![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাধারন একটা ছেলে বেড়ে উঠা গ্রামে, আর ভালোবাসি বাংলাদেশ। পড়তে খুব পছন্দ করি, মাঝে মাঝে লিখারও চেষ্টা করি।
রাজনীতিতে শূন্যস্থান থাকে না। কেউ না কেউ সেই শূন্যস্থান পূরণ করে ফেলে। এখানে কেউ একটা মত দিলে কিংবা একটা রাজনৈতিক ন্যারেটিভ দাঁড় করালে সবাই সেই ন্যারেটিভ মেনে নিবে বা তার সাথে একমত হয়ে যাবে ব্যাপারটা এরকম না। সেই মতের পালটা মত তৈরি করাই হলো রাজনীতি। কেউ না কেউ আপনার মতবাদের বিপরীতে অবস্থান নিবেই। এটা স্বাভাবিক, সব দলকে তা মেনে নিতে হয়।
রাজনীতিতে এই মুহূর্তে আওয়ামীলীগের অবস্থান নেই বললেই চলে। দূর্বল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নিজেদের সাজানো প্রশাসন, বিপুল অর্থ থাকার পরেও গত দশ মাসে তারা বিন্দুমাত্র রাজনৈতিক কর্মকান্ড দেখাতে পারেনি। সামনে নির্বাচিত সরকার এলে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শক্ত হলে, প্রশাসন নিজেদের নাগালের বাইরে গেলে কতটুকু এক্টিভিটি তারা করতে পারবে তাতে সন্দেহ থেকেই যায়। এরকম অবস্থায় আওয়ামিলীগ বিহীন মাঠ খালি থাকবে এটা যারা আশা করে তারা বোকার স্বর্গে বাস করে। কোন না কোন দল বিরোধী একটা অবস্থান নিবেই। এনসিপি আর জামায়াত এই মুহূর্তে রাজনৈতিক সেই বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছে।
এনসিপির সামনে এখন দুইটা সুযোগ, বিএনপির সাথে জোট করে সরকারে থাকা অথবা জামায়াতের সাথে মিলেমিশে বিরোধীদলে থাকা। সেই সিদ্ধান্ত তারা নির্বাচনের আগেই নিবে বলে ধারনা করি। তবে এই মুহূর্তে তারা তাদের নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান শক্ত করছে। বিএনপির কঠোর সমালোচনা আর বিএনপিবিরোধী অবস্থান নিয়ে তারা আওয়ামিলীগ এর শূন্যস্থান পুরনের চেষ্টায় আছে। এনসিপি যত বেশি বিএনপি বিরোধী অবস্থান নিবে তত বেশি তারা আলোচনায় আসবে ও নিজেদের অবস্থান শক্ত করবে। এটা রাজনীতির সূত্র, খুব সাধারণ একটা কৌশল। বিএনপির সাথে নির্বাচনের আগে দর কষাকষিতে তাদের এই অবস্থান কাজে লাগবে।
অন্যদিকে বিএনপি কখনোই চাইবে না তাদের প্রতিপক্ষের শক্ত অবস্থানের বিপরীতে দর কষাকষিতে নিজেদের লস হোক। এজন্য তারা প্রতিপক্ষের দূর্বল জায়গায় আঘাত করবে। জামায়াতের দূর্বল জায়গা মুক্তিযুদ্ধ। বিএনপি সেই কৌশল হাতে নিয়েছে। নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে জামায়াতকে রাজাকার হিসেবে তার আগের পরিচয়ে পরিচিত করে দিতে চেষ্টা করছে। এর ফলে প্রতিপক্ষ হিসেবে জামায়াত কিছুটা দুর্বল হবেই। সেক্ষেত্রে তারা পালটা ন্যারেটিভ হিসেবে ২৪ এর অভ্যুত্থানের পাশে আরো শক্তভাবে দাঁড়াবে।
সামনের রাজনীতিতে বিএনপির হাতে দুইটা অপশন, হয় তারা মুক্তিযুদ্ধের ন্যারেটিভ নিয়ে যেভাবে বর্তমান রাজনীতির কৌশল সাজিয়েছে সেভাবে এগিয়ে যাবে, অথবা এনসিপিকে যে কোন মূল্যে দরকষাকষি করে নিজেদের জোটে নিয়ে সরকার গঠন করে বিরোধী ন্যারেটিভ ২৪ এর অভ্যুত্থানকেও নিজেদের দখলে নিবে। এতে দুইটা লাভ, আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধের রাজনীতিও নিজেদের দখলে থাকবে এবং এনসিপির ২৪ এর অভ্যুত্থানের রাজনীতিও নিজেদের দখলে থাকবে। আমার ধারনা এনসিপি ২৪ এর দখল কোনভাবেই সহজে হারাতে চাইবে না। দেখা যাক সামনে কি হয়, সময় এখনো অনেক বাকি, সমীকরণ আরো অনেক বদলাবে।
—রাজনৈতিক আলাপ
©শামীম মোহাম্মদ মাসুদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:১১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এনসিপি একাই ভালো কিছু করতে পারবেনা।