নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।
জোর করে অনেক কিছুই করা যায়, কিন্তু ক্ষমতায় থাকা যায়না। এরশাদ জোর করে ক্ষমতায় ছিল, তার পরিনতি সবার জানা। আজ থেকে ৬ মাস আগে লিখেছিলাম, আওয়ামীলীগ যেনতেন ভাবে নির্বাচন করে তিন বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়। পিএম হাসিনা মনে করছেন এই তিন বছরে বিএনপিকে ভেনিস করে দিতে পারবেন এবং আরও দুই মেয়াদ সহজেই পার করবেন। কিন্তু জনবিচ্ছিন্ন নেতা বা পার্শ্ববর্তী দেশের সহযোগিতায় আর যাইহোক ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না যদি না মানুষ সেটা গ্রহন করে। সামগ্রিক পরিবেশ বলছে আওয়ামীলীগ তিন বছর নয়, তিন মাসও এক তরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে পারবেনা। এ বিষয়টি যত দ্রুত হাসিনা বুঝবেন তত সহজেই আজকের অবরুদ্ধ অবস্হা থেকে মানুষ মুক্তি পাবে।আর যদি হাসিনা বুঝতে ব্যার্থ হন তবে সময়ের ব্যবধানে যে মূল্যদিতে হবে কর্মীদের তা হয়ত তাঁর অজানা।
কেন আমার এত আকুতি? বর্তমান সমস্যা নেত্রী নিজেই তৈরী করেছেন এবং বাধ্য করছেন সবাইকে তা মেনে নিতে। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে ক্ষমতাহীন হলে এর মূল্য দিতে হবে আওয়ামীলীগ তথা দলীয় কর্মীদেরই। বংগবন্ধু পরিবার বা তাদেরকে যারা ভূল বুঝিয়ে বিপথে পরিচালিত করছে তাদেরকে আর পাওয়া যাবেনা। কুশীলবদের কেউই তখন থাকবেনা। শুধু মার খেয়ে যাবে নীরিহ কর্মীরা।
গত ৫ বছর সকল শ্রদ্ধা আর ক্ষোভ নিয়ে তোফায়েল ভাইয়ের সাথে ছিলাম। ছিলাম তার প্রতি অসম্মানের প্রতিবাদী। কিন্তু ৩ মাস আগের এক আমেরিকা ট্যুরই তার ব্যক্তিত্ব, অহমবোধ, আর সম্মান সব কিছুকেই জলান্জলি দিতে তাড়িত করেছে। হায়রে আমেরিকা!!! নেত্রী আমেরিকায় নিয়ে গেল আর আপনি তৈরি হলেন অসময়ে গোয়ার্তুমীর ভাগীদার হতে। এখনতো আপনি সব কুলই হারালেন। আপনি কিইবা করতে পারবেন বর্তমান এই অচলাবস্হা নিরষনে। কিছুই করতে পারবেননা। মন্ত্রীত্ব যখন নিবেনই তখন এত নাটকের কি দরকার ছিল? রাজ্জাক ভাই চলে গিয়ে ভাল করেছেন, আপনার এই অধঃপতন তাঁকে দেখতে হলোনা।
আওয়ামীলীগ আজ বন্ধু শুন্য। এক দিকে অবরুদ্ধ আর অন্যদিকে পুড়ছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই দায় কার। কে বাংলাদেশকে এই সমস্যার অতলে ফেলে দিয়েছে। কার কথায় শেখ হাসিনা হঠাৎ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন, তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিলেন? যার কথায় তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন সে আর যাই হোক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের হিতাকংখী নয়। সে নয় বাংলাদেশের হিতাকাংখী।
সমস্যার অতলে পড়ে আজ তল খুজে পেতে শেখ হাসিনকে দুহাত উজাড় করে দিতে হচ্ছে। দেশের ভিতর স্বৈরাচারী এরশাদের কাছে রাজনীতির মার খেয়েছেন। আর ভারত এবং আমেরিকাকে দেশের সম্পদ তুলে দিচ্ছেন প্রশ্নাতীত ভাবে। কিন্তু এর খেশারত আওয়ামীলীগকেই দিতে হবে।
নতুন প্রজন্মকে যখন কম্পিউটারের অপারেটিং সিষ্টেম ডলারে কিনতে হবে টিফকা চুক্তির কারণে তখনই বুঝবেন আওয়ামীলীগের রাজনীতি কোথায় গিয়ে দাড়ায়। আজ দেশের ছেলেরা বলতে গেলে বাঁধাহীন ভাবে যে কোন সফটওয়ার ব্যবহার করতে পারছে, কিন্তু আগামী এক বছর পরেই তারা টের পাবে টিফকা চুক্তির ফল।
ভারত, আমেরিকা বসে আছে বাংলাদেশকে সমস্যায় ফেলে তাদের স্বার্থ উদ্ধারে। রাজনৈতিক যে অচলাবস্হা তার থেকে উদ্ধারের সহজ কোন পথ আওয়ামীলীগের জন্যে আর খোলা নেই।
বিএনপির নেতাদেরকে যখন জামাতী নেতাদের মত আত্নগোপনে থেকে রাজনীতি করতে বাধ্য করা হয়, তার মধ্যেই যে আগামী দিনের আওয়ামীলীগের পতন, তথা বাংলাদেশের অধঃপতন নিহিত তা হয়ত ক্ষমতার বলয়ে থেকে মাননীয় পিএম হাসিনা আপনি বুঝতে পারছেননা।
গার্মেন্টস সেক্টর বাংলাদেশের হাত ছাড়া হতে আর বেশী বাকি নেই। ২ কোটি লোক সরাসরি এই শিল্পের উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের সার্ভিস সেক্টের প্রায় ৭৫% ই আজ ভারতের নিয়ন্ত্রনে। প্রায় ২ লাখের উপর ভারতীয় এদেশের বেসরকারী সেক্টরের বড় বড় চাকুরীগুলো দখল করে আছে অবৈধ ভাবে। যেখানে বসে তারা বাংলাদেশের বারোটা বাজাচ্ছে। ব্যবসা বানিজ্য পুরোপুরিই স্হবির এখন। আজ যখন প্রতিবেশীদের চ্যালেন্জ মোকাবিলায় আপনি সবাইকে এক সুতোয় গাঁথা প্রয়োজন ছিল, তখন আপনি যে নীতি গ্রহন করলেন তা ক্ষতিগ্রস্হ করল আওয়ামীলীগকে, তথা বাংলাদেশকে। আপনার হাতে সময় আর মাত্র সর্বোচ্চ ৫ মাস। তবে মনে হয় ৩ মাসের বেশী সময় পাবেন না। আপনি হয়ত পার পেয়ে যাবেন। কিন্তু কি হবে মাঠে ময়দানে থাকা বংগবন্ধুর সৈনিকদের??
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫১
সরলপাঠ বলেছেন: সহমত। ধন্যবাদ।
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২
সীমাহীন ভালবাসা বলেছেন: আআওয়ামীলীগ কে যদি একটা বড় গাছের সাথে তুলনা করা হয় তবে দেখা যাবে এর বেশির ভাগ অংশই পরগাছা,,এক সময় এর কান্ড টা বাতিল হয়ে যাবে,,
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯
সরলপাঠ বলেছেন: এটা বিএনপির জন্যে বেশী সত্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪০
হাসিব০৭ বলেছেন: যত দোষ নন্দঘোস। আসলে রাজনীতি কখনই নেতারা করে না। রাজনীতির জন্মভূমি হল তৃনমূল। কিন্তু এদেশে তৃনমূল নেতাদের সবসময়ই উপেক্ষা করা হয়।