নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মা-বাবার বেকার সন্তান

জীবনটা বরই আজব! যখন জীবণ সাদাকালো থাকে তখন মানুষের কাছে জীবণটা মূল্যহীন মনে হয়! কিন্তু কিছু কিছু সময় আসে যা মানুষের মনকে সাত রঙ্গে রাঙ্গিয়ে দিয়ে জীবণের মূল্যটা অনেক অংশে বারিয়ে দিয়ে যায়! আবার কখন চোখের পলকেই সব নিঃশ্বেষ হয়ে যায়

মা-বাবার বেকার সন্তান

দিন রাত ঘরে বসে বসে শুদু স্বপ্নদেখি,আমি একদিন কোটিপতি হয়ে গেলাম…………………….

মা-বাবার বেকার সন্তান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা প্রথম শিখছে হিন্দি ভাষা পরে মাতৃভাষা।ভারতের সংস্কৃতি ধ্বংস করে দিচ্ছে আমাদের গৌরব উজ্জল সংস্কৃতি আর বাংলা ভাষাকে।

২৫ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:০০









ড়রিমন কাটুনটি মূলত হলো জাপানিজ কাটুন, এটা হিন্দিতে অনুবাদ করে সম্প্রচার করা হচ্ছে। বাংলাদেশে এখন ড়রিমন কাটুনটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ছোট ছোট ছেলে- মেয়েদের কাছে। এর প্রধান চরিএ অভিনয় করেছেন রবিদা নামক একটি ছেলে। যে নিয়মিত পড়াশুনা করে না, ক্লাসের পড়াও পারেনা, হোম ওয়ক ও সে করেনা, সে প্রতিনিয়ত মার সাথে মিথ্যা কথা বলে। শিশুরা এগুলো মনযোগ দিয়ে দেখছে, শিখছে এবং অনেক শিশু রবিদা যে ভাবে কথা বলে ঠিক সেই ভাবে কথাও বলছে প্রায়।



সারাদিন তারা বাসায় বসে থাকে কোথাও খেলাধুলা করতে পারেনা,বা বাহিরে জেতেও পারেনা। মা বাবার ব্যস্ততার কারনে শিশুটির সারা দিন একাই কাটাতে হয় ঘরে মধ্য। তাই তাদের বিনোদনের একমাএ উৎস হল টিভিতে শুদু কাটুন, হিন্দি ছবি দেখা, আর হিন্দি গান শোনা। আর আমাদের গৌরব উজ্জল নিজস্ব সংস্কৃতি ও বাংলা ভাষাকে করছে তারা অবহেলা । তারা অনেকই হয়তো এই বয়সে ভাল করে বাংলা বলতে পারেনা, কিন্তু হিন্দি ঠিকই পটপট করে বলছে। এর প্রধান কারন হলো তারা সারা দিন শুদু হিন্দি কথা শুনছে। যার করনে তারা সেই হিন্দি ভাষায় বেশি পারদশী হয়ে উঠেছে। আর এর জন্য দায়ী তার পরিবার, এই সমাজ এবং এই দেশ। কারন পরিবারের লোকজন নিজেরাই কোন বাংলা চ্যানেল দেখেনা।



আকাশ সংস্কৃতির নামে আমাদের সমাজে চলছে নোংরা সংস্কৃতি। পাশ্চত্য সংস্কৃতি ধ্বংস করে দিচ্ছে আমাদের গৌরব উজ্জল সংস্কৃতি আর রক্তের বিনিময়ে পাওয়া বাংলা ভাষাকে।



ভারতের সংস্কৃতি আজ আমদের জীবন কে আজ় পুরোপুরিই প্রবাভিত করে ফেলেছে। আজ তাদের কে ছাড়া আমরা এক মুহথ যেন থাকতে পারি না। সকাল থেকে শুরু করে সেই গভীর রাত পযন্ত চলে তাদের বিভিন্ন ধারাভাহিক নাটক, ছবি, গান আরও কতো কি তা বলে শেষ করা যাবে না। আর এগুলো খুব মনযোগ দিয়ে দেখছে মা-বাবা, ছেলে-মেয়ে,বাড়ির কাজের লোক সবাই এক সাথে। এখানে দশকদের বয়সের কোন সীমা নাই। আজ আমদের দেশর প্রতিটি ঘরে ঘরে চলছে ভারতের star jolsha, star plus, sony TV, ZEE TV এরকম অনেক চ্যানেল। আমদের দেশে ভারতের প্রায় অধশত টিভি চ্যানেল চলছে দিন রাত অভিরাম। কিন্তু তারা আমদের একটি চ্যানেল ও ভারতের কোন রাজ্য চলার অনুমোধন দেয় না। প্রথম দিকে আমাদের ধারানা ছিল যে এই বাপারে আপওি করছে ভারতের টিভি কেবল অপারেটরা। কিন্তু না, ভারতে আমদের টিভি চ্যানেল চলছে না শুদু মাএ সেই দেশের govt. কড়া নিদেশনা কারনে।



এখন ভারাত অবশ্য বলছে যে আমদের দেশের কনো টিভি চ্যানেল যদি সেই দেশে অপারেট করতে চায় তবে তাদের কে license বাবাদ দিতে হবে 1 million রুপি এবং প্রতি মাসে চাজ দিতে হবে 1.5 million রুপি , তবেই আমাদের কোন টিভি চ্যানেল সেই দেশে সম্প্রচার করতে পারবে। অথছ ভারত আমদের দেশে সম্প্রচার করছে প্রায় অধশত টিভি চ্যানেল, কোন রকম চাজ ছাড়াই। বরং প্রতি মাসে বাংলাদেশ থেকে ভারত আয় করছে প্রায় দুই হাজার কোটি রুপি। ভারতের প্রধান মন্তী অবশ্য বাংলাদেশ সফর কালে আমদের কে এই বাপারে আশ্বাস দিয়েছিল যে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল সেই দেশে সম্প্রচার করবে তারা। তা হয়তো আর কোন দিন সম্ভব হবে না, যদি তাদের সম্প্রচার নীতি শিথিল না করা হয়।



ভারতের সংস্কৃতি একদিয়ে যেমন ধ্বংস করে দিচ্ছে আমাদের গৌরব উজ্জল নিজস্ব সংস্কৃতি- আর বাংলা ভাষাকে, অন্ন্যদিক দিয়ে তাদের টিভি চ্যানেল সম্প্রচার করে হাতিয়ে নিচ্ছে আমাদের দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.