![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মনে বিষ আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ঔষধ বিষ দিয়েই তৈরী হয়!
বিশ্বব্যাংক আশংকা করছে এই বছরে বাংলাদেশে আরো ৩০ লক্ষ মানুষ অতিদরিদ্র হবে।
বাংলাদেশে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ৩০ লাখ মানুষকে অতিদরিদ্র হওয়া থেকে রক্ষা করতে হলে দ্রুত, কার্যকর এবং সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই লেখায় একটি সম্ভাব্য ৬ মাসের রোডম্যাপ দেওয়া হলো, যেখানে স্বল্পমেয়াদি প্রভাব, বাস্তবায়নযোগ্যতা এবং আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে:
রোডম্যাপের সারাংশ (কী অর্জন হবে):
• ৩০ লাখ মানুষকে অতিদরিদ্র হওয়া থেকে রক্ষা করা
• নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ
• কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষের জন্য অস্থায়ী কর্মসংস্থান
• ২০ লাখ পরিবারকে নগদ ও খাদ্য সহায়তা
• সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় নতুন ৫-৭ লাখ পরিবার
প্রথম মাস: জরুরি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্য নিরাপত্তা
• নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মনিটরিং টাস্কফোর্স গঠন — দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে জেলা পর্যায়ে বাজার তদারকি জোরদার।
• টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রির আওতা দ্বিগুণ করা — স্বল্পমূল্যে চিনি, চাল, তেল, ডাল, পেঁয়াজ বিক্রি।
• স্বল্পআয়ের পরিবার চিহ্নিতকরণ শুরু — জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বরভিত্তিক তালিকা তৈরি।
দ্বিতীয় মাস: সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার ও সরাসরি সহায়তা
• "নতুন দরিদ্র" পরিবারের জন্য নগদ সহায়তা চালু (Cash Transfer) — প্রতি পরিবারকে ২-৩ হাজার টাকা করে এককালীন অর্থ সহায়তা।
• বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকায় নতুন পরিবার অন্তর্ভুক্তি — যেসব পরিবার ঝুঁকিতে আছে।
• কমিউনিটি কিচেন চালু করা (প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি করে) — কম দামে রান্না করা খাবার।
তৃতীয় মাস: কর্মসংস্থানের দ্রুত ব্যবস্থা
• "৬ মাস ৬ কাজ" প্রকল্প চালু — স্বল্পদক্ষ শ্রমিকদের জন্য সরকারি অবকাঠামো উন্নয়ন কাজে অস্থায়ী নিয়োগ।
• এসএমই খাতে দ্রুত লোন অনুমোদন — যেসব উদ্যোক্তা নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে।
• গ্রামীণ কর্মসংস্থান কর্মসূচি জোরদার — ধান কাটাসহ মৌসুমি কৃষি কাজের সঙ্গে যুব সমাজকে যুক্ত করা।
চতুর্থ মাস: মূল্যস্ফীতি রোধে ভর্তুকি ও বাজার নিয়ন্ত্রণ
• সরকারি খাদ্য মজুত বৃদ্ধি ও আমদানির গতি বাড়ানো — চাল, গম, ভোজ্যতেল ইত্যাদিতে।
• রেশন কার্ড চালু/বিস্তৃতকরণ — নিম্নআয়ের পরিবারকে প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী কম দামে দেয়া।
• ভেজাল ও কৃত্রিম সংকট রোধে জরুরি বাজার অভিযান চালানো।
পঞ্চম মাস: দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সংযোগ
• স্বল্পমেয়াদি (৩-৪ সপ্তাহের) ট্রেনিং কর্মসূচি চালু — সেলাই, কৃষি, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি বিষয়ের ওপর।
• “জব মেলা” আয়োজন — জেলা পর্যায়ে নিয়োগদাতাদের সঙ্গে কাজ খুঁজছেন এমনদের সংযোগ।
• ফ্রিল্যান্সিং ও অনলাইন কাজ শেখাতে জরুরি উদ্যোগ — ইউনিয়ন পর্যায়ে আইসিটি প্রশিক্ষণ শুরু।
ষষ্ঠ মাস: আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও পরিমিত মূল্য নিয়ন্ত্রণ
• মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে দারিদ্র্যপ্রবণ পরিবারে ডিজিটাল নগদ সহায়তা।
• মার্কেট পর্যবেক্ষণ করে প্রতিদিন পণ্যের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ ও প্রচার।
• গণসচেতনতা বাড়াতে “অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সচেতনতা সপ্তাহ” পালন — গণমাধ্যম, সামাজিক মাধ্যম ও স্থানীয় প্রশাসনের অংশগ্রহণে।
২| ১৯ শে মে, ২০২৫ রাত ৮:৪৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দেশে এক বছরে বেকার বেড়েছে সোয়া তিন লাখ। তিন মাসে বেকার হয়েছে ৬০ হাজার আর বেকারত্বের হার বেড়েছে ৪.৬৩ শতাংশ। প্রেস সচিব কে বেকার রা খুজতেসে।
৩| ১৯ শে মে, ২০২৫ রাত ৯:১৬
কামাল১৮ বলেছেন: কানাডায় প্রতিটা চাকুরিজিবিকে ৪০% টেক্স দিতে হয় প্রতিটা বেকার কে বেকার ভাতা দেয়া হয় এবং বয়স্ক ভাতা দেয়া হয়।এবং এই জন্য রাষ্ট্রকে হতে হয় জনকল্যানমুখী।
৪| ১৯ শে মে, ২০২৫ রাত ৯:৪৭
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: চিন্তার বিষয়। সরকারের যদি বোধগম হয় আরকি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মে, ২০২৫ রাত ৮:৩৭
শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম এদের দিকে নজর দেওয়া দরকার কিন্তু সবাই তো ক্ষমতার লোভে অন্ধ হওয়া গেছে খালি নির্বাচন নির্বাচন করতেছে দেশে মনে হয় আর কোনো টপিক নাই