নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমার কাছে অনেক আইডিয়া আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সব কিছুর মূলে রয়েছে আইডিয়া!

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাইয়্যেদা আল হুররা - বিশ্বের সর্বশেষ \'স্বাধীন\' মুসলিম সম্রাজ্ঞী

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:০৭



সৈয়দা হুররা-এর নাম হয়তো অনেকেরই অজানা। তিনি ছিলেন মুসলমানদের ইতিহাসে প্রথম নারী জলদস্যু!

জলদস্যু নামটি শুনলেই কেমন গা শিউরে উঠে...কিন্তু, যখন জানবেন যে, স্পেনের গ্রেনাডার শাসক পরিবারের সন্তান সাইয়্যেদা হুররাকে কিভাবে ছোটকালে শরণার্থী হিসেবে কাটাতে হয় যা তাঁকে পরে একজন জলদস্যুতে পরিণত করে, তখন ঠিকই তাঁর পক্ষে কথা বলাটা স্বাভাবিক হয়ে পড়ে।

স্পেনের গ্রানাডাতে মুসলমানদের উপর যে অবর্ণনীয় অত্যাচার করা হয়, তারপরেই সাইয়্যেদা হুররা-এর পরিবার অন্য একটি শহরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।

'সাইয়্যেদা হুররা' ছিলো তাঁর উপাধি। যার অর্থ হল সার্বভৌম স্বাধীন রানী। তার প্রকৃত নাম লাল্লা (লেডি) আয়েশা বিনতে আলি ইবনে রশিদ আল-আলমি। তাঁর বাবার নাম মৌলায় আলি ইবনে রশিদ এবং মায়ের নাম লেডি জোহরা ফারনান্দেজ। লেডি আয়েশার মা খ্রিস্ট ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণ করেন। লিডি আয়েশার জন্ম ১৪৮৫ সালে স্পেনের তৎকালীন রাজধানী গ্রানাডায়।

১৪৯২ সালে গ্রানাডার পতন ঘটলে তার পরিবার মরোক্কোয় চলে আসেন। সাইয়েদার বয়স যখন ১৬ বছর তখন তার বিয়ে হয় মরোক্কোর স্থানীয় তিতওয়ান প্রদেশের প্রশাসক আবুল হাসান আল-মান্দারির সঙ্গে। ১৫১৫ সালে তার স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি উত্তর মরক্কোর তিতওয়ানের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পরে তিনি উত্তর মরক্কোর সুলতান আহমেদ আল-ওয়াত্তিসিকে বিয়ে করেন। তিনি হলেন তিতওয়ানের রাণি। রাণি হিসেবে অধিষ্ঠিত হবার পর তিনি ভূমধ্যসাগরে চলাচলরত স্প্যানিশ ও পর্তুগিজ বাণিজ্যিক জাহাজ লুট করার সিদ্ধান্ত নেন।

‘খ্রিষ্টান দুশমনদের’ শাস্তি দিতে তিনি তৎকালীন দুর্ধর্ষ নৌযোদ্ধা ও জলদস্যু বলে খ্যাত আলজিয়ার্সের বারবারোসা ভাইদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি তার তিতওয়ানে বসবাসরত গ্রানাডার পুরোনো নাবিক ও নতুন যোদ্ধাদের সাথে নিয়ে তার নৌবাহিনী গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে, স্পেনিয়ার্ড ও ইউরোপীয়দের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া শুরু করেন। তাদেরকে মেডিটারিয়ান সমুদ্র জুড়ে তাড়িয়ে বেড়াতে থাকেন। তাঁর অভিযানে পর্তুগিজরা সম্মিলিত ভাবে খোদার কাছে প্রার্থনা জানতে বাধ্য হয় যাতে স্রষ্টা সৈয়দা হুররাকে জাহাজের মাস্তুলের সাথে ঝুলিয়ে ফাঁসি দেন।

কিন্তু, তাদের সেই আশা পূরণ হয়নি। সৈয়দা হুররা ঠিকই সাগর জুড়ে তাঁর তান্ডব চালিয়ে যেতে সক্ষম হোন। ১৫৬১ সালের ১৪ জুলাই তিনি মরক্কোর তেতুয়ানে মৃত্যুবরণ করেন। ইতিহাসবীদরা বলে থাকেন, তিনিই ছিলেন মুসলমানদের ইতিহাসের শেষ সম্রাজ্ঞী যিনি 'আল হুররা' বা 'স্বাধীন' টাইটেলটি গ্রহণ করেছিলেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:২২

জুনায়েদ আহমেদ নেজাদ বলেছেন: সৈয়দা হুররার মতো নারীরা ইতিহাসে সত্যিই ব্যতিক্রম। তবে একটি ছোট সংশোধনী- তিনি তিউনিসিয়ার নয় বরং তিনি মেইবি মরক্কোর তিতুয়ানের শাসক ছিলেন। মৃত্যুর সাল নিয়েও ইতিহাসে মতভেদ আছে। তবুও, এমন নারীদের জীবনগাথা ইতিহাসকে কেবল স্মরণ নয়, প্রশ্ন করতেও শেখায় ।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



সাইয়্যেদা আল-হুররা অন্যায়ের বিরুদ্ধে শক্তির এক বহিঃপ্রকাশ।

তিনি স্পেনের গ্রানাডা'র রাজ পরিবারের সন্তান ছিলেন। এবং, পরবর্তীতে তাঁর পরিবারের সাথে মরক্কোর তিতুয়ানে নির্বাসিত হোন।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:০৬

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় জানা হলো। খুব ভালো লাগল পড়ে।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:২৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রামানিক ভাই। আশা করি ভালো আছেন।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.