নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০০১ সাল। টুইন টাওয়ার হামলার মাত্র ২ সপ্তাহ পরে, হিউলেট প্যাকার্ডের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কার্লি ফিওরিনা যখন এই ভাষণটি দেন, তখন পশ্চিমা ও ইসলামী সভ্যতার মাঝে দারুণ রকমের টানা-পোড়েন চলছে। ঠিক সেই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার মিনিয়াপোলিসে এই সাহসী বক্তব্য দেন এই নারী। আমি আপনাদের জন্যে পুরো বক্তব্যটি সূত্রসহ তুলে ধরছি বাংলায় -
=====================================================
একসময় পৃথিবীতে এমন একটি সভ্যতা বিস্তার লাভ করেছিলো যারা ছিল পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ।
এটি একটি মহাদেশীয় সুপার-স্টেট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল যা মহাসাগর থেকে মহাসাগর, আর উত্তরের জলবায়ু থেকে গ্রীষ্মমন্ডল ও মরুভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এর শাসনাধীনে বিভিন্ন ধর্ম এবং জাতিগত উতসের কয়েক মিলিয়ন মানুষ বাস করতো।
এই সভ্যতার অনেকগুলো ভাষার মধ্যে একটি ভাষা বিশ্বের অনেক ভূমির সার্বজনীন ভাষা হয়ে উঠেছিলো, সেই সাথে কোটি মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছিলো। এর সেনাবাহিনী অনেক জাতির লোকদের নিয়ে গঠিত ছিল এবং এর সামরিক সুরক্ষা এমন এক মাত্রার শান্তি ও সমৃদ্ধির সাক্ষাত দিয়েছিল যা আগে কখনোই শোনা যায় নাই। এই সভ্যতার বাণিজ্যের পরিধি ল্যাটিন আমেরিকা থেকে চীন এবং এর আশে-পাশের সকল ভূমিতে বিস্তৃতি লাভ করেছিল।
'নতুন কিছু আবিষ্কার করা'-এর নেশা এই সভ্যতার মূল চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছিলো। এর স্থপতিরা এমন বিল্ডিং ডিজাইন করেছিলেন যা মাধ্যাকর্ষণকে অস্বীকার করতো। এর গণিতবিদরা এমন বীজগণিত এবং অ্যালগরিদম তৈরি করেছিলেন যা আজকের যুগের কম্পিউটার তৈরি করতে এবং সুরক্ষিত কোড বানাতে সাহায্য করেছে। এর ডাক্তাররা মানবদেহ পরীক্ষা করে রোগের নতুন নিরাময় খুঁজে পেয়েছিলেন। এর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা যখন আকাশের দিকে তাকালেন, তখন তাঁরা তারাগুলোর নাম দিয়েছিলেন, যারফলে আজকালকার মহাকাশ ভ্রমণ আর অনুসন্ধানের পথ তৈরি হয়েছিলো।
এর লেখকরা হাজার হাজার গল্প তৈরি করেছেন। সাহস, রোম্যান্স এবং জাদু'র গল্প। এই সভ্যতার কবিরা প্রেমের কথা লিখেছিলেন, যখন তাঁদেরর পূর্বের অন্য কবিরা এই জাতীয় জিনিসগুলি ভাবতেও ভয় পেতেন।
যখন অন্যান্য জাতি আইডিয়াকে ভয় পেতো, তখন এই সভ্যতা এক্ষেত্রে তাদের চেয়ে বেশি উন্নতি লাভ করেছিল এবং সেই জাতিদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছিল। অবিবেচকরা যখন অতীতের সভ্যতা থেকে জ্ঞান মুছে ফেলার হুমকি দিয়েছিলো, তখন এই সভ্যতা জ্ঞানকে বাঁচিয়ে রাখে এবং অন্যদের কাছে তা পৌঁছে দেয়।
যদিও আধুনিক পশ্চিমা সভ্যতা এই বৈশিষ্ট্যগুলির অনেকগুলিই নিজেরা রপ্ত করে নিয়েছে, কিন্তু, আমি যে সভ্যতার কথা বলছি তা হচ্ছে ৮০০ থেকে ১৬০০ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত ইসলামী বিশ্ব, যে সময়ের মাঝে অটোমান সাম্রাজ্য ছিলো এবং সেই সাথে ছিলো বাগদাদ, দামেস্ক ও কায়রোর আদালত আর সুলেমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্টের মতো আলোকিত শাসকগণ। .
যদিও আমরা প্রায়শই অন্য এই সভ্যতার প্রতি আমাদের ঋণ সম্পর্কে অবগত নই, তবে সেই সভ্যতার উপহারগুলি আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। আরব গণিতবিদদের অবদান ছাড়া আজকের প্রযুক্তি শিল্পের অস্তিত্ব থাকতো না। রুমির মতো সুফি কবি-দার্শনিক আমাদের আত্ম ও সত্যের ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। সুলেমানের মতো নেতারা আমাদের সহনশীলতা এবং নাগরিক নেতৃত্বের ধারণায় অবদান রেখেছেন।
আর, সম্ভবত আমরা তাঁর উদাহরণ থেকে একটি পাঠ শিখতে পারি: এটি হচ্ছে- 'যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব', উত্তরাধিকার হিসেবে নয়। এটি এমন এক নেতৃত্ব ছিলো যা অত্যন্ত বৈচিত্র্যময় এক জনসংখ্যার সম্পূর্ণ ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েছিলো -- যার মধ্যে খ্রিস্টান, ইসলামি এবং ইহুদি ঐতিহ্য অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
এই ধরনের আলোকিত নেতৃত্ব -- যে নেতৃত্ব সংস্কৃতি, স্থায়িত্ব, বৈচিত্র্য এবং সাহসকে লালন করে -- ৮০০ বছরের উদ্ভাবন ও সমৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করে।
আজকের এই ধরনের অন্ধকার এবং গুরুতর সময়ে, আমাদের অবশ্যই এই রকম মহত্ত্বের আকাঙ্ক্ষাকারী সমাজ এবং প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। আমাদেরকে অবশ্যই আগের চেয়ে অনেক বেশি নেতৃত্বের গুরুত্বের উপর দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে হবে - সেই সাথে নেতৃত্বের সাহসী পদক্ষেপ আর নিজ নিজ নেতৃত্বের গুণাবলীর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
=====================================================
সূত্রঃ Click This Link.
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
জেনে বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ভাষন।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমার কাছে খুব বেশ ইনফরমেটিভ মনে হয়েছে।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:২৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
কোনো তুর্কি ব্লগার ব্লগে থাকলে ভালো হতো।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
তুর্কি ব্লগাররা বেশ ডানপিটে।
ধন্যবাদ।
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৫
কু-ক-রা বলেছেন:
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
শেয়ারের জন্যে ধন্যবাদ।
৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪০
Ruhin বলেছেন: ভারতীয়দেরও গনিতে অবদান আছে । মিশরীয়,ইরাকি রা তাদের ইসলাম পূর্ববর্তী সব সভ্যতাকেও স্বীকার করে ও গর্ব করে । কিন্তু এখানের মানুষরা এত কট্টর হলো কীভাবে?
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:১৩
এ পথের পথিক বলেছেন: তিনি বুঝলেও আমাদের মচতকার মানুষেরা এটা বুঝেও চায় না ।