নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমার মনে বিষ আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ঔষধ বিষ দিয়েই তৈরী হয়!

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপমহাদেশে আরবদের আগমনের পূর্বে সৃষ্টিকর্তা কি নামে পরিচিত ছিলেন?

২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:০৭

ভারতীয় উপমহাদেশে আমাদের নবীজীর অনুসারীদের আগমনের ১৪০০ বছর হয়ে যাবে। সেই সময়ে, কেরালার রাজা চেরামান পেরুমল
মহানবী (সা)-কে নবী হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু, এর আগে, উপমহাদেশে এক সৃষ্টিকর্তা'র জয়গান গাওয়ার মানুষের অভাব কখনোই হয় নাই। পরম স্বত্বা এক সৃষ্টিকর্তা তখনকার সময়ে এইসব মানুষদের মাঝে কি নামে পরিচিত ছিলেন?

'আল্লাহ্‌', 'রহমান', 'রাহিম' তো আরবী শব্দ। যদিও ভারতীয় উপমহাদেশে আরব্য বনিকদের আগমন কয়েক হাজার বছর ধরে চলমান, মহানবী (সা)-এঁর আগমনেরও পূর্বে। তবু, এই উপমহাদেশের প্রাচীন ধর্মাবলম্বী অনেকে ভারতীয় ছিলেন যারা এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী ছিলেন।

সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেক জাতির মাঝে নবী পাঠিয়েছিলেন। আমাদের নবীজী তাঁদের মাঝে সিলমোহর ছিলেন। কিন্তু, উপমহাদেশের নবীদের অনুসারীরা তো আরবী ভাষায় কথা বলার কথা না, যেহেতু ভারতীয় উপমহাদেশের ভাষা আরবী থেকে ভিন্ন।

পৃথিবীর এই অংশে, অর্থাৎ, ভারতীয় উপমহাদেশের ভাষাগুলি প্রধানত চারটি ভাষা পরিবারের অন্তর্গত: ইন্দো-আর্য, দ্রাবিড়, অস্ট্রো-এশীয় এবং তিব্বত-বর্মী। এর মধ্যে ইন্দো-আর্য এবং দ্রাবিড় ভাষাভাষীর মানুষ সবচেয়ে বেশি। ইন্দো-আর্য ভাষাগুলো প্রাচীন সংস্কৃত ভাষা থেকে উদ্ভূত এবং এদের মধ্যে হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, গুজরাটি, পাঞ্জাবি, ওড়িয়া, এবং কাশ্মীরি উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে, দ্রাবিড় ভাষা দক্ষিণ ভারতে প্রচলিত, যেমন - তামিল, তেলেগু, কন্নড়, এবং মালয়ালম। অস্ট্রো-এশীয় ভাষা ভারতের পূর্বাঞ্চলে এবং কিছু অংশে মধ্য ভারতে প্রচলিত, যেমন - সাঁওতালি, মুন্ডারি ইত্যাদি। তিব্বত-বর্মী ভাষাসমূহ উত্তর-পূর্ব ভারতে এবং হিমালয় অঞ্চলে প্রচলিত, যেমন - নেপালি, বোড়ো, মণিপুরি ইত্যাদি।

আমি বিশ্বাস করি, এসব ভাষায় মহামহিম এক সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেদের নবীর উপর আসা আসমানী কিতাব বা সহিফা অনুযায়ী নিজেদের ভাষায় সাহায্য চাওয়া হয়। আমরা যদি সত্যই সৃষ্টিকর্তার গুণগান গাইতে চাই, আমাদেরকে আমাদের অন্য ভাষাভাষী ভাই-বোনদের জানার চেষ্টা করতে হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৩২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আল্লাহর যত নাম আছে সবই সুন্দর সুন্দর অর্থবহন করে।

২৬ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:১৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আমিও তা-ই মন করি।

খোদার সুন্দর নাম আমাদের মনে সূন্দর অর্থের সৃষ্টি করে। জীবনটা হয়ে উঠে অর্থবহ। প্রতিটি জাতির মাঝেই এক খোদা বিরাজ করেন।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.