![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আর কিছুক্ষন বাকি এর পরই জে এস সির রেজাল্ট । আমার মতে বোর্ড এক্সাম গুলোতে মেধার সাথে সাথে ভাগ্যটাও অনেক জরুরি । দেখা যাচ্ছে মেধাবী স্টুডেন্ট , রেজাল্ট ভালোর জন্য অনেক পড়া শুনা করেছে অথচ রেজাল্ট তুলনামূলক খারাপ এসেছে । ক্ষনিকের ভূল বুঝাবুঝি এই উঠতি বয়সের কিশোর কিশোরীদের জীবনটাকে আজীবনের জন্য শেষ করে দিতে পারে । আর আমাদের সমাজের অভিভাবকদের দৃষ্টীকোন থেকে দেখলে মনে হয় রেজাল্ট খারাপ করাটা ক্ষমার অযোগ্য পাপ । যে পাপের শাস্তি একমাত্র দোযখ । এমন মানসিকতাই আমাদের বর্তমান সমাজে প্রত্তক্ষ । অথচ রেজাল্টের চাইতে অনেক বড় পাওয়া হচ্ছে মেধা , মানবতা তা আমাদের সমাজের কেও বুজতেই চায় না । আমি বলছি না যে যারা রেজাল্ট ভালো করে তারা মেধাবী নয় , এমন না । আমি বুঝাতে চাচ্ছি যে লেখাপড়ায় ইকটু খারাপ হলেও মানুষ হিসেবে সে ভাল হতে পারে , তার মধ্যে সৃজনশীলতা থাকতে পারে । after all সার্টিফিকেট ওয়ালা বেকুব বা অমানুষের চাইতে সল্পজ্ঞ্যানী ম্যাকানিক ও ভাল । আর আজ যে রেজাল্ট খারাপ করছে সে যে ভবিষ্যতে কিছু করতে পারবে না এমনও নয় । অদূর ভবিষ্যতে যখন এই ছেলেটি বা মেয়েটি যখন বড় এবং ভালো কিছু হবে তখন আমাদের অতি জ্ঞ্যানী সেই অভিভাবকগনই বলবে " অমুকের সন্তান আসলেই একটা জিনিস , অসম্ভব মেধাবী ব্লা ব্লা ব্লা "
সব শেষে ছোট ভাই বোনরা যারা এবার JSC দিয়েছো তাদের শুভ কামনা জানিয়ে একটি কথাই বলব ক্ষনিকের লজ্জাকে আমলে না নিয়ে বরং সেই লজ্জাকে জীবনী শক্তি হিসেবে কাজে লাগাও। করে দেখাও । দেখিয়ে দাও তোমার সমাজকে যে হ্যা আমরাও পারি , আমরা সমাজের বোঝা নই আর হ্যা আজ সারা দিনে ভূলেও কোন খারাপ পরিকল্পনা মাথায় রাখবে না । রেজাল্ট খারাপের মানে এই না যে তোমাকে এই পৃথিবী ত্যাগ করতে হবে । আর অভিভাবগদের জ্ঞ্যান দেবার ক্ষমতা বা মেধা আমার নেই শুধু বলব আপনার আপনজনকে বুঝতে চেষ্টা করুন । আপনার একটি কথাই তার জীবন শেষ করার জন্য যথেষ্ট ।
স্ব চিন্তা ধারা থেকে লিখা , ভূল হলে নিজ গুণে ক্ষমা করবেন
©somewhere in net ltd.