![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মনে বিষ আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ঔষধ বিষ দিয়েই তৈরী হয়!
জন্মদিন আমাদের জীবনে এক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ দিন। শিশু হোক বা বৃদ্ধ, এ দিনে প্রিয়জনদের উপহার মানুষকে আনন্দিত করে। তবে, কবে থেকে জন্মদিনে উপহার দেওয়ার প্রথা শুরু হলো?
প্রাচীন যুগের জন্মদিন ও উপহার
প্রাচীন মিসর ও মেসোপটেমিয়ায় রাজাদের জন্মদিনে বা সিংহাসনে আরোহণ উপলক্ষে উপহার দেওয়া হতো। গ্রীকরা দেবী আর্টেমিসকে সম্মান জানাতে চাঁদাকৃতি কেক দিতেন। প্রাচীন রোমে সাধারণ মানুষের জন্মদিনও উদযাপন করা হতো, যেখানে উপহার হিসেবে সৌভাগ্য বয়ে আনার ছোট টোকেন দেওয়া হতো। চিত্রঃ হং বাও, বা লাল খাম, হলো আর্থিক জন্মদিন উপহার যা প্রাচীন চীনা ঐতিহ্য থেকে উদ্ভূত। এটি বৌদ্ধ ধর্মের “নরকের দশ বিচার” চিত্রের একটি বিস্তারিত অংশ। (জো মেবেল)
চীনের হান রাজবংশে (২০২ খ্রিস্টপূর্ব - ২২০ খ্রিস্টাব্দ) হং বাও বা লাল খামে অর্থ উপহার দেওয়া হতো, যা এখনো এশিয়ায় প্রচলিত। হিন্দু সংস্কৃতিতেও জন্মদিন পালন ছিল আত্মিক ও প্রতীকী উপহারের মাধ্যমে।
মধ্যযুগ থেকে রেনেসাঁ পর্যন্ত
মধ্যযুগে রাজা-রাজড়ারা উপহার-ভিত্তিক জমকালো জন্মদিন পালন করলেও সাধারণ মানুষের উদযাপন ছিল সহজ ও হাতে তৈরি উপহারে সীমাবদ্ধ। রেনেসাঁ যুগে ব্যক্তিক গুরুত্ব বাড়ায় জন্মদিনে উপহার দেওয়া আরও প্রচলিত হয়। শিল্প ও সাহিত্যে জন্মদিনের চিত্রায়ন দেখা যায়। উচ্চবিত্তদের মাঝে দামি অলঙ্কার ও শিল্পকর্ম উপহার দেওয়া হতো। চিত্রঃ ক্ষুদ্র চিত্রে কাউন্ট থিয়েরি দ্বিতীয় এবং তার স্ত্রী ফ্ল্যান্ডার্সের হিল্ডেগার্ডকে দেখা যাচ্ছে, যারা কোডেক্সটি এগমন্ড অ্যাবিতে উপস্থাপন করছেন।
আধুনিক যুগে জন্মদিন ও উপহার
১৮শ ও ১৯শ শতকে শিল্পবিপ্লব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির উত্থানে উপহার আরও সবার নাগালে আসে। হাতে তৈরি জিনিসের পাশাপাশি বানানো খেলনা, খাবার বা ব্যবহার্য জিনিস জনপ্রিয় হয়। শিশুর জন্মদিন তখন আলাদাভাবে উদযাপিত হতে শুরু করে। ছবি: রুশ রোমানভরা তাদের পরিবার ও বন্ধুদের জন্য বিখ্যাত অমূল্য উপহার তৈরি করতেন, যেমন ফ্যাবারজে ডিম যা ইস্টারে উপহার হিসেবে দেওয়া হতো। এর মধ্যে ছিল ‘লিলিস অফ দ্য ভ্যালি এগ’, যা এখানে দেখা যাচ্ছে, এটি ১৮৯৮ সালে জার নিকোলাস দ্বিতীয় তার স্ত্রী আলেকজান্দ্রাকে উপহার দিয়েছিলেন। (পেদ্রো সেজকেলি)
আজকের জন্মদিন সংস্কৃতি
বিংশ শতকে জন্মদিন উদযাপন হয়ে ওঠে আরও বাণিজ্যিক। গ্রিটিং কার্ড, র্যাপিং পেপার, অনলাইন গিফট ও ডিজিটাল উপহারের প্রচলন বাড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে পরিবেশবান্ধব ও অভিজ্ঞতা-ভিত্তিক উপহার জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
উপহারের অর্থ ও প্রভাব
জন্মদিনে উপহার দেওয়া ভালোবাসা ও সম্পর্কের প্রতীক। যুগে যুগে মানুষ এ অনুভূতির প্রকাশ ঘটিয়েছে উপহারের মাধ্যমে।
১১ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:১৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
উপহারের ছবি দিয়েছিলে বইতে?
আগের কালে, যখন ক্যামেরা ছিলো না, মানুষ উপহারের ছবি এঁকে রেখে দিতো, যাতে সেই উপহারের কথা সারা জীবন মনে থাকে আর উপহারের সাথে আসা আশির্বাদ সারা জীবন যাতে সাথে থেকে যায়।
এটা রাজা-রাণীদের কাজ হবে।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
২| ১১ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:২৫
শায়মা বলেছেন: দুঃখ সেই অপুর্বশৈলীর উপহারের ডালি সেই সময়ে কেউ মনে হয় আগে দেখেনি। ছবিও তুলে রাখিনি .....
শুধু চোখ দিয়ে জল ঝরেছিলো...... সেই চোখের জলের কি মানে সে শুধু আমি জানি আর আমার মন জানে ....
১১ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:৪২
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
এতো দিনে পরেও চোখের জল এলে জিনিসটা মনে দাগ কাটানো বিশেষ কিছু হবে।
নাতী নাতনীরা যাতে এটাকে মনে রাখে, একটা ছবি এঁকে রাখা উচিৎ।
যতটুকু মনে আছে, তা নিয়ে এঁকে ফেলো। মন কিছুটা হাল্কা হতে পারে।
৩| ১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৪২
ইয়া আমিন বলেছেন: ভালো লাগলো
১১ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:১৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৪| ১১ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০০
কামাল১৮ বলেছেন: গ্রীক হলো জ্ঞানের আতুর ঘর, রোম হলো শাসনের আতুর ঘর অর আরব হলো ধর্মের আতুর ঘর।
১১ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:২০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:১০
শায়মা বলেছেন: আমার জীবনের এই এত বছরের মাঝে একটা জন্মদিনের উপহার কখনও ভোলা হবে না আমার। কঙ্কাবতীর কথা বইটাতে সেই ঘটনার বিবরনে কিছু লিখেছিলাম একটু .....