![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শামিম ইশতিয়াক জন্ম ৭ জুলাই, জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলামের শৈশবের স্মৃতি বিজরিত ময়মনসিংহের ত্রিশালে। অর্থনীতি তে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন আনন্দ মোহন কলেজ থেকে, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কামিল মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন, এছাড়াও আইন শিক্ষায় এল এল বি শেষ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখি শুরু, বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন, পাশাপাশি দৈনিক, সাপ্তাহিক মাসিক পত্রিকাগুলোতে লেখালেখি শুরু করেন, সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কবিতা, গল্প, রম্য রচনা, কলাম, ভ্রমণকাহিনী লিখেছেন বিভিন্ন পুস্তক, ম্যাগাজিন, পত্রিকায়, রয়েছে কবিতা আবৃত্তির কালেকশন। ভ্রমণকাহিনী লেখার পাশাপাশি দেশ ভ্রমণেও তিনি পরিচিত মুখ, পরিচালনা করেন ভ্রমণ এজেন্সি। তিনি জাতীয় দৈনিকে সাংবাদিকতা শুরু করেন পাশাপাশি তিনি তিনি সম্পাদনা করেছেন কয়েকটি সাপ্তাহিক পত্রিকা, সাহিত্য পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল । সামাজিক, সেচ্ছাসেবী ও সাহিত্য সংগঠনের তিনি দায়িত্বশীল ও নিয়মিত সদস্য হিসেবে কাজ করে এসেছেন। সাহিত্য চর্চা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি সম্মাননা পদক, পুরস্কার লাভ করেছেন।
বারান্দা এবং বেলকনির মৌলিক পার্থক্য"
------------শামিম ইশতিয়াক
বিকালে মেস থেকে বের হলাম উদ্দেশ্য আনন্দ মোহন কলেজ মাঠে যাব, মেসের গলিতে এক বড় ভাইয়ের সাথে দেখা হলো, দেখি ভাই একটা বাসার বারান্দার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে দেখে মনে হচ্ছে উনি শিতের সকালে খেজুরের রসের হাড়ির দিকে তাকিয়ে আছে যাই হোক আমি রহস্য বের করতে বারান্দা পানে হালকা উকি মেরে যা দেখলাম তাতে বুঝে নিলাম যে ভাই এক এলোকেশী রমনি পানে তাকিয়ে আছে, তাই আমি আমার কতুৌহল দমন করতে ভাই কে বললাম, ভাই কি দেখেন? ভাই বলল বারান্দা দেখি, আচ্ছা শামিম তুমি কি বারান্দা আর বেলকনির মানে বুঝ?? আমি বললাম না ভাই একটুও বুজিনা ভাই বলল তাহলে চলো তোমাকে বারান্দা আর বেলকনি চিনিয়ে দেই,
আমি ভাই এর সাথে জ্ঞ্যানলাভের জন্য রওনা দিলাম, ভাই আমাকে আরেক গলিতে নিয়ে গেল তারপর একটা বাসা দেখিয়ে বলল এটার নাম বারান্দা, তারপর আরেকটা বাসায় নিয়ে গিয়ে বলল এটার নাম বেল....... আচমকা ভাই থেমে গেল আমি বললাম ভাই কি হলো? ভাই মোশারফ করিমের মত ভাব নিয়ে বলল বেলকনি দেখ বেলকনি, থাকেনা? থাকেই তো?? আমি বললাম হে ভাই থাকে অতঃপর আমি ভাই এর তোতলানো রহস্য উন্মোচন করতে কথিত বেলকনির দিকে তাকাইলাম এবং বুজলাম যে এটা আর বেলকনি নাই এটা ষোড়সা রমনির গ্যালারি হইয়ে গেছে আমি সহসাই বুজতে পারলাম যে ইহা মহল্লার একটি ছাত্রি নিবাস.......
ওইদিনের ঘটনা ওইদিন ই শেষ, কিছুদিন কাটলো,
এরপর আরেকদিন ভাইকে দেখলাম আবারো ওই বেলকনির সামনে আমি বললাম ভাই কি করেন? ভাই বলে জানো শামিম তোমাকে একটা সুখবর দেই আমি বললাম কি সুখবর ভাই? ভাই বলল আমি একটা বই লিখতেছি বই এর নাম বারান্দা এবং বেলকনির মৌলিক পার্থক্য যা এই একুশে বইমেলায় বের হবে তাই এই বেলকনি নিয়ে গবেষনা করতেছি,
আমি বললাম ভাই মজা নিতেছেন?
ভাই বললো আরে নাহ মিয়া তুমি তো দেখি ভালোই কবিতা টবিতা লেখ তাই বই প্রকাশ করতে চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ কইরো বের করে দিবনে, আমি বুঝলাম ভাই আমাকে ক্ষেপানোর চলে আমাকে বিদেয় করতে চাচ্ছে, তাই আমি কেটে গেলাম আর এটা কোন গবেষনা হচ্ছে তা নিয়ে আমার ধারনাটা পরিষ্কার করলাম,
আবারো কাটলো কিছুদিন
কালকে আবারো কলেজ রোড রেলক্রসিং এ ভাই এর সাথে দেখা ভাই বলল শামিম একটা কাজ করে দিতে পারবা আমি বললাম কি কাজ ভাই? ভাই বললো আমার মেসে খালা আসেনাই তাই একটা বাসার নাম বলল যে ওই বাসার সামনে যাও তোমার একটা আপু আসবে সে তোমাকে একটা ব্যাগে কিছু খাবার দিবে নিয়ে এসো তারপর আমরা একসাথে খাবো আমি খাবারের লোভে বললাম ভাই জাস্ট বলেন আমি নিয়ে আসতেছি,
আমি সব ভুলে গেছিলাম তাই ওই বাসার নাম আমার ওইভাবে মনে ছিলোন না আমি চলে গেলাম, কিছুক্ষন দাড়ানোর পর একটা একটা মেয়ে আসল কিন্তু একি!!!!! এতো ওই ষোড়সি যাকে বেল্কনিতে দেখেছিলাম,
আমি তখন বুঝতে পারলাম যে আসলে বারান্দা এবং বেলকনির মৌলিক পার্থক্য বইয়ের মানে আর গবেষনা কতদূর এগিয়েছে,,,,
ভাবছিলাম ভাই কে বলে একটা বই প্রকাশ করব আফসোস আমার আর বই প্রকাশ হলো না। তবে ভাই এর টা ঠিক ই প্রকাশ হইয়ে গেলো....
©somewhere in net ltd.