নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
এই পৃথিবী বড়ই রহস্যময়! এই পৃথিবীর চেয়েও বেশি রহস্যঘেরা তাতে বসবাসকারী কিছু মানুষ আছেন। এই মানুষগুলোর ক্ষমতা খোদাপ্রদত্ত। পৃথিবীর একেকটা জায়গার দায়িত্ব নিয়ে তাঁরা লোক চক্ষুর অন্তরালে থেকে পৃথিবীর মানুষদের উপকার করে যান নীরবে। ইনাদেরকেই কি 'শহর কুতুব' বলে?
আমি ছোটকাল থেকে এরকম মানুষদের চেনার চেষ্টা করেছি। তাঁদের ক্ষমতা পরীক্ষা করার চেষ্টা করেছি। লজিক দিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু, সব শেষে আমাকে আত্মসমর্পন করতে হয়েছে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি, এরকম মানুষরা নিজেদের ইনট্যুশন দিয়ে অনেক কিছু বলে দিতে পারেন। তাঁদের ছায়া মানুষেরই মতো। কিন্তু, তবু, কেন যেন অন্য মানুষদের সাথে তাঁদের মিল কম!
একবার আমার ফুফাতো বোন তাঁর স্বামীর সাথে চিটাগাং গিয়েছেন। কি কারণে মায়ের কারণে উতলা হলেন বোন। দুলাভাই এক ইমাম সাহেবের কাছে নিয়ে গেলেন। এক গামলা পানি নিয়ে আসলেন সেই ইমাম সাহেব। বোনকে বললেন সেটার দিকে তাকাতে। বোন তাকিয়ে দেখেন, সেখানে আমার ফুফা-ফুফুকে!
এর ব্যাখ্যা কি? হেলুসিনেশন? কিন্তু, আমার কাজিন তো পাগল নন!
আরেকবার, আমার বাসায় এলো এক অদ্ভুত ছেলে। আমার ছোট ভাইয়ের বন্ধু। তাঁর বুঝি অলৌকিক ক্ষমতা আছে, তাঁকে নিয়ে আমি হাঁসি-ঠাট্টা করছিলাম। এক পর্যায়ে, সে আমাকে বললো - তুমি কি জানতে চাও? আমি বললাম - তুমি আমার পেজারের পাসওয়ার্ড বলো দেখি! তাইলে বুঝবো তোমার সত্যই বিশেষ ক্ষমতা আছে। সে একটু মিষ্টি হাসলো! ওমা সে দেখি ৫ সেকেন্ড পরেই আমার পাসওয়ার্ড হুবুহু বলে দিলো!
আমার এক নিকট আত্মীয় আছেন, যিনি মানুষের মনের কথা বলে দিতে পারেন। আমার সাথে একবার তাঁর দেখা হলো। আমি যথারীতি তাঁকে নিয়ে মজা করছি। তিনি হঠাৎ বললেন - শাইয়্যান, তুমি বাইরে বেরুলে আজ তোমাকে কিছু মানুষ ধরে নিয়ে যাবে। বাইরে যেওনা! আমি তাঁকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে রাস্তায় বেরুলাম। সেই রাতে সংকর ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে থেকে আমাকে একদল মানুষ কিডন্যাপ করে আমার পিতা-মাতার কাছে মুক্তিপণ চায়।
আমার এক মামা ছিলেন। তিনি সিলেটে একবার নিজ বাসায় একা শুয়ে ছিলেন। তখন তিনি পড়ালেখা করতেন। হঠাৎ শুনেন তাঁকে কে যেন বলছে জানালার বাইরে হাত দিতে। আমার ঐ মামা খুব সাহসী ছিলেন। তিনি জানালার বাইরে হাত বাড়াতেই মনে হলো কেউ একজন তাঁকে কিছু একটা পড়িয়ে দিয়েছে! তিনি হাত ভিতরে এনে দেখেন তাঁর আঙ্গুলে একটা পাথরের আংটি পড়ানো!
আমার নানুর এক চাচা খুব খোদা ভীরু ছিলেন। সারা দিন আল্লাহ্র ইবাদত করে কাটাতেন। এতে পরিবারের খুব অসুবিধা হতো। তাঁরা একদিন আমার নানুর চাচাকে পরিবারের খোরপোশের দেওয়ার জন্যে খুব করে ধরলেন। সেই ব্যক্তি কিছুক্ষণ সময় নিয়ে পরিবারকে বললেন - বাথরুমে যাও। যা পাবে, তা তোমাদের। তাঁর পরিবার বাথরুমে গিয়ে দেখেন, সেখানে থাকে থাকে স্বর্ণ পড়ে রয়েছে!
শেষ করছি, আমার নিজের দেখা একটি ঘটনা বলে। একবার রাতে সিএনজি করে আমি আর আমার ছোট মামা মিরপুর যাচ্ছিলাম। কলেজগেটে সিগনালে আমাদের গাড়ি থামল। শীতের রাত। রাত ১১টা ছুঁই ছুঁই! হঠাৎ দেখি, ছালা পড়া এক ফকির আমাদের সিএনজি''র কাছে আসলো। আমার কাছে হাত পাততেই, আমি বললাম - আপনি যদি কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করে শোনাতে পারেন, তাহলে, আমি আপনাকে ভিক্ষা দিবো। পরক্ষনেই, সেই মলিন, উসকো-খুস্কো চেহারার মানুষটি আমাকে এতো সুন্দর সুরে কোরআন পড়ে শোনালেন! আমি সেই মানুষটিকে কোন টাকা-পয়সা দিতে পারি নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম.।
সবই মাত্রার খেলা। ত্রিমাত্রায় যা অলৌকিক, চতুর্থ বা পঞ্চম মাত্রায় তাই জলবত তরলং
বোধের পর্দা খুলে যে যতটা দেখতে পারে- সেই ততটা বিশ্বাস করে। বাকীরা ভ্রুকুটে হেসেই উড়িয়ে দেয়।
+++