নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমার মনে বিষ আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ঔষধ বিষ দিয়েই তৈরী হয়!

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কালো যাদুকরের দেশে (সত্য ঘটনা অবলম্বনে)

১৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৩০



দেশে থাকতে খুবই ডানপিটে ছিলো সুজন। মানুষকে সাহায্য করতো, বৃদ্ধদের রাস্তা পার করে দিতো, মেয়েদের দিকে চোখ তুলে পর্যন্ত তাকাতো না। সেই ছেলেটা বিদেশে এসে কেমন যেন হয়ে গিয়েছে! সব সময়ে ভয়ে ভয়ে থাকে। সে মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করে, কিন্তু, পারে না। সুজনের মাথার পিছনটায় মাঝে মাঝে কি যেন হয়ে যায়। প্রচণ্ড জ্বালা করে। তখন মনে হয়, মাথার ভিতরের সব কিছু পুড়ে যাচ্ছে,। সে এই সময়ে ব্যথা সহ্য করতে পারে না। বাসার বাইরে বেরিয়ে পরে হন্যে হয়ে হাঁটতে থাকে।

ঐ দিন সুজনের মাথার ভিতরে এরকমই কিছু এক্যটা হচ্ছিলো। দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়ে সে। ইউরোপের এই দেশটার মানুষ কেমন যেন। সবাই যে যার মতো একা। আর তারা রাস্তায় বেরুলে তো কথায় নেই! লম্বা লম্বা পা ফেলে হেঁটে চলে। পাশে কে কি করলো তার খোঁজ রাখে না। তাই, সুজনের মাথায় হাত দিয়ে পাগলের মতো প্রায় দৌড়ে চলাতে কেউ ভ্রুক্ষেপ করলো না।

কিছুক্ষণ পরে, কিছুটা ধাতস্থ হলে, যে রেস্টুরেন্টে সুজন কাজ করে, তার ম্যানেজারকে সে ফোন লাগায়। আজ কাজে যেতে পারবে না, সেটা জানিয়ে দেয়। ফোনের ওপাশ থেকে রেস্টুরেন্টের সিলেটি মালিক বললেন -

"এরকম করলে তো তোমাকে কাজে রাখা যাবে না। কয়েক দিন আগেও হুট করে বললে কাজে আসতে পারবে না। কি হয়েছে তোমার, ইয়াং ম্যান?"

"আমি জানি না, বস। মাথার পিছনটা মাঝে মাঝে কেমন যেন করে উঠে, জ্বালা করে। আমি কাজে মন বসাতে পারি না তখন।" সুজন কিছুটা রেখে ঢেকে বলে।

"মাথার ভিতরটা কেমন করে মানে? তুমি এখন কোথায়? এখুনি আমার সাথে দেখা করো। এক্ষুনি!"

রেস্টুরেন্ট মালিক ধরতে পেরেছেন সমস্যা কোথায়। ছেলেটাকে যাদু করা হচ্ছে। এভাবে চললে আবারো আরেকটা দুর্ঘটনা ঘটবে শহরে। এবারে হয়তো তার রেস্টুরেন্টের কর্মী সুজনের পালা! এর আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

সুজন সামনে হাঁটা দেয়। উদ্দেশ্য বাস স্ট্যান্ড। হঠাৎ মাথাটা ঝাঁকুনি দিয়ে ডান থেকে বামে ঘুরে যায় তার। মাথায় যখন যন্ত্রণা করে, তখনটায় এমন হয় তার। মাথার উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না, ঝাঁকুনি দিয়ে এদিক থেকে সেদিক হয়ে যায়।

এবারের ঝটকায় মাথা বামে ঘুরলো। সুজন তাকিয়ে দেখে সেখানে এক মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বয়স আন্দাজ করতে পারলো না সে! এই দেশে যেমন হয়, মেয়েদের বয়স বুঝা যায় না। আপাদমস্তক কালো গাউন পড়া মেয়েটা তার দিকে তাকিয়েই হাসচ্ছে।

জানুয়ারী মাস। গতকাল মাত্র তুষার পড়েছে। রাস্তায় ছোপ ছোপ তুষার পড়ে রয়েছে। এরামঝেই হাঁটছিল সুজন। দাঁড়িয়ে পড়ে ভাবে - মেয়েটা কি তার পরিচিত? কখনো দেখেছে বলে তো মনে হয় না! মনে পড়লো তার - এরকম প্রতিবার মাথা ঘুরার পরে বেশিরভাগ সময়েই পিছনে দাঁড়ানো ব্যক্তিকে বিড় বিড় করতে দেখেছে সুজন।

সে লক্ষ্য করে দেখল - সামনে দাঁড়ানো সুন্দরী মেয়েটা এমন কিছুই করছে। তারপরে, মেয়েটা হঠাৎ করে বলে উঠে - তোমার চাবিটা আমার কাছে, বয়! তুমি এখান থেকে পালাতে পারবে না!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সব দেশেই কালো জাদু আছে। এটা অন্য একটা জগত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.