![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ হতে চেয়ে কি যে হচ্ছি তা নিজেও জানিনা
দোস্ত আমি অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছি রে।
আমার সাথে তুই যোগাযোগ করিস না আর আমি করলেও তার কোন উত্তর দিস না।
সব ঠিক হয়ে যাবে। নতুন করে আবার শুরু করবো আমরা। একবার হাত মিলিয়ে দেখ না।
না দোস্ত। আমার মাথায় একেক সময় একেক রকমের চিন্তা খেলা করে। আমি বোধ হয় পাগল হয়ে গিয়েছি। সহজ একটা কথারো আমি চতুর্মুখি রাস্তা খুজে পাই। যার প্রত্যেকটা নর্দমায় গিয়ে শেষ হয়েছে।
সময়ের সাথে সাথে দেখবি সব পালটে যাবে।
না দোস্ত। স্মৃতি এমন এক বস্তু যা বিশ্বাসঘাতকতা করেনা। এমন অনেক খারাপ কাজ আছে যেগুলো ইচ্ছা করে করেছি। অনেক ভালো মনের মানুষকে আমি কষ্ট দিয়েছি। আরেক জন সুখে আছে আর আমি সীমাহীন দুর্ভোগে তাই তাকেও উত্যক্ত করেছি নানা ভাবে।
আমার অপকর্ম এর কোন শেষ নেই। দেশের কোন আইন এর বিচার করতে পারবে না।
এখন থেকে করবি না। হয়ে গেলো। আর আমরা তো তোকে চিনি। তুই উলটা পালটা কিছু করতে গেলেই আমরা তোকে ধরে নিষেধ করবো।
হা রে দোস্ত। এতোই যদি সহজ হতো সব কিছু তাহলে অনেক কিছুই করা যেতো। তোরা বললি না যে আমাকে চিনিস। তোরা কিচ্ছু চিনিস না আমাকে। আমি নিজেই চিনিনা আমাকে ঠিকমতো আর তোরা। আমি যদি ফন্দি আটি যে ক্ষতি করবো তবে কারো সাধ্য নেই তাতে বাধা দিবে।
ফন্দি ফিকির না করলেই হয়।
না! আমার মস্তিষ্ক আর চার পাচটা সাধারন মানুষের মতো কাজ করে না। এক্সেসেপশনাল ব্রেইন পাওয়ার ক্যাপাবিলিটি আছে আমার। সব সময় সে কিছু না কিছু করে চলেছে। অনেকটা জৈব কম্পিউটার বলতে পারিস। আমি যেখানে যেখানে গিয়েছি যে যে জিনিস আমি দেখেছি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে তার সাথে সুক্ষন একটা সং্যোগ রেখে চলেছে আমার মস্তিষ্ক। সময়ের সাথে অবস্থা এবং বস্তুর পরিবর্তনের সেই সব তথ্য সে সাজিয়ে রাখছে খুব স্বাভাবিক ভাবে। এরকম তোদের বেলায় ঘটে। বল।
তুই কি বললি তার আগা মাথা তো কিছুই বুঝলাম না। শুধু ব্রেইন আর তথ্য সাজানো বলছিস বারবার।
এই কারনেই আমার তোদের মতো স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্ভব না।
কিন্তু সাইকোলজিস্টতো ব্যাখ্যা করে বুঝালেন কেন সাইকায়াট্রিস্ট এর কথা মতো চলতে হবে।
তোদের মাথা বুঝিয়েছে। অই থার্ড ডিগ্রি ডাক্তার আসছিল আমারে বিশ্লেষন করতে। এমন এক শাস্তি দিয়েছি না। শালা সারা জীবন মনে রাখবে। এখান থেকে ওর কাছে গেলেই বুঝতে পারবি কি টোন দিয়েছি তাকে। রামছাগল সাইকায়াট্রিস্ট।
তোর ভালোর জন্যই তো আংকেল এতো টাকা খরচ করে বিদেশী দুইজন রিনোন ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট নিয়েছেন আজ। এখন তুই গুবলেট বাধাচ্ছিস।
আরে রাখ তোর গুবলেট। গোবর গুলিয়ে খাওয়ানো উচিত ছিল হারামজাদাকে।কিছুক্ষন আমার ব্যক্তিজীবন এর কাহিনী শুনে কিছু করে না উঠতে পেরে হিপনোটিজম প্রয়োগ করতে গিয়েছিল আমার উপরে। আমিও দিয়েছি ওকে চরম শিক্ষা। নিজের দুনিয়ায় চরকির মতো ঘুরে ঘুরে মরতে থাকবে ঘন্টা দুয়েক। অন্ধ মাতাল পথিকের মতো এই ক্লিনিকে ঘুড়ুক শালা।
তুই কিন্তু রেগে যাচ্ছিস। আর রেগে গেলেই তোর শুরু হয়ে যায়।
মনে করিয়ে দিচ্ছিস ঠিক আছে কিন্তু এমন ভাবে ধরিয়ে দেওয়াটা অশোভন।
নে, শোভন অশোভন শিখতে হবে।
না তানা। তোদের বলি আমি আমার মাইন্ডকে এমন ভাবে ট্রেইন করেছি যেনো তা যেকোন প্রকার স্নায়বিক চাপ সহ্য করতে পারে।
মানে বুঝলাম না। স্নায়ুর উপর চাপ নিয়ন্ত্রন করতে পারিস তুই?
তাতো পারিই। কিন্তু মূল কথা হলো আশেপাশের পরিবেশ যখন বিরূপ থাকে তখন আমরা একেক জন একেক ভাবে রিয়েক্ট করি। কেউ তবদা মেরে যাই। আর কেউ বিদ্যত গতিতে কাজ করি। আমারটা হচ্ছে ক্রিমিনাল মাইন্ডের একটা উন্নত সংস্করণ।
দ্যাখ জানি তুই জ্ঞান দিতে পছন্দ করিস। তাই বলে প্রাইভেট ক্লিনিকে বসে তুই নিশ্চয়ই ক্রিমিনোলজির উপরে জ্ঞান দিবি না।
তোরা বলে আমাকে ঠিক করবি, এখন তোরাই আমার কথা শুনতে চাচ্ছিস না।
কথা হলেতো শুনতাম অবশ্যই। কিন্তু তোর খানদানি লেকচার নিয়ে যথেষ্ট প্যারা আছে আমাদের জীবনে। শুরু করলে উপন্যাস শেষ না করে থামিস না।
সাইকিকের বন্ধু হলে কিছু দূর্ভোগ তো পোহাতেই হয়।
যখন বন্ধু পাতিয়েছিলাম তখন তুই যে কেমন ছিলি এইটা আমরা ভালো করেই জানি। খালি তুই জানিস না। প্যাচাল বন্ধ রেখে এবার তোর লেকচার চালু কর।
©somewhere in net ltd.