নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমার কাছে অনেক আইডিয়া আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সব কিছুর মূলে রয়েছে আইডিয়া!

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘গেট ওয়েল সুন প্রজেক্ট’: লাগে রহো মুন্নাভাই সিনেমা থেকে শেখা একটি মানবিক বিপ্লব

১০ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩১



‘লাগে রহো মুন্নাভাই’ সিনেমার অনুপ্রেরণায় তৈরি হওয়া ‘গেট ওয়েল সুন প্রজেক্ট’ ছিল একটি মানবিক আন্দোলন, যা বদলে দিয়েছিল অসুস্থ, অবহেলিত মানুষদের জীবনে ভালোবাসার অনুভব। জানুন কীভাবে এই প্রকল্প মানুষের মন জয় করে নিয়েছিল।

প্রেক্ষাপট: 'লাগে রহো মুন্নাভাই' সিনেমা ও গান্ধীগিরি
২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রাজকুমার হিরানি পরিচালিত সিনেমা ‘লাগে রহো মুন্নাভাই’ ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। মজার ও হৃদয়গ্রাহী এই ছবির মূল উপজীব্য ছিল ‘গান্ধীগিরি’, অর্থাৎ অহিংসা, ভালোবাসা, মানবতা ও সহানুভূতির মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন আনা।

এই সিনেমার মূল চরিত্র মুন্নাভাই যখন গান্ধিজির ভাবধারায় মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে জয় করতে থাকে, তখন তার সবচেয়ে মানবিক উদ্যোগগুলোর একটি ছিল ‘গেট ওয়েল সুন প্রজেক্ট’।

‘গেট ওয়েল সুন প্রজেক্ট’ কী?
এই প্রজেক্টের পেছনে ভাবনাটি ছিল খুব সাধারণ, কিন্তু প্রভাব ছিল অসাধারণ। মুন্নাভাই ও তার বন্ধুরা বিভিন্ন হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রম কিংবা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত রোগীদের কাছে গিয়ে শুধুমাত্র ভালোবাসা, সাহচর্য ও শুভকামনা পৌঁছে দিতো।

তারা বলতো—
“গেট ওয়েল সুন ভাই... তুম তো হিরো হো!”

এই আন্তরিক বার্তাটি রোগীদের মনে আশার আলো জ্বালাতো, এবং বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত — একজন রোগীর মানসিক শক্তি ও ইতিবাচক অনুভূতি তার আরোগ্য প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।



কেন এই প্রজেক্ট এত গুরুত্বপূর্ণ?
অনেক রোগী শুধু শারীরিকভাবে নয়, মানসিকভাবে একাকীত্ব ও অবহেলার শিকার হন। পরিবারের লোকজনও সবসময় পাশে থাকতে পারেন না, বিশেষ করে বৃদ্ধ রোগীদের ক্ষেত্রে। অনেক সময় ডাক্তারি চিকিৎসার পাশাপাশি দরকার পড়ে ভালোবাসার চিকিৎসা।

‘গেট ওয়েল সুন প্রজেক্ট’ থেকে আমরা কী শিখতে পারি?

১. সহানুভূতির শক্তি:
একজন মানুষকে স্রেফ “ভালো হয়ে যাও” বলা, তাকে চোখে চোখ রেখে হাসি দিয়ে কথা বলা—এসবই হতে পারে অমূল্য ওষুধ।

ভালোবাসার জোর:
সুস্থ হওয়ার পথে শুধু ঔষধ নয়, একজন মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও শুভকামনা তার মনোবলকে চাঙা করে।

মানবিক সমাজ গড়ার দীক্ষা:
এই প্রজেক্ট প্রমাণ করে যে—মানবিকতা এখনো জীবিত, যদি আমরা তা চর্চা করি।



আপনি চাইলে কী করতে পারেন?

১) কাছের কোনো হাসপাতাল বা বৃদ্ধাশ্রমে সপ্তাহে একদিন সময় দিন।

২) রোগীদের পাশে বসে গল্প করুন, গান গান, সাহস দিন।

৩) আপনার স্কুল, কলেজ বা অফিসে একটি ছোট ‘গেট ওয়েল সুন’ ক্লাব শুরু করুন।

শেষ কথা
আমরা অনেক সময় ভাবি, পৃথিবীটা অনেক কঠিন। কিন্তু একটি হাসি, একটি স্পর্শ, একটি শুভকামনা—এগুলো দিয়েই আমরা বদলে দিতে পারি একটি মানুষের দিন, এমনকি জীবনও।

‘গেট ওয়েল সুন প্রজেক্ট’ আমাদের শেখায়—নীরব, ছোট ছোট কাজ দিয়েও শুরু করা যায় এক মানবিক বিপ্লব।

আপনি যদি গান্ধীগিরিতে বিশ্বাস করেন, তবে আজ থেকেই শুরু হোক আপনার নিজের 'গেট ওয়েল সুন' প্রজেক্ট।
>>>ভালোবাসা ছড়ান।
>>>ভালো থাকার দোয়া দিন।
>>>মানুষকে মানুষ ভাবুন।

আপনার মতামত দিন:
আপনি কি কখনো কাউকে ছোট্ট একটি বার্তায় সাহস ও ভালোবাসা দিয়েছেন? কমেন্টে শেয়ার করুন।


মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্টে পরে আসছি।
মন্তব্য তখন করিব।

২| ১১ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: মুভিটি দেখেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.