![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শামিম ইশতিয়াক জন্ম ৭ জুলাই, জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলামের শৈশবের স্মৃতি বিজরিত ময়মনসিংহের ত্রিশালে। অর্থনীতি তে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন আনন্দ মোহন কলেজ থেকে, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কামিল মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন, এছাড়াও আইন শিক্ষায় এল এল বি শেষ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখি শুরু, বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন, পাশাপাশি দৈনিক, সাপ্তাহিক মাসিক পত্রিকাগুলোতে লেখালেখি শুরু করেন, সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কবিতা, গল্প, রম্য রচনা, কলাম, ভ্রমণকাহিনী লিখেছেন বিভিন্ন পুস্তক, ম্যাগাজিন, পত্রিকায়, রয়েছে কবিতা আবৃত্তির কালেকশন। ভ্রমণকাহিনী লেখার পাশাপাশি দেশ ভ্রমণেও তিনি পরিচিত মুখ, পরিচালনা করেন ভ্রমণ এজেন্সি। তিনি জাতীয় দৈনিকে সাংবাদিকতা শুরু করেন পাশাপাশি তিনি তিনি সম্পাদনা করেছেন কয়েকটি সাপ্তাহিক পত্রিকা, সাহিত্য পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল । সামাজিক, সেচ্ছাসেবী ও সাহিত্য সংগঠনের তিনি দায়িত্বশীল ও নিয়মিত সদস্য হিসেবে কাজ করে এসেছেন। সাহিত্য চর্চা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি সম্মাননা পদক, পুরস্কার লাভ করেছেন।
"আনন্দ মোহন কলেজ পরিচয় "
------শামিম ইশতিয়াক
১২.২৫ একর জায়গার উপর ময়মনসিংহ শহরের কলেজ রোডের পাশে প্রতিষ্টিত সরকারি আনন্দ মোহন কলেজ, ১৯০৮ সালে বাঙালি শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক আনন্দমোহন বসু প্রতিষ্টা করেন এই কলেজটি বর্তমানে যা ময়মনসিংহের অক্সফোর্ড-খ্যাত হিসেবেই পরিচিত,
১৮৮০ সালে আনন্দ মোহন বসু এই প্রতিষ্টানের যাত্রা শুরু করে ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট স্কুল নামে, তারপর ১৯০৮ সালে ময়মনসিংহ সিটি কলেজ আনন্দ মোহন কলেজ নামে যাত্রা শুরু করে,
বর্তমানে প্রায় ৩২০০০ শিক্ষার্থী নিয়ে আনন্দ মোহন কলেজ সময়ের সাথে সাথে প্রতিনিয়ত যেন নিজেকে বদলে নিচ্ছে,
ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন দৃষ্টিনন্দিত রাজবাড়ি সাদৃশ্য ভবনের প্রতিটি আলাদা বিভাগের সাথে ছুয়ে আছে হাজারো শিক্ষার্থীরর আকাশছোঁয়া স্বপ্ন।
৯জন শিক্ষক ও ১৭৮জন শিক্ষার্থী নিয়ে ১৯৬৪ সালে সরকারিকরন করা হয় কলেজটি বর্তমানে ১৮টি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সহ উচ্চমাধ্যমিকের জন্যেও রয়েছে অধ্যায়ন এর সুযোগ, প্রায় ২০৭ জন শিক্ষক মণ্ডলীর শিক্ষাদানে অগ্রসর হচ্ছে উক্ত কলেজ, শিক্ষার্থীদেদের জন্য রয়েছে আবাসন সুবিধা, রয়েছে আবাসিক হল যার ভেতর ছাত্রদের জন্য ছয়টি ও ছাত্রীদের জন্য ২ টি এবং নব্য নির্মিত আরো দুইটি আবাসিক ছাত্রী হলের কাজ চলমান রয়েছে,
কলেজে আছে ইন্টারনেট ক্যাফে, প্রতি বিভাগে ব্রডব্যান্ড এর সুবিধা, শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার জন্য আছে বহুপ্রজাতির বইয়ের সংগ্রহ নিয়ে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি।
কলেজের সামনেই আছে উন্মুক্ত খেলার মাঠ ও মুক্তমঞ্চ শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও বিনোদনের জন্য আছে পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা,
কলেজের মূল ফটকে প্রবেশকালেই চোখে পড়ে কলেজের নান্দনিক পরিবেশ, ভেসে উঠে মহামূল্য কথা "জ্ঞ্যানের জন্য এসো সেবার জন্য বেরিয়ে যাও"
এছাড়াও কলেজে আছে স্কাউট, বিএনসিসি, বাঁধন সহ অনেক সেচ্ছাসেবী ও রক্তদানের সংঘটন যাতে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনার পাশাপাশি সমাজসেবার মূল বানিতেও বিশ্বাসী হতে জানে।
সাফল্যমণ্ডিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর রয়েছে হাজারো কৃতিত্ব প্রতিবছর স্নাতকোত্তর করা শিক্ষার্থীদের অনেকেই অংশ নিচ্ছে সফলতার চূড়ায় ছিনিয়ে নিচ্ছে বিসিএস সহ অনেক সাফল্যযুক্ত সোনার হরিণ।
শতবর্ষের ঐতিহ্যে লালিত আনন্দ মোহন কলেজ বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কলেজগুলোর অন্যতম। এ কলেজের রয়েছে এক সমৃদ্ধ ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস।
সময়ের সাথে এই বিদ্যাপীঠ এর জন্য জেগে উঠে কিছু যৌক্তিক দাবি যা হলো আনন্দ মোহন কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা, আলাদা প্রশাসনিক ভবন করা, শিক্ষক স্বল্পতা নিরসন করা, বহুতল বিশিষ্ট ছাত্র/ছাত্রী নিবাস করা, আরো নতুন নতুন বিভাগ চালু করা, পরিবহন সমস্যার সংকট সমাধান করা, কলেজের চাপ কমানোর জন্য প্রয়োজনে আলাদা ক্যাম্পাস করা।
বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিনস্থ কলেজের মধ্যে আনন্দ মোহন কলেজটি অন্যতম। ২০০৮ সালে কলেজটি শতবর্ষ অতিক্রম করেছে। কলেজটির রয়েছে নানান গৌরবময় ঐতিহ্য ও বর্ণাঢ্য ইতিহাস। এ প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করেছেন দেশের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ। যা শুধু শিক্ষার্থীদের জন্যেই নয় সকল ময়মনসিংহবাসীর জন্যেই বুক ফুলিয়ে কথার বলার মত চালিকা শক্তির ভূমিকা পালন করে।
---------©®---------
শামিম ইশতিয়াক
[email protected]
©somewhere in net ltd.