![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ হতে চেয়ে কি যে হচ্ছি তা নিজেও জানিনা
গেরুয়ার ঢালের চা, পান বিড়ি বিক্রেতা সালাম মিয়া কয়েকদিন ধরে খুব অস্বস্তির মধ্যে আছে। তার দোকানে হরেক রকমের কাস্টমার আসে। ছাত্র, স্যার থেকে শুরু করে সব শ্রেনীর লোকেরাই তার দোকানে বসে চা খায়। সিগারেট খায়। বিকালে সে সিংগাড়া, সমুচা বানায় তাও খায়। কে ভালো আর কে খারাপ তা তো আর চেহারা দেখে বোঝা যায় না। তার এক ওস্তাদ আছে, খুবই গুনীন মানুষ। খুব ভালো ভাটির গান জানেন। উনি সালামকে ছোট থেকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন। তার মধ্যে একটা হলো হাতের তালুতে কিছু রেখার দিক আর কিছু চিহ্ন দেখে মানুষ সম্পরকে বলা। মানে জোতিষ বিদ্যা। সালাম যখন ব্যস্ত না থাকে তখন তার সমপর্যায়ের মানুষদের হাত দেখে নানা রকমের অবাক করা কথাবার্তা বলে দেন। তিনি অস্বস্তিতে আছেন তার এক কাস্টোমারকে নিয়ে। সেদিন জালালের ছেলের হাত দেখছিলেন। দেখা শেষ হতে এক লোক তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলে বসলো আমারটা একটু দেখে দেন।
সালাম মিয়া বলে উঠলো, আরে ভাই আমি কোন হাত দেখতে পারি না। ওস্তাদে কিছু জিনিষ শিখায় দিয়েছিলো তাই মাঝে মধ্যে কাজে লাগাই।
তারপরো দেখেন একটু আমারটা।
লোকটার হাত দেখেই তার অস্বস্তির শুরু। সকল প্রকারের অশুভ ইংগিত বহন করছিলো হাতটা।
সালাম কি বলবে ভেবে পেলো না, সে শুধু বললো ভাই আজকে থাক। অন্য একদিন দেখে আপনাকে বলবো।লোকটা একটা অদ্ভুত হাসি দিয়ে সিগারেট কিনে নিয়ে চলে গেলো বাজারের দিকে।
এরপর থেকেই সালাম চেষ্টা করছে যখনই লোকটা তার দোকানে আসে তখনই তখনই কোন একটা অজুহাতে ব্যস্ততা দেখানো যায় কিনা। আবার আরেকবার তার হাতটাও দেখতে ইচ্ছা করছে। তার ওস্তাদ তাকে অনেক ধরনের হাত থেকে দূরে থাকতে বলে দিয়েছেন। তার মধ্যে ভয়ানক যেটা তা হলো খুনী হাত।
অর্থাৎ এই হাত দ্বারা হয় খুন হয়েছে অথবা এক দিন কেউ খুন হবে। সালাম অশিক্ষিত মানুষ। তাই সে এই ধরনের আধিভৌতিক জিনিষে বিষ্বাসটাও বেশি করেন। এরপর থেকেই সে তার পরিচিত জনদের জিজ্ঞাসা শুরু করেছে কেউ অই লোকটাকে চিনে কি না। দেখা গেলো লোকটা অপরিচিত। সালাম গেরুয়াতে আছে অনেক বছর ধরে। সাত আট বছরতো হবেই। এই কয়েক বছরে লোকটাকে সেদিনের আগে কখনো দেখেছে কিনা মনে করতে পারলো না। সে লোকটা সম্পরকে এক ভীতিকর কৌতূহল অনুভব করলো।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:১৩
সজীব ঘোষ শুভ্র বলেছেন: আপনার ভালো লাগায় আমিও আনন্দিত।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:০৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: পড়ে ভাল লেগেছ।