নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে লিখার মত যোগ্যতা এখনো হয়ে ওঠে নাই!

সায়েব আহমেদ শাকিল

আমি আমার নিজের মনোভাব, মতবাদ, ইচ্ছা, প্রকাশ করতে চাই ।

সায়েব আহমেদ শাকিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা ও আল্লাহ সুবহানাতায়ালা

০৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:১৩

আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্য মানুষের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে করোনাভাইরাস যার কারণে সমগ্র জাতি আজ মৃত্যুর চিন্তায় বিভোর । করোনা ভাইরাস এর এই পরীক্ষা ধন-সম্পদের ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে হচ্ছে, ক্ষুধা-তৃষ্ণার কষ্টের ও কারণ হয়েছে। এমনকি এ পরীক্ষা য় প্রাণ দিতে হচ্ছে অনেকেরই । করনা নামক কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার একমাত্র উপায় হলো সবর তথা ধৈর্য অবলম্বন করা, আর আল্লাহতায়ালার বিধান মোতাবেক তার সিদ্ধান্তের ওপর সন্তুষ্ট থাকা। তবেই আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও করোনা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব। মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু এড়িয়ে যাওয়া কারও সাধ্যে নেই। কার মৃত্যু কিভাবে হবে কেউ তা জানে না। একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন বান্দার হায়াত কতটুকু দিয়েছেন । আমাদের মৃত্যু যদি করোনার জন্যই হয়ে থাকে আমরা বদলাতে পারবো না । আল্লাহ সেটাই করবেন,সেটাই করেছেন যেটা তিঁনি ঠিক মনে করেছেন। আপনার-আমার সেই ক্ষুদ্র জ্ঞান নাই সেটা বুঝার। যেটাতে বান্দার কল্যান সেটাই করেছেন

আল্লাহ তাআলা বলেন-‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে কিছু ভয় ও ক্ষুধা দ্বারা, ধন-সম্পদের ক্ষতি ও প্রাণহানি এবং ফল-ফসলের ক্ষতি দ্বারা পরীক্ষা করব। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৫৫)পূর্ববর্তী আয়াতে আল্লাহ তাআলা শহিদদের ব্যাপারে বলেছেন, যাঁরা ধৈর্যের চরম উৎকর্ষ দেখাতে পেরেছেন, তারাই সফলকাম হয়েছে। তারাই সম্মানের অধিকারী। উক্ত কোরানের আয়াতটি বর্তমান করোনা পরিস্থিতির সাথে অবয়ব মিলে যায়।

বান্দাকে পরীক্ষা করার লক্ষ্য হলো ফলাফল দুনিয়ার মানুষের সামনে প্রকাশ করে দেয়া।বান্দাকে সব সময় কঠিন বিষয়ে পরীক্ষা করা হবে, বিষয়টি এমন নয় বরং সামান্য বিষয় নিয়েও পরীক্ষা হতে পারে। যেমন বান্দাকে সামান্য জ্বর, কাশি, বিশব্যাথা দিয়েও পরিক্ষা করা হয় আবার মহামারি প্লেগ, করণা ইত্যাদি দিয়েও পরিক্ষা করা হয়। হায়-হুতাশ না করে,ভাগ্যকে দোষারোপ না করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শিখুন একমাত্র ধৈর্য্যর মাধ্যমে। বিপদ-মুসিবত,কোন কিছু না পাওয়া,এসবে শুধু চুপচাপ সহ্য করে যাওয়ার নাম ধৈর্য্য বা সবর নয়,সবর হচ্ছে আল্লাহর ফয়সালার প্রতি পূর্ণ সন্তুষ্ট থেকে আনুগত্য রেখে আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা। সবর হচ্ছে ঈমানী শক্তি দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে নিজেকে আবার গড়ে তোলা।

করোনা ভাইরাসের কারণে আজ আমাদের সমাজে নিম্নোক্ত কথাগুলো অনেক বেশি শোনা যায়-
"হায়! হায়! আমি এখন কি করবো আমার পরিবার এখন কি করবে! আমি কিভাবে ধৈর্য্য ধরে বাসায় থাকব ,সম্ভব না! ইশ রে,কি হইলো! কেনো এমন হইলো? আহা রে,আমার কপালেই করোনা ভাইরাস আসলো !
আমি এমন বেচারী আমারই করোনাভাইরাস হল,আল্লাহ আর কাউকে দেখলো না? আমার সাথেই এইটা করতে পারলো!! এজাতীয় কথা হতে দয়া করে বিরত থাকুন। আপনার সৌভাগ্যকে দূর্ভাগ্যে পরিণত করবেন না । সবর অর্থাৎ ধৈর্য্য ধারন করার পুরুষ্কার যে আল্লাহ কিভাবে দিয়েছেন তা যদি আপনারা জানতন!!!
পারলে নিজেকে সাহস দেন,অনুপ্রেরণা দেন আপনারা। নিজেকে মানসিকভাবে দূর্বল করে দিয়েন না। আশেপাশের মানুষজনও শ্বাইত্বনের ধোঁকায় পড়ে আপনাকে নিয়ে উলটাপালটা কথা বা সহানুভূতির নামে হায়-হুতাশ করতে পারে। একদম প্রশয় দিবেন না তাদের। যেন ভবিষ্যৎ এর জন্য নিজেকে আবার গড়ে তুলতে পারেন তার জন্য প্রয়োজনে তাদের থেকে দূরে থাকুন। যেখানে আল্লাহ আপনাকে মনোনয়ন করেছেন স্ট্রোং পরীক্ষার্থী হিসেবে,সেখানে তারা শ্বাইত্বনের আসকারা পেয়ে আপনার ভাগ্য (আমি বলবো "সৌভাগ্য") নিয়ে সমালোচনা বা হায়-হুতাশ করে তারা সহ আপনি নিজেই ফাঁদে পড়তে যাবেন না। জানেনই তো আল্লাহ বান্দার সব নোট করে রাখেন। তাই দূর্বল ঈমানী মানুষ হিসেবে নিজের নামটা লিখাবেন না। মনে রাখবেন বিপদ যত বড় সবরের মাধ্যমে তার প্রতিদান ও তত বড়। তাই এই সময় এই সুযোগকে কাজে লাগান একমাত্র আল্লাহর অনুগত থেকেই।
ঈমানের ছয় নাম্বার রোকন হলো “ওয়াল ক্বাদরি খাইরিহি ওয়া শাররিহি” – অর্থাৎ আমাদের জীবনে ভালো-মন্দ যাই ঘটুক না কেন তা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত।
কু’রআনে এমন কিছু আয়াত রয়েছে যেগুলো আমাদেরকে জীবনের বাস্তবতা মনে করিয়ে দেয়। কিছু আয়াত রয়েছে যা আমাদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়: আমরা কীভাবে নিজেরাই নিজেদের জীবনটাকে কষ্টের মধ্যে ফেলে দিই।

প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আল্লাহতায়ালা বলেন- প্রত্যেক প্রাণীকে আস্বাদন করতে হবে মৃত্যু (ইমরান-১৮৫)।
মৃত্যু বলতে একটি জীবনের সমাপ্তিকে বোঝায়, যা আমাদের নিয়ে যায় অপেক্ষমাণ অনন্তকালে।
নিশ্চয় ধৈর্যশীলদের অপরিমিত পুরস্কার দেয়া হবে। (সূরা যুমার, আয়াত: ১০)
হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ কর,ধৈর্য্যে প্রতিযোগিতা কর। (সূরা আলে ইমরান,আয়াত: ২০০)
যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করে এবং ক্ষমা করে দেয় (সে যেন জেনে রাখে) অবশ্যই এটা হচ্ছে সাহসিকতার কাজসমূহের মধ্যে অন্যতম। (সূরা আশ শূরাঃ আয়াত ৪৩)
নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন। (সূরা বাকারা : ১৫৩)
তাদের ধৈর্য্যের কারণে জান্নাতে অট্টালিকা দেয়া হবে এবং তাদের সেখানে সালাম দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হবে। (সূরা ফোরকান : ৭৫)
নিশ্চয় ধৈর্যশীলদের অপরিমিত পুরস্কার দেয়া হবে। (সূরা যুমার, আয়াত: ১০)
হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ কর,ধৈর্য্যে প্রতিযোগিতা কর। (সূরা আলে ইমরান,আয়াত: ২০০)
যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করে এবং ক্ষমা করে দেয় (সে যেন জেনে রাখে) অবশ্যই এটা হচ্ছে সাহসিকতার কাজসমূহের মধ্যে অন্যতম। (সূরা আশ শূরাঃ আয়াত ৪৩)
নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন।(সূরা বাকারা : ১৫৩)
তাদের ধৈর্য্যের কারণে জান্নাতে অট্টালিকা দেয়া হবে এবং তাদের সেখানে সালাম দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হবে। (সূরা ফোরকান : ৭৫)
তোমরাই তো এতিমদের সম্মান করো না। অভাবীদের খাবার তাদেরকে দিতে উৎসাহ পর্যন্ত দাও না। উত্তরাধিকারীদের প্রাপ্য সম্পদ গোগ্রাসে আত্মসাৎ করো। সম্পদের প্রতি তোমাদের মাত্রাতিরিক্ত মোহ।—আল-ফাজর ১৫-২০

মানুষকে পরীক্ষা করা: প্রকৃতপক্ষে কে ঈমানদার কে মুনাফিক, কে সত্যবাদী আর কে মিথ্যাবাদী তা জেনে নেয়া। মুনাফিক ও দুর্বল ঈমানদারেরা অনেক সময় সুখ–স্বাচ্ছন্দ্যের সময় আল্লাহকে মনে রাখে, তার প্রতি অনুগত ও সন্তুষ্ট থাকে। কিন্তু, যখন কোনো বিপদ-আপদ আসে তখন আল্লাহকে ভুলে যায়, কুফুরী করে বা তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়। আবার অনেক সময় এর বিপরীতও হয়। যখন কোনো বিপদে পড়ে, তখন অনেক কাফের মুশরেককেও আল্লাহর কাছে মনে প্রাণে দুয়া করতে দেখা যায়। আর যখন আল্লাহ তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন, তখন আল্লাহকে ভুলে যায়, তার নিয়ামতকে অস্বীকার করে অহংকার প্রদর্শন করে, বলে এতো আমার প্রাপ্য। আবার কখনো আল্লাহর সঙ্গে শরিক করে বসে, আল্লাহর পরিবর্তে অন্য কাউকে বিপদ-মুক্তির কারণ মনে করে।

একনিষ্ঠভাবে কে আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে তা পরীক্ষা করার জন্য আল্লাহ তার বান্দাদের পরীক্ষা করেন। আল্লাহ বলেন,
“মানুষ কি মনে করে যে “আমরা ঈমান এনেছি” - এ কথা বলেই অব্যাহতি পেয়ে যাবে, আর তাদেরকে পরীক্ষা করা হবেনা? আমি অবশ্যই তাদের পূর্বে যারা ছিলো তাদেরকে পরীক্ষা করেছি। আর আল্লাহ অবশ্যই জেনে নিবেন কারা সত্যবাদী আর কারা মিথ্যাবাদী।”
সুরা আনকাবুত, আয়াত ২-৩। এছাড়া অন্য জায়গায় আল্লাহ বলেন,
“মানুষের মধ্যে কেউ কেউ দ্বিধা-দ্বন্দ্বে জড়িত হয়ে আল্লাহর ইবাদত করে। যদি সে কল্যানপ্রাপ্ত হয়, তাহলে ইবাদতের উপর কায়েম থাকে। আর যদি কোনো পরীক্ষায় পড়ে তাহলে সে পূর্বাবস্থায় (কুফুরিতে) ফিরে যায়। সে ইহকাল ও পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত, এটাই সুস্পষ্ট ক্ষতি।
সুরা হাজ্জ, আয়াত ১১।

আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে সব বিপদ ও মুসিবতে কোরআনের বিধান মেনে নেওয়ার তাওফিক দান করুন। ধৈর্য ও সহিষুষ্ণতার মাধ্যমে মাওলার নৈকট্য অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমি বলবো যারা আগে আগে দুনিয়া ছাড়ার সুযোগ পায় তারা অনেক ভাগ্যবান। দুনিয়ার এত এত গুনাহের হাত থেকে বেচে গিয়েছেন তারা!!একজন মুসলমানের জীবন শুরুই হয় মৃত্যুর পর। তাই আমাদের এই করোনা কালিন সময়ে বেশী বেশী আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করি । করোনার মালিককে ভয় পাই । আল্লাহর নিয়মতের শেষনেই । আল্লাহ বিপদ দেবেন এবং বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


করোনা একটি রোগ, ইহা মেডিক্যাল কন্ডিশন, ইহা পরীক্ষা নয়।
বেশী বৃষ্টির সময়, ১ ঘন্টা ভিজবেন, দেখবেন আপনার পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে।
আপনি ঠিক মতো পড়ালেখা করেননি; ভালো পড়ালেখা করলে পরীক্ষায় ভালো করতেন; করোনাকে পরীক্ষা মনে নতো না।

২| ০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত ৩৫,
নতুন আক্রান্ত ২,৬৩৫,
সুস্থ ৫২১ জন।
নমুনা পরীক্ষা ১২,৪৮৬
মোট মৃত ৮৪৬,
আক্রান্ত ৬৩,০২৬,
সুস্থ ১৩,৩২৫ জন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.