![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শামিম ইশতিয়াক জন্ম ৭ জুলাই, জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলামের শৈশবের স্মৃতি বিজরিত ময়মনসিংহের ত্রিশালে। অর্থনীতি তে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন আনন্দ মোহন কলেজ থেকে, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কামিল মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন, এছাড়াও আইন শিক্ষায় এল এল বি শেষ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখি শুরু, বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন, পাশাপাশি দৈনিক, সাপ্তাহিক মাসিক পত্রিকাগুলোতে লেখালেখি শুরু করেন, সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কবিতা, গল্প, রম্য রচনা, কলাম, ভ্রমণকাহিনী লিখেছেন বিভিন্ন পুস্তক, ম্যাগাজিন, পত্রিকায়, রয়েছে কবিতা আবৃত্তির কালেকশন। ভ্রমণকাহিনী লেখার পাশাপাশি দেশ ভ্রমণেও তিনি পরিচিত মুখ, পরিচালনা করেন ভ্রমণ এজেন্সি। তিনি জাতীয় দৈনিকে সাংবাদিকতা শুরু করেন পাশাপাশি তিনি তিনি সম্পাদনা করেছেন কয়েকটি সাপ্তাহিক পত্রিকা, সাহিত্য পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল । সামাজিক, সেচ্ছাসেবী ও সাহিত্য সংগঠনের তিনি দায়িত্বশীল ও নিয়মিত সদস্য হিসেবে কাজ করে এসেছেন। সাহিত্য চর্চা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি সম্মাননা পদক, পুরস্কার লাভ করেছেন।
একুশে ফেব্রুয়ারি ও বর্তমান বাঙালি।
----- শামীম ইশতিয়াক
সবার ফেইসবুক(মুখবই) স্টেটাস (স্থিরলেখা), শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার ছবি আপলোড(প্রদর্শন) করা ও মেসেজ (ক্ষুদেবারতা) দেখে বুঝলাম ভাষাপ্রেমীকেরা এখনো বেচে আছে...
হুম ২১ তারিখ আসলেই আমাদের রক্তে জানান দিয়ে যায় আমরা বাঙালি, কিন্তু এই একটি দিন ছাড়া পদে পদে এই বাংলাকে আমরা ধর্ষণ করি প্রতিনিয়ত , FM Radio (বাংলা জানিনা) তে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিকৃত ভাষায় বাংলা শুনতে শুনতে আসল বাংলাটাই খুইয়ে ফেলছি, RJ( উপস্থাপক) এর কণ্ঠে হাজারো বিকৃত শব্দের দ্বারা আমাদের বাংলা ভাষার চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধারকাজ অব্যাহত ভাবে চলছে,
রাস্তায়, গাড়ীতে, পার্ক,(খোলা প্রান্তর) অফিস(কার্যালয়) আড্ডায়, মোবাইল(বাংলা জানিনা) টিভি(চিত্র সম্প্রচার) সিনেমায়, কাগজে, ইন্টারনেট(খোলা জাল) পত্রিকায়, ফেইসবুকে(মুখবই) ব্লগ(খোলা জাল পত্রিকা) এ ব্যাবহার করছি ভীন্ন ভাষা, কেউ কেউ ত এটাকেই স্মার্টনেস (আধুনিকতা) হিসেবেই ধরে নিয়েছে,
একই ভাবে বিজ্ঞাপনে, গানে, নাটকে, সিনেমায় চলছে বাংলা ভাষার বিকৃতি সেই সাথে ইউটিউব( বাংলা জানিনা, কেউ জানলে জানাবেন) এ চলছে ভাষার অতিমাত্রায় অপব্যাবহার।
অফিস আদালত দোকান হোটেল ব্যাবসায়ি প্রতিষ্টান সব সব কিছুর সাইনবোর্ড (নাম ফলক) হচ্ছে ইংরেজিতে, বিয়ের কিংবা অন্যান্য দাওয়াত পত্রও হচ্ছে ইংরেজিতে, রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক অনুষ্টান এ বাংলার সাথে ইংরেজি কথা বলাটাকে দেখে হচ্ছে স্মার্টনেস(আধুনিকতা) হিসেবেই।
এত কিছুর পরে আজ প্রশ্ন জেগে উঠে বাঙালি জাতি সত্যিই কী মনে রেখেছে একুশের সেই রক্তাক্ত স্বপ্ন আর চেতনার কথা? যে মহান আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বাঙালিরা প্রিয় ভাষাকে রক্ষা করতে চেয়েছিল, যে শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল তা কি আজো বলবৎ আছে? সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা শহীদের রক্তকে যথার্থ সম্মান দিচ্ছি? সর্বস্তরে বাংলা ভাষা কি আজো চালু করতে পেরেছি? বাংলাদেশে বিদ্যমান সব জাতিগোষ্ঠীর ভাষার স্বীকৃতি কি মিলেছে? এরকম হাজারো প্রশ্ন আমার সামনে ঘুরপাক খায়,
তাহলে কি লাভ আজকের দিনে শহিদ মিনারে ফুল হাতে ধরে ছবি দিয়ে আর স্টেটাশ দিয়ে নিজেকে জাহির করার???
আসুন আগে নিজে বাংলা ভাষার যথার্থ ব্যাবহার এর প্রচলন করি তারপর এই দিবস পালন করব, প্রকৃত ভাষাপ্রেমীক দের জন্য দিবস কে প্রাধান্যদান বড় কিছুনা বরং ইহা কেবলি অনুপ্রেরণা মাত্র...
আসুন বাংলা কে ভালোবাসি....
শুদ্ধ বাংলা কে ব্যাবহার করি.....
শামিম ইশতিয়াক
অর্থনীতি বিভাগ
আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ
©somewhere in net ltd.