নাগরিককে প্রতি বছর ১টি টি-শার্ট, ১টি ফুলহাতা শার্ট, ২টি প্যান্ট, ১টি গেঞ্জি, ১টি মাফলার, ১টি চাঁদর, ১টি সোয়েটার এবং ১টি আন্ডারওয়ার দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাঃ
১০) সকল শিশু, ও ষাটোর্ধ নারী-পুরুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য-সুবিধা দেওয়া হবে।
শিক্ষা ব্যাবস্থাঃ
১১) সবার জন্যে শিক্ষা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে দিন ও রাতের কোর্স শুরু করা হবে। রিসার্চের উপর বিশেষ প্রাধান্য দিয়ে স্কুল থেকে ট্রেইনিং-এর ব্যবস্থা করা হবে। উচ্চ শিক্ষার জন্যে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা হবে।
পরিবহন ব্যাবস্থাঃ
১২) পরিবহন ব্যবস্থা হবে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ ভিত্তিতে। শহরের জন্যে বাস, আন্তঃ শহরের জন্যে ট্রেন ও লঞ্চ , বিদেশে ভ্রমনের জন্যে উড়োজাহাজ এবং জরুরী কাজের জন্যে হেলিকপ্টার হবে বাহন। সকল শ্রমিক, বুদ্ধিজীবি, শিক্ষার্থী এবং ষাটোর্ধ নাগিরকের জন্যে ফ্রি পরিবহন পাস দেওয়া হবে। নাগরিকরা প্রতি বছরের শুরুতে যাতে পরিবহন পাস সাপ্তাহিক, মাসিক এবং বাৎসরিক ভিত্তিতে কিনে নিতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাসগুলোর
জ্বালানী ব্যাবস্থাঃ
১৩) দেশের ৮০% বিদ্যুৎশক্তি পারমানবিক চুল্লি থেকে তৈরী হবে। খামারগুলোর জন্যে সামুদ্রিক শৈবাল থেকে বায়ো-ডিজেল উৎপন্ন করা হবে যেহেতু তা তৈরী করতে বেশি জায়গার দরকার হয় না।
পররাষ্ট্র ব্যাবস্থাঃ
১৪) দেশের বন্ধু রাষ্ট্র তৈরি করার ক্ষেত্রে শান্তিপ্রিয় দেশগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। তাদের সাথে জোট তৈরী করে ফ্রি ইকোনমিক জোন গঠন করা হবে।
এছাড়াঃ
১৫) ফরেন রিজার্ভের ফান্ড থেকে দেশের ও বিদেশের লাভজনক ব্যবসায় সরকার বিনিয়োগ করবে।
১৬) ব্যাংকের সুদের হার ২% করে দেওয়া হবে। সবাইকে ব্যবসায় উদবুদ্ধ করার লক্ষ্যে কোন ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট সুবিধা রাখা হবে না। বরং, আগ্রহীদের কাছ থেকে সরকার বিনিয়োগ নিয়ে লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে ব্যবসায় বিনিয়োগ করবে।
১৭) বিদেশী বিনিয়োগকারীরা দেশের অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করবেন দেশের কোন ব্যবসায়ীকে পার্টনার রেখে।
১৮) প্রতিটি ব্যবসায়িক সংস্থাকে কর্পোরেট সোশ্যাল রেস্পোন্সিবিলিটি ফান্ডে নিজেদের মুনাফার ৫% দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হবে।
১৯) প্রবাসীদের দেশে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টানারশিপ ভিত্তিতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হবে। তাঁদের পরিবারকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:০৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২|
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৬
নয়া পাঠক বলেছেন: তবে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ এবং সন্ত্রাসীদের সর্বোচ্চ দ্রুত সাজার ব্যবস্থা করা, এবং বিচার বিভাগ যেন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করে সেটা নিশ্চিত করা, ন্যায় বিচার ও সত্যের আলোকে কাজ করা। এ গুলোও যোগ করা যেতো। যদিও সরকারের কেউই এ প্রস্তাবগুলো পাবে বলে মনে হয় না।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমি ছাত্রসমাজের কাছে পাঠানোর ব্যাবস্থা করেই এখানে লিখেছি।
সিলেটে ওদের কাছে ইতিমধ্যে এটা চলে গেছে।
আপনার প্রস্তাবগুলো বেশ!
ধন্যবাদ নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৫
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: উত্তম প্রস্তাব