নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এস এম মাসুদ ভুবন।

শামীম মোহাম্মাদ মাসুদ

আমি খুব সাধারন একটা ছেলে বেড়ে উঠা গ্রামে, আর ভালোবাসি বাংলাদেশ। পড়তে খুব পছন্দ করি, মাঝে মাঝে লিখারও চেষ্টা করি।

শামীম মোহাম্মাদ মাসুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপেক্ষা (৮ম পর্ব)

১৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৩১



আজ অজান্তার জন্মদিন। আমি সারা ঘর সাজিয়ে রেখেছি। রুমের চারদিকে রঙবেরঙের বেলুন, পশ্চিম পাশের দেয়ালে কর্কশিটে লেখা, 'শুভ জন্মদিন অজান্তা'। টেবিলে ৪ টি গোলাপ রেখেছি অজান্তাকে দিবো বলে। 'ভালোবাসা'র চার অক্ষর আর গোলাপের সংখ্যাও চার, এটি ভালোবাসার প্রতীক। আজ অজান্তা আসবে আমি জানি। রাত জেগে অপেক্ষা করছি তার জন্য। রাতের গভীরতা বাড়ে, সেই সাথে আমার অপেক্ষার গভীরতাও বাড়ে।

অজান্তার সাথে কাটানো শেষ জন্মদিনে আমরা দু'জন পাশাপাশি বসে কেক কেটেছিলাম। অজান্তার জন্য অনেকগুলো কাঁচের চুড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম আমি। দোকানে যত রঙের চুড়ি আছে সব রঙ। অজান্তার যখন যে রঙটা ইচ্ছে করবে সেটাই পরবে। চুড়িগুলো পেয়ে সে কি যে খুশি হয়েছিলো! বাচ্চাদের মত সেগুলো হাতে লাগিয়ে নাড়াচাড়া করছিলো, হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখে বারবার, আমি মুগ্ধ হয়ে অজান্তার এই খুশির দৃশ্য দেখি। সামান্য কাঁচের চুড়ি পেয়ে যে মেয়ে এত খুশি হতে পারে তাকে নিশ্চিন্তে বিবাহ করা যায়। সেদিনের সেই দৃশ্য, অজান্তার মায়াবী মুখটা এখনো চোখে ভেসে উঠে।

রাত দুটা নাগাদ অপেক্ষার অবসান হয়। অজান্তা আমার পাশে এসে চুপটি করে বসে। চারপাশে একবার চোখ বুলিয়ে নেয়। তারপর আমার হাত জড়িয়ে ধরে, কাঁধে মাথা রাখে। আমি অজান্তার পাশে চুপ করে বসে থাকি। কিছু বলতে চেয়েও পারিনা। অজান্তা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে;
- কেন এমন পাগলামি করো? এত আয়োজন কেন করেছো?

আমি তার চোখের দিকে তাকিয়ে উত্তর দেই;
- তোমার জন্য। তোমার এই বিশেষ দিনে তোমাকে অনেক শুভেচ্ছা।

অজান্তা কিছুটা অস্থির হয়ে বলে;
- তোমার এই কল্পনা থেকে বের হতে হবে অমিত, বাস্তবতা হলো আমি আর তোমার সাথে নেই। আমরা অনেক আগেই আলাদা হয়ে গেছি।

আমি মৃদু হেসে উত্তর দেই;
- জীবন থেকে আলাদা হলেই মন থেকে আলাদা হয় কে বললো তোমায়?

অজান্তা উঠে দাঁড়িয়ে যায়, আমার হাত ছাড়িয়ে বলে;
- তুমি সবকিছু যতটা সহজ করে নিতে পারো, আমি পারিনা। আমার যে এসব দেখলে প্রচন্ড কষ্ট হয়।

আমি উঠে গিয়ে অজান্তার পিছনে দাঁড়াই। কানের কাছে ফিসফিস করে বলি;
- আমার এই যন্ত্রণা থেকে তোমার মুক্তি নেই। যদি তোমার আগে মরে যাই তবেই মুক্তি।

অজান্তা পেছন ঘুরে আমার দিকে তাকায়। তারপর কথা ঘুরিয়ে বলে;
- বাজে বকার অভ্যেস তোমার এখনো গেলো না। চলো কেক কাটি।

অজান্তা আমার হাত ধরে টেবিলে রাখা কেক কাটলো। আমি শব্দহীন হাততালি দিতে দিতে অজান্তার দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি। ওকে আজ ভীষণ অন্যরকম লাগছে। মেরুন রঙা শাড়ি পরেছে, কপালে মেরুন টিপ, হাতে আমার দেয়া একটা মাত্র কাঁচের চুড়ি পরেছে। মেরুন রঙের শাড়িতে মেয়েদের ভীষণ সুন্দরী লাগে। আমি প্রশ্ন করি;
- তুমি আমার সব স্মৃতি মুছে ফেলেছো?

- হুম সব ফেলে দিয়েছি, তোমার টি শার্ট পুড়িয়ে দিয়েছি, চিঠিগুলো জ্বালিয়ে দিয়েছি এক সন্ধ্যায়, আর সব চুড়ি ভেঙে ফেলেছি এক এক করে।

- তাহলে হাতের ওই একটা চুড়ি?

- এটিই শেষ স্মৃতি, এটা ভাঙার সাহস পাইনি।

- আমার দেয়া ভালোবাসার স্মৃতি?

- সেটা নতুন করে জীবনে আসা মানুষটার ভালোবাসায় ঢাকা পড়ে গেছে।

আমি টেবিলে রাখা চারটি গোলাপ অজান্তার হাতে দিয়ে বলি;
- তোমার জীবনের সবকটি জন্মদিনে আমি তোমার অপেক্ষায় থাকবো।

অজান্তা গোলাপগুলো বুকে জড়িয়ে বলে;
- আমাদের প্রথম দেখার চারটি গোলাপ।

তারপর আমি অজান্তার গালে হাত লাগিয়ে বলি;
- নতুন পুরুষ গোলাপ দেয়?

অজান্তা আর চোখের জল আটকে রাখতে পারেনি। মাথা নীচু করে বলে;
- আমেরিকায় এরকম দেশী গোলাপ পাওয়া যায়না। তাই হয়তো দেয়না।

"যাই হোক, আমি আজ আসি। নিজের জীবনকে এবার গুছিয়ে নাও।"

এ কথা বলে অজান্তা দরজার দিকে এগিয়ে যায়। দরজার মুখে হঠাৎ থেমে যায়, তারপর আমার দুই হাত নিজের হাতের মুঠোয় শক্ত করে ধরে এক নিঃশ্বাসে বলে ওঠে,
– একটা কথা বলি?
– বলো।
– আমার মৃত্যুসংবাদ শোনা পর্যন্ত তুমি বেঁচে থেকো।

আমি স্তব্ধ হয়ে যাই। এই কথার ওজন আমার বুকের ভেতর পাথরের মতো চেপে বসে। আমি কিছুই বলতে পারিনা, শুধু নিঃশব্দে তাকিয়ে থাকি। অজান্তা ধীরে ধীরে অন্ধকারে মিলিয়ে যায়।

আমি দরজার পাশে দাঁড়িয়ে থাকি—অনড়, নিঃশ্বাসহীন। চারপাশে নিস্তব্ধতা। কেবল দেয়ালে ঝুলতে থাকা রঙিন বেলুনগুলো একটু একটু দুলছে বাতাসে।

আমি নিজের দিকে ফিরে তাকাই না। পা বাড়াই না রুমের ভেতরে। আমার মনে একটাই প্রশ্ন- অজান্তা কি সত্যিই এসেছিলো? নাকি এই পুরোটা আমার একা থাকার দীর্ঘ অপেক্ষার জন্ম দেওয়া বিভ্রম?

আমি দাঁড়িয়ে থাকি দরজার চৌকাঠে, একটি জন্মদিনের রাত, যেখানে কেক কাটা হয়, গোলাপ দেওয়া হয়, আর ভালোবাসা বলে কিছু যদি থেকে থাকে—তা হয়তো কেবল স্মৃতিতে।

পরদিন বৃষ্টিভেজা সকালে ঘুম ভাঙে আমার। কেকের টুকরো এখনো টেবিলে। গোলাপগুলো শুকিয়ে এসেছে। আমি চুপচাপ তৈরি হয়ে ইউনিভার্সিটির দিকে রওনা হই।
ভেতরটা কেমন যেন ফাঁকা, অথচ ভারী। সারা রাত জেগে থেকেও আজ ক্লান্তি নেই। মনে হয়, কোনো এক অজানা ঘূর্ণিতে আমি এখন ভেসে চলেছি।

ক্লাসে মন বসে না। অজান্তার চোখ, কণ্ঠ, কেক কাটার মুহূর্ত—সবই ভাসে।
বিরতিতে টিএসসি’র দিকে হাঁটি। চারদিক পরিচিত মুখে ভরা। হঠাৎ চোখ পড়ে সামনের ঘাসের উপর—
মাহি আর টিটো পাশাপাশি বসে, কথা বলছে, হাসছে। মুহূর্তে এক অদ্ভুত অনুভূতি বুকের মধ্যে খামচে ধরে।

আমি দাঁড়িয়ে থাকি অনেকক্ষণ। ওরা আমাকে দেখে না। পেছনে ঘুরে হাঁটতে থাকি—চুপচাপ, নিঃশব্দ। নিজের ভেতর আরো গুটিয়ে যাই। আমার মধ্যে হালকা করে প্রশ্ন জাগে—
“এই শহরে, এই জীবনে, আমার সত্যিকারের স্থান আসলে কোথায়?”

আমার বুকটা একটু কেঁপে ওঠে। চেনা একটা মুখ, অন্য কারো কথায় এভাবে হাসছে—এই চিত্র আমি দেখতে চাইনি।
আমি পাশ কাটিয়ে চলে যেতে যাচ্ছিলাম, ঠিক তখনই মাহি আমার দিকে তাকায়। দু'জনের চোখাচোখি হয়। মুহূর্তটা অদ্ভুত—আমরা দুজনেই কেমন থেমে যাই, সময়ও যেন থেমে যায়।

তারপর মাহি ধীরে ধীরে উঠে আসে আমার দিকে। টিটো কিছু বলতে গিয়েও চুপ করে যায়। আমার সামনে এসে দাঁড়ায় মাহি। চুপচাপ কয়েক সেকেন্ড, তারপর বলে:
– "ভাবিনি এখানে আপনাকে এভাবে পাবো…"

আমি মৃদু হাসি দিয়ে বলি:
– "এখানেই তো ছিলাম সবসময়, শুধু কেউ দেখেনি।"

মাহি একটু চমকে যায়, তারপর চোখ সরিয়ে নেয়। নিচু গলায় বলে:
– "সেদিন… যেদিন আপনি আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন…"

আমি ওর কথা কেটে দিয়ে বলি:
– "আমি ফিরিয়ে দিইনি মাহি, আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি। তোকে পাওয়ার সাহস আমার ছিল না।"

মাহি একটুখানি হাসে। ব্যথা মেশানো সেই হাসি।
– "আপনি বুঝবেন না। মেয়েরা কখনো সরাসরি বলে না, কিন্তু যখন বলে… তখন খুব ভেবেচিন্তেই বলে।"

আমি চুপ। মাহি এবার সোজা আমার চোখে তাকায়:
– "আপনি যখন চুপ করে ফিরিয়ে দিলেন, আমার মধ্যে এক রকম রাগ তৈরি হলো। ভাবলাম, আপনি হয়তো কাউকে চানই না। কিংবা কখনো কাউকে জায়গা দেবেন না।"

– "তাই টিটোকে জায়গা দিলি?" আমার গলা নিস্তেজ।

মাহি দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
– "সে অন্তত আমার পাশে থাকবে, আমার কথা শুনবে। আমি কারো হাত ধরার ভান করতে চেয়েছিলাম শুধু, যাতে ভুলে যেতে পারি আপনার চুপ থাকা।"

আমি বলি না কিছু। এই মূহূর্তে পৃথিবীর সব শব্দ যেন নিষ্প্রয়োজন।

– "আমার অভিমান, প্রতিশোধ, ভালোবাসা—সব মিলিয়ে ফেলেছি। এখন জানি না টিটোর পাশে থাকাটা ঠিক কিনা, তবে আপনার পাশে তো জায়গা ছিল না আর…"

আমি ধীরে ধীরে বলি:
– "যা ভাঙে, সবসময় তা ফেলে দিতে হয় না। কিছু কিছু ভাঙা জিনিস বুকে রাখা লাগে—মনে করিয়ে দেয়ার জন্য, আমরা কাদের হারিয়েছি।"

মাহি চোখ নামিয়ে নেয়। বলে;
– "আপনার এখনো কবিতার মত কথা বের হচ্ছে দেখি…"

আমি হালকা হাসি দিই:
– "কবিতা লিখে ফেলা সহজ। শুধু জীবনটা কবিতার মতো হয় না।"

মাহি হঠাৎ আমার একদম কাছে আসে, আমার শার্টের একটা বোতাম আলতো করে ছোঁয়। তারপর বলে;
– "ভালো থাকবেন স্যার। আমিও না হয় আপনার মত আগুনে ঝাঁপ দিলাম, আর সেই দিনটা কেবল স্মৃতির জন্যই যত্ন করে রেখে দিলাম।"

আমি কিছু বলি না। মাহি ধীরে ধীরে ফিরে যায় টিটোর দিকে। আমি দাঁড়িয়ে থাকি আগের জায়গায়। চারপাশে কোলাহল, হাসির শব্দ। শুধু আমার বুকের ভেতরে কেমন যেন একটা দহনের শব্দ বাজে, নিঃশব্দে।

সন্ধ্যার আলো শহরের গায়ে ঝুলে আছে। ঢাকার আকাশে আজ কিছুটা ধূসর ভাব, বাতাসে অদ্ভুত এক বিরহ ভেসে বেড়াচ্ছে। আমির ভাই ফোন করলেন ঠিক পাঁচটায়।
– “তোরে আজ একটা জায়গায় নিতে চাই, ধানমন্ডি। সন্ধ্যার একটু আগে বের হইস। শাহবাগ দিয়ে যাবো।”

আমি কিছু না ভেবেই রাজি হয়ে গেলাম। এই মানুষটার সাথে থাকা মানেই, নিজের ভিতরের ভাঙা দেয়ালগুলোর দিকে তাকানোর সাহস পাওয়া।

আমির ভাইয়ের গাড়িতে উঠি। তিনি জানালেন, আজ ধানমন্ডির ৭ নম্বর রোডের একটা বাড়িতে লালন-ভক্তদের আড্ডা বসবে। এসব আড্ডায় কোনো ঘোষণা থাকে না, ব্যানার থাকে না, শুধু উপস্থিতির সত্যতা থাকে।

গাড়িটা শাহবাগ দিয়ে এগোতে থাকে।
রাস্তায় মানুষের ভিড়, ফুলওয়ালারা হাঁক দিচ্ছে, ফুটপাতে বইয়ের দোকানে পুরনো কবিতার বই সাজানো—সব যেন খুব পরিচিত, অথচ আজ ভীষণ অপরিচিত লাগে।

আমি জানালার পাশে বসে আছি, বাতাসে চুল উড়ছে। একটা কণ্ঠ যেন ভিতরে বলে,
"তুই ঠিকঠাক পথে যাচ্ছিস অমিত। মানুষ খুঁজে ফেরে যাকে, তুই খুঁজে নিচ্ছিস তোরে।"

আমির ভাই বললেন ধীরে:
– “শুনছিস তো? এই যে আমরা যাচ্ছি… এখানে কেউ কাউকে উপদেশ দেয় না। কেউ গুরু নয়, সবাই পথিক। কেউ কাউকে বোঝায় না, শুধু নিজের বোধ ভাগ করে নেয়। তোর ভালো লাগবে।”

আমি মাথা নাড়ি। কিছু একটা আমার ভেতরে ধীরে ধীরে গলে যাচ্ছে—
জীবনের মোড় ঘোরে বুঝি এমনই চুপিচুপি।

ধানমন্ডি পৌঁছাতে পৌঁছাতে আকাশে নরম আঁধার নামে। আমরা একটা সরু গলির ভেতর ঢুকে পড়ি। বাড়িটার গেট খোলা, ভেতর থেকে ভেসে আসছে এক বাউলের কণ্ঠ—
"সত্য বল সাঁই… অন্তরে তুই কে রে..."

আমির ভাই হালকা করে আমার পিঠে চাপড় দিলেন।
– “চল, এবার তোর মনকে একটু হাঁটতে দে।”

আমি চুপচাপ তার পেছনে হাঁটতে থাকি। শহরের সমস্ত শব্দ পেছনে ফেলে আমরা ঢুকে পড়ি এক অন্য রকম সময়ের ভেতরে। মাথায় মাহির ভবিষ্যৎ ঘুরে বেড়াচ্ছে। মেয়েটা কি বিশাল এক ভুলের পথে পা বাড়ালো। যে আগুনে সে জিদের বশে ঝাঁপ দিয়েছে সেখানে সে জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে যাবে। আমার কিছু করার নেই এই মুহূর্তে, এখান থেকে তাকে উদ্ধার করতে হলে তার হাতে নিজেকে সঁপে দিতে হবে। যা আমার পক্ষে শুধু অসম্ভবই নয় অবাস্তব। তার চাইতে না হয়, সে জ্বলেপুড়ে খাঁটি সোনা হয়ে উঠুক।

(অপেক্ষা-৮ম পর্ব © শামীম মোহাম্মদ মাসুদ)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম। ভালো।

২১ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

শামীম মোহাম্মাদ মাসুদ বলেছেন: ভালোবাসা নিবেন রাজীব ভাই।

২| ২০ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:৫৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: পড়ে নিলাম। সুন্দর লিখেছেন।

২১ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:০৫

শামীম মোহাম্মাদ মাসুদ বলেছেন: শুভকামনা রইলো সুজন ভাই। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.