| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যপথিক শাইয়্যান
আমার কাছে অনেক আইডিয়া আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সব কিছুর মূলে রয়েছে আইডিয়া!
.
..
জনগণের নিকট থেকে ক্ষমতা পাওয়ার পরে, বাংলাদেশের বিগত কোন সরাকারই সঠিক ভাবে জবাদিহি করে নাই। শুধু প্রত্যেক ৫ বছর পর পর ভোটের মাধ্যমে যখন ক্ষমতার পালা বদল হয়েছে, তখন বোঝা গিয়েছে যে, আগের সরকারের কাজ জনগণ ভালো চোখে দেখে নাই। জনগণের চোখকে ফাঁকি দিতে অনেক সরকার ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং পর্যন্ত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই যখন অবস্থা, তখন কি করা প্রয়োজন? কিভাবে জনগণের কাছে সরকারকে জবাবদিহি করানো নিশ্চিত করাতে হবে?
যে কোন সরকার দুই ধরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। একটি হচ্ছে - দীর্ঘ মেয়াদী, আরেকটি হচ্ছে স্বল্প মেয়াদী। মোবাইলফোন ও ইন্টারনেটের যুগে কোন গুরুত্বপূর্ণ ডিসিশন নেওয়ার আগে ও পরে জনগণের মতামত নেওয়া যেতে পারে। যেমনটা মোবাইলফোন কোম্পানীগুলো আগে করতো, কাস্টমার জরিপ করে করে তাঁরা সেবার মান উন্নত করতো, ঠিক সেভাবে মূহুর্তেই জনগণের কাছে পৌঁছাতে মোবাইলফোন ব্যবহার করতে পারে সরকারগুলো। যদি তা তাঁরা করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন জনগণের পালস এখন কোন দিকে।
১. ডিজিটাল জনমত ব্যবস্থা গড়ে তোলা:
প্রতিটি বড় নীতিগত সিদ্ধান্তের আগে সরকার একটি ডিজিটাল জনমত প্ল্যাটফর্ম (Government Feedback App) চালু করতে পারে। মোবাইল নম্বর বা জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে নাগরিকরা সরাসরি মতামত দিতে পারবেন। যেমন—কোন নতুন প্রকল্প, করনীতি, বা বিদেশনীতি গ্রহণের আগে সরকার জনমত যাচাই করবে। এতে “জনগণের পালস” তাৎক্ষণিকভাবে বোঝা সম্ভব হবে।
২. বাধ্যতামূলক বার্ষিক জবাবদিহি প্রতিবেদন:
প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে বছরে একবার “জনপ্রতিনিধিদের কাছে রিপোর্ট” ছাড়াও জনগণের সামনে “জনগণের রিপোর্ট” প্রকাশ করতে হবে, যেখানে ট্যাক্সের টাকা কিভাবে খরচ হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। এই রিপোর্ট অনলাইন ও স্থানীয় প্রশাসন অফিসে উন্মুক্ত থাকবে।
৩. স্থানীয় পর্যায়ে নাগরিক পর্যালোচনা সভা:
ইউনিয়ন, উপজেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে প্রতি ছয় মাসে একবার “জনগণের প্রশ্ন দিবস” আয়োজন করা যেতে পারে, যেখানে জনপ্রতিনিধি ও আমলারা জনগণের প্রশ্নের জবাব দেবেন। এটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সম্প্রচার করা উচিত।
৪. পার্লামেন্টে নাগরিক অংশগ্রহণ:
প্রতিটি সংসদীয় কমিটিতে সাধারণ নাগরিক, বিশেষজ্ঞ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি রাখার প্রথা চালু করা যেতে পারে, যেন জনগণের মতামত নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় প্রতিফলিত হয়।
৫. গণমাধ্যম ও তথ্য অধিকার শক্তিশালী করা:
তথ্য অধিকার আইনকে বাস্তবে প্রয়োগ করতে হবে, যাতে নাগরিকরা সহজে সরকারি তথ্য পেতে পারেন। সরকারি বিজ্ঞাপন বা অর্থায়নের মাধ্যমে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের প্রবণতা বন্ধ করতে হবে, যাতে মিডিয়া স্বাধীনভাবে সরকারকে প্রশ্ন করতে পারে।
৬. ভোট নয়, কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন সংস্কৃতি:
প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের কার্যকারিতা নির্ণয়ে একটি স্বাধীন গভর্ন্যান্স স্কোরকার্ড চালু করা উচিত, যা নিয়মিতভাবে অনলাইন প্রকাশ করা হবে। এতে বোঝা যাবে কোন মন্ত্রণালয় কতটা কার্যকরভাবে জনগণের জন্য কাজ করছে।
৭. নাগরিক প্রযুক্তি (Civic Tech) ব্যবহারে উৎসাহ:
যেভাবে বেসরকারি কোম্পানিগুলো কাস্টমার ফিডব্যাক নিয়ে সেবা উন্নত করে, ঠিক সেভাবে সরকারও “GovTech Feedback System” চালু করতে পারে। SMS, WhatsApp, বা সরাসরি অ্যাপের মাধ্যমে জনগণ অভিযোগ বা পরামর্শ দিতে পারবে—যা তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে যাবে।
সারসংক্ষেপে, সরকারের জবাবদিহিতা কেবল নির্বাচনকেন্দ্রিক হওয়া উচিত নয়; বরং তা হতে হবে অবিরাম, প্রযুক্তিনির্ভর ও স্বচ্ছ। সরকার যদি নিয়মিতভাবে জনগণের মতামত গ্রহণ করে এবং তার ভিত্তিতে নীতি নির্ধারণ করে, তাহলে “গণতন্ত্র” কেবল ভোটের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সত্যিকার অর্থে “জনগণের শাসন” হয়ে উঠবে।
ফটোগ্রাফিঃ শাইয়্যান
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৭:১১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
হুম, চিন্তার কথা!!!
ধন্যবাদ নিরন্তর।
২|
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ২:৫০
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
আপনার আইডিয়াগুলো সামুতে হারিয়া যাচ্ছে, আপনার মাথা খালি হয়ে যাচ্ছে;এগুলো আপনার মাথা থেকে যাতে বের না;হয়, সেটার জন্য ব্যবস্হা নেবো?
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৭:১৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনি ঝাড় ফুঁক করেন সেটা তো জানতাম না!!!
ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ রইলো।
সত্যিই, আজকাল আইডিয়া কম শেয়ার করি। কিপটা হয়ে গিয়েছি।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:৫৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সরকার? তাও আবার বাংলাদেশের! করবে জনগণের কাছে জবাবদিহি?
