![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শামিম ইশতিয়াক জন্ম ৭ জুলাই, জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলামের শৈশবের স্মৃতি বিজরিত ময়মনসিংহের ত্রিশালে। অর্থনীতি তে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন আনন্দ মোহন কলেজ থেকে, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কামিল মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন, এছাড়াও আইন শিক্ষায় এল এল বি শেষ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখি শুরু, বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন, পাশাপাশি দৈনিক, সাপ্তাহিক মাসিক পত্রিকাগুলোতে লেখালেখি শুরু করেন, সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কবিতা, গল্প, রম্য রচনা, কলাম, ভ্রমণকাহিনী লিখেছেন বিভিন্ন পুস্তক, ম্যাগাজিন, পত্রিকায়, রয়েছে কবিতা আবৃত্তির কালেকশন। ভ্রমণকাহিনী লেখার পাশাপাশি দেশ ভ্রমণেও তিনি পরিচিত মুখ, পরিচালনা করেন ভ্রমণ এজেন্সি। তিনি জাতীয় দৈনিকে সাংবাদিকতা শুরু করেন পাশাপাশি তিনি তিনি সম্পাদনা করেছেন কয়েকটি সাপ্তাহিক পত্রিকা, সাহিত্য পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল । সামাজিক, সেচ্ছাসেবী ও সাহিত্য সংগঠনের তিনি দায়িত্বশীল ও নিয়মিত সদস্য হিসেবে কাজ করে এসেছেন। সাহিত্য চর্চা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি সম্মাননা পদক, পুরস্কার লাভ করেছেন।
পুলিশের একজন বড় কর্মকর্তা হওয়ার স্বপ্নটা সেই বুদ্ধিসুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই আমায় ভর কর রেখেছে,
কোন চাকরির কথা ভাবলেই সবার আগে আমার ভেতর মাতাচাড়া দিয়ে উঠে বুকে লালিত স্বপ্নটি,
কিন্তু আজ ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন রাজপথে শিশুদের উপর লাঠিচার্জ, ধাওয়া আর গ্রেফতার হওয়া দেখে সেই স্বপ্নটা আবার জানান দিয়ে উঠলো, স্বপ্নটি আমায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ করে তুলল,
স্বপ্নটি আমার কানের কাছে চুপিচুপি বলল তোকে পুলিশের বড় কর্মকর্তা হতেই হবে, আর গঠন করতে হবে এক সুস্থ বিবেকের পুলিশ বাহিনি,
গঠন করতে হবে শিশুনির্যাতন করা মানসিকতা মুক্ত পুলিশ বাহিনি,
গঠন করতে হবে বন্ধুর মৃত্যু কষ্টে রাস্তায় দাঁড়ানো শোকাবহ বাচ্চাদের উপর লাঠিচার্জ এর মানসিকতা মুক্ত পুলিশ বাহিনি,
গঠন করতে হবে শিশুদের গ্রেফতার করে পুলিশভ্যানে তুলার মানসিকতা মুক্ত পুলিশ বাহিনি..
কেউ যখন বলে ফিউচার প্লেন কি? আমি যখন বলি পুলিশের বড় কোন কর্মকর্তা তখন প্রশ্নকর্তার ঠোটের কোনে আমি বিদ্রুপের হাসি দেখি, আমি জানি এই হাসির মানে কি, আমি জানি এই হাসির আড়ালে লুকিয়ে আছে যে পুলিশরা ঘুষ খায়, পুলিশরা নির্যাতন করে, পুলিশরা আইনের পোষাক পড়েও অনেক ভারসাম্যহীন কাজ করে,
আমি সেই হাসির প্রতিউত্তরে নিজেও হাসি, আর তাদের বুঝানোর অজ্ঞতার জন্য বলি হাতের পাচ আজ্ঞুল সমান নহে ভায়া.
ওইদিন একটা ভিডিও দেখলাম নওগা থানার পুলিশের এক কর্মকর্তা এক মন্ত্রীর গাড়িবহর কে থামিয়ে দিলেন উল্টাপথে আসার অপরাধে এবং তাদের কে আবার সঠিক পথে নিজ দায়িত্বে পাঠিয়ে দিলেন.
বাহ বাহ এসব ভিডিও দেখে স্যালুট দিবে হয়ত অনেকেই কিন্তু কাল থেকে ঢাকায় যা হচ্ছে তার জন্য কি প্রাপ্য এই পুলিশ নামক নির্যাতন কারিদের????
সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের দেশে নতুন কিছু নয় এক রকম বলা যায় ব্যাপারটা আমাদের ভাবমূর্তির সাথে মিশে গেছে, আজ এখানে ত কাল এখানে রাস্তায় রক্তের সাথে পিছে যাচ্ছে কত তাজা প্রান কিন্তু এসব আলোচনায় আসেনা তবুও সমীক্ষা অনুযায়ি এদেশের প্রতিদিন ১২জন মানুষ মারা যাচ্ছে এই সড়ক দুর্ঘটনায়,
বিমানবন্দর সড়কের ব্যপারটা সবার নজর কেড়েছে কারন এতে প্রাণ গেছে দুটি শিশুর, যারা কিনা এখনো উচ্চামাধ্যমিক এর ঘন্ডিও পাড়ি দিতে পারিনি,
যাই হোক রাজপথে নেমেছে সহপাঠিরা তার সাথে এদেশের হাজারো শিক্ষার্থীরা, উদ্যেশ্য একটাই সড়ক পথে আর কোন প্রান যেন না হারাতে হয়,
তাদের বন্ধুদের মৃত্যু তারা না হয় মেনে নিল কিন্তু বিবেকের কাছে তারা যেনো আজ প্রশ্নবিদ্ধ, কারন সংবাদ মিডিয়ার উঠে আসা এত এত সড়কপথের হত্যাকান্ড যেনো আর কাওকে না কাদায় সেই মূলমন্ত্রে আজ তারা উদ্ভুদ্ধ,
৯ টি দাবি কিন্তু না মানার মত কিছু না, দাবি সমূহ মেনে নিলে আমাদের দেশের জন্য আর সমাজ ব্যাবস্থার পরিবহন নামক অংশের জন্যেও লাভজনক, কারন দাবি সমূহ সড়কে প্রাননাশের বিলুপ্তিতার কথাই বলে...
শিশুত্বের তকমা অনেক আগেই মুছে গেছে আমার এখন আমি পারিভাষিক ভাবে একজন যুবক, তাই প্রশ্নবিদ্ধ এই সমাজের কাছে বলতে চাই শিশুদের রাজপথে নামা থেকে কি আমরা যুবক রা কিছুই শিখতে পারিনা? নাকি আমাদের সড়কে প্রাণনাশের ভয় নেই???
বলতেছিলাম পুলিশ নিয়ে,
পুলিশ ভাইয়েরা মনে রাখবেন আজ যাদের গায়ে হাত দিচ্ছেন তারাই একদিন আপনার থেকে বড় পদে অদিষ্ট হবে, সেইদিন হয়ত ট্রিট ফর ট্রেট প্রবাদ টির ব্যাখ্যা আপনার কাছে থাকবেনা...
আজ আর নয়, বেশী কিছু বললে আবার চাকরিই হবেনা...
শুধু শিশুদের সাথে মুখ মিলিয়ে বলতে চাই #We_want_Justice
নিরাপদ সড়ক চাই
শামিম ইশতিয়াক
আনন্দ মোহন কলেজ,
ময়মনসিংহ
©somewhere in net ltd.