![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমার নিজের মনোভাব, মতবাদ, ইচ্ছা, প্রকাশ করতে চাই ।
বহুজাতিক মানুষের বহু জাতিক ধর্ম । সবাই সবার মত করে নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে এটাই স্বাভাবিক । সেই যুগযুগ ধরে চলে আসছে এই ধর্মপালন ।তারই মত করে যুগযুগ ধরে চলে আসছে আমাদের মহান ধর্ম ইসলাম । মহানবী (সা) এর যুগ থেকে বা তার আগে থেকে শুরূ হয়েছিল ইসলামের ওপর আঘাত কিন্তু সেই কাফের মুনাফেকরা ধ্বংস হয়েছিল আল্লাহর আশেষ রহমতে ও কুদরতে। কালের বিবর্তনে বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন উপায় বা কায়দা কানুন করে ইসলাম ও মুসলমানদের ধ্বংস করার জন্য এক শ্রেণীর মানুষ উঠেপড়ে লেগেছিল তা যে কোন সত্যিকারের মুসলমা অস্বীকার করতে পারে না । প্রায় প্রতিতী ক্ষেত্রেই মুসলমানেরা কোননা কোন ভাবে কাফের ও মুনাফিকদের কাছে পরাজিত হতে হতে বিজয়ের মুকুট হাতে পয়েছেন ।
বর্তমান যুগে অমুসলিমরা বিভিন্ন কায়দা কানুনে মুসলিমদের ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত। তাদের প্রধান টার্গেট আমাদের মুসলিম তরুণদের। এই তরুনদের জীদ ও বুদ্ধিদিপ্তকে যেন কাজে লাগাতে না পারে সেইদিকেই নব্য কাফেররা সদা ব্যস্ত। তাই তো আজ সমাজে দেখা যায় অমুসলিম বা ইসলামধর্ম বিদ্বেশীদের প্রতি চরম ঘৃণা ও খুন খারাবির মত যঘন্য ঘটনা । চরম ঘৃনা পর্যন্ত যদি সিমাবদ্ধ থাকত হয়ত আমাদের মুসলিমদের কোন ক্ষতি হতো না । আজকে সারা বিশ্বের মুসলিম তরুনরা এমন একটি পযার্য়ে পৌছে গেছে, সে ক্ষেত্রে মুসনমানরাই মুসলমানদের প্রতি আঘাত হানছে তারা নিজেরা হয়তো জানে না । আজ কাল মুসলিম তরুনদের দেখা যাচ্ছে আল্লাহ বা তার রাসুলকে নিয়ে যদি কেও বাজে কিছু বলে বা মন্তব্য করে তাদেরকে হত্যা করার হুমকি ও হত্যা করতে উৎসাহিত হয় । এতে করে এক শ্রেনীর অমুসলিমরা তাদের স্বার্থ হাসিল এর সুযোগ পায় । আল্লাহ ও রাসুল এর অল্প তম অপমান আমাদের সব সুখ ও আনন্দ কেড়ে নেয়ার জন্য যথেষ্ট । আমাদের আশে পাশে অনেক ধর্মই আছে যেমন: হিন্দু , খিস্টান, বৌদ্ধ ইত্যাদি । তাদের ধর্মকে নিয়ে অনেকে হাসিঠাট্টা করে । তাদেরকে আমার মুসলিম তরুন ভাইদেরমত এত রাগ ও হিংস্র হতে দেখিনা । তার কারন তাদের থেকে আমরা মুসলমানেরা আমাদের ধর্ম, রাসুল (স) কে আনেক আনেক ভালোবাসি তাই তা প্রমান করে ।
কিন্তু আল্লাহ ও রাসুলকে নিয়ে যদি কেও খারাপ বা অশ্লিল মন্তব্য করে ইসলাম কোন দৃষ্টিতে দেখে সেটা দেখার বিষয় ।
আল্লাহ হযরত মুহাম্মাদ (স) কে বিশেষ সম্মান দিয়েছেন । আল্লাহ কুরআনে বলেছেন–
“ তারা যা আরোপ করে তাহতে পবিত্র ও মহান তোমার পতিপালক , যিনি সকল ইজ্জত-ক্ষমতার অধিকারী । আর শান্তি বর্ধিত হোক রাসুলদেও উপর ।“ [ সুরাআস-সাফফাত ১৮০-১৮১
তাহলে দেখা যাছে যে আল্লাহ তার নিজস্ব ক্ষমতাবলে রসুলের ইজ্জত নিজের করে নিয়েছেন । তাই এইসব ধর্ম বিদ্বেশীদের জন্য আমরা শুধুই করুনা আর আফসোস করতে পারি ।
বিষয়টা আরো পরিষ্কার করে বুঝে নেয়ার জন্য একটি হাদিস আমরা পড়ে নিতে পারি ।
“এক দিন রাসুলুল্লাহ (সা) ও আবুবকর সিদ্দীক ( রা ) একসাথে বসেছিলেন । কিছু লোক এসে আবুবকর সিদ্দীক ( রা ) কে অপমান করা শুরু করল । অন্য এক বর্ণণায় , তারা আবু বকর সিদ্দীক ( রা ) কে এক বার নয়, দুই বার নয়, তিন বার অপদস্থ ও অপমান করল। তৃতীয় বারের সময় আবুবকর (রা) উঠে দাঁড়ালেন , তিনি আর সহ্য করতে পারছিলেন না । কারণ তারা শুধু তাঁকেই অপমান করছিলনা, তার পরিবার , তার মা, তার বোন , তার মেয়েদের নিয়ে ও অপমান জনক কথা বলছিলেন । জানেন তো ঐ লোকদের চরিত্র, তাদের মধ্যে কোন শ্রদ্ধা বোধ ছিল না । অন্য আরেকটি বর্ণনায় বলা আছে তিনি তখন ও বসে রইলেন উঠলেন না । লোকগুলো তখন ভাবলো, এর তো কিছুই হচ্ছেনা , এর যথেষ্ট র্ধৈয । আমরা যদি এর নবীকে অপমান করে কথা বলি তাহলে অবশ্যই সে রেগে উঠবে । তাই তারা মহানবী (সা) কে আবুবকর সিদ্দীক ( রা ) এর সামনে অভিশাপদিতে শুরু করল। আবুবকর সিদ্দীক ( রা ) তখন মাহানবী (সা) এর অপমান আর স্ইতে পরল না । তিনি উঠে দাড়ালেন । তিনি উঠে দাড়াঁনোর পর রাসূল ( স উঠে গেলেন যে মুহুর্তে আবুবকর সিদ্দীক ( রা ) উঠে দাড়ালেন , মহানবী ( সা) ও উঠে অন্যদিকে চলে গেলেন । এখন আবুবকর সিদ্দীক ( রা) দ্বিধায় পরে গেলেন , তিনি কি সেই লোকদের দিকে ফিরে উত্তর দিবেন , নাকি র্তাঁর রাসুল (সা) এর পেছনে যাবেন । তিনি আল্লাহর রাসুল (সা) এর পেছনে পেছনে গেলেন । আর জিজ্ঞাসা করলেন ,আমি কি ভুল কিছু বলেছি ? আমি কি ভুল করে ফেলেছি ? এই বর্ণনায় কয়েকটি সংস্করণ আছে । রাসুল ( সা) বললেন- ‘তুমি যতক্ষন বসেছিলা , ফেরেশতারা আমাদের ঘিরে রেখেছিল । যেই মুহুর্তে তুমি রেগেগিয়ে উঠে দাঁড়ালে, ফেরেশতারা সেখান থেকে চলে গেল আর শয়তান এসে হাজির হল । আর যেখানে ফেরেশতা থাকেনা, সেখানে আমি থাকিনা ।”
উপরক্ত হাদিস আমাদের কি শিক্ষা দেয় ? নিশ্চই আবুবকর সিদ্দীক ( রা ) এর ভালোবাসা আমাদের ভালোবাসার চাইতে অনেক অনেক বেশী নবী রাসুলের প্রতি । মহানবী (সা) এই ভাবেই তার সাহাবাগনদের ধর্য্য ধারন করার পরামর্শ বা উপদেশ দিয়ে গেছেন। আমরা তো সেই নবীর ই উম্মত । আমরা কি তার সেই উপদেশ অমান্য করতে পারি ? না পারিনা কখনই পারিনা । যদি তার ব্যতিক্রম হয়ে যায় তাহলে আর আমরা মুসলমান থাকতে পারবো কিনা সেই সন্দেহ থেকে যায় । রাসুল (সা) যখনই যার দ্বারা অপমানিত হয়েছেন ধর্য্য ধারনের উপদেশ দিয়েছেন । রাসুল ( সা) এ ভাবেই সাহাবিদের বুঝিয়েছেন ধৈর্য্যশীল হও । তিনি তাদের জন্য দোয়া করেছেন এবং আফসোস করেছেন এবং হেদায়াতের জন্য দোয়া করেছেন । আবু জেহেল তাকে অপমান করেছেন তারপরেও তিনি দুয়া করেছেন , সুবাহানাললাহ !!
আল্লাহ কুরআনে তাকে বারবার বলেছেন “ যখন তারা অপমান করে , আপনি রেগে যাবেন না ( “ অত:পর যদি তারা তোমার প্রতি অসত্যারোপ করে, তাবে তোমার পূর্বের রসুল গণ কে অবিশ্বাস করা হয়েছিল.....” [ সূরা আলইমনান: ১৮৪] আল্লাহ বলেছেন , তারা আপনার প্রতি মিথ্যা রোপ করেছে , অন্যান্য রসুলগণের বিরুদ্ধেও মিথ্যা রোপ করা হয়েছিল; এমন ঘটনা এটাই প্রথম নয় । “লোকেরা যাই বলে , তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং উত্তমপন্থায় তাদের কে পরিহার কর ।“ [ সূরা মুজাম্মিল: ১০]
বর্তমান যুগে আমাদেরকে উপরক্ত হাদিস বা আয়াত গুলো এই শিক্ষা দেয় তা হল কাফের মুনাফিক বা ধর্ম বিদ্বেশীদের যদি আমার রাসুল বা ইসলাম কে আঘাত করে তাহলে তা অন্তর দিয়ে তাদের ঘৃণা করা ও সম্পদ ব্যয় করা , সে ক্ষেত্রে সম্পদের আকার বিভিন্ন রকমের হতে পারে সক্ষম হলে ( ক্ষমাতাবান) শক্তি প্রয়োগ করে তা রুখে দেয়া ।
“তোমাদেরকে যুদ্ধ করার হুকুম দেয়া হয়েছে এবং অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয় । হতে পারে তোমরা এমন কিছুকে অপছন্দ কর যা আসলে তোমাদের জন্য কল্যানকর । আবার এমনও হতে পারে কোন জিনিসকে তোমরা পছন্দ করো অথচ, তা তোমাদের জন্য অকল্যানকর । আল্লাহ সবকিছু জানেন , কিন্তু তোমরা জানো না । ( সুরা বাকারা: ২১৬)”
শক্তি প্রয়োগে অক্ষম হলে মুখের কথা দিয়ে তা রুখবে । তাতেও সক্ষম না হলে অন্তর দিয়ে তাকে বা তার কাজকে ঘৃণা করা এবং তা প্রতিহত করার চিন্তায় ব্যাপৃত থাকাই একজন মুসলমানের দরকার।
২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রকৃত জ্ঞানার্জন বেশী জরুরী
ধর্মের খোলস বা বাহি্যকতার চেয়ে ধর্শের প্রান শক্তিতে বলিয়ান হয়ে কাজ করতে হবে ।
+++++++
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৩
বিজন রয় বলেছেন: যার ধর্ম সে পালন করুক নিরাপদে, শান্তিতে।