![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশের মেয়েরা বেশীর ভাগই নিজ নিজ জায়গা থেকে নির্যাতিত। বাংলাদেশের মেয়েরা কি বাসায়, কি কর্মসংস্থানে, কি রাস্তাঘাটে, যানবাহনে সব জাযগাতেই নির্যাতনের শিকার হয়। উদাহরন দিলে অগনিত দেয়া যাবে। শুধু মাত্র অফিস, গার্মেন্টস, বাসায় কাজ করতে গিয়ে ৫০ ভাগের বেশী নারী নির্যাতন নীপিরনের শিকার হয়। আমাদের সমাজের অনেক ভদ্র মুখোশধারী পুরুষ মানুষ আছে তারা উপরে ভাল কিন্তু ভিতরে পশু। এইতো সেদিন এক কাছের বন্ধুর নিকট থেকে শুনলাম সে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছোট বোনকে তারই জানামতে কাছের এক উকিল বড় ভাইয়ের কাছে পাঠিয়েছে। ছোট বোনটি তার ভাইকে নিয়ে সেই উকিলের কাছে গিয়েছিল। উকিল সাহেব ভাইকে বাইরে বসতে বলে মেয়েটিকে একা পেয়ে জরিয়ে ধরে। তাহলে আমরা কাকে বিশ্বাস করবো? কোথায় নারীদের নিরাপত্তা। এটাতো খুব কাছের একটা ঘটনা। এইরকম আরো অনেক ঘটনা আছে। এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে পরিত্রান পাওয়ার উপায় কি ? কে আমাদের নিরাপত্তা দিবে রাষ্ট্র আইন নাকি আমাদের পরিবর্তন প্রয়োজন। যদি পরিবর্তন প্রয়োজন হয় তাহলে সবার আগে আমাদের মানসিক পরিবর্তন প্রয়োজন। পরিবর্তনটা শুরু হওয়া উচিৎ নিজ নিজ ঘর থেকে। আমরা বলি দেশ এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু কোথায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যেখনে এখনও শিক্ষিত মাওলানারা বলছে নারীদের ঘরে থাকতে হবে, ঘরের বাইরে কাজ করতে যাওয়া নিষেধ। এই দেশে এখনও বাল্য বিবাহ চলছে। চলছে যৌতুক। পিতা মাতা যৌতুক না দিলে নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ইদানিং এক অভিনব ট্রেন চালু হয়েছে। অনেক পুরুষ দেখা যাচ্ছে শারীরিকভাবে দুর্বল। শারিরিকভাবে দুর্বল হওয়াটা দোষের কিছু না। কিন্তু যে পুরুষ শারিরিকভাবে দুর্বল সে তার স্ত্রীর কাছে তার দুর্বলতা প্রকাশ করে না। স্ত্রী যখন বুঝে তার স্বামী শারিরিকভাবে অক্ষম তখন সে চিকিৎসার কথা বলে কিন্তু স্বামী সেটা মেনে নিতে চায় না। ফলে পরিবারে শুরু হয় অশান্তি। এরকম অনেক উদাহরণ আছে যে শারিরিক অক্ষমতার স্বীকার না করে বরং স্ত্রীকে দুষচরিত্র বলে তালাক দিচ্ছে। আমাদের সমাজের অবক্ষয় দিন দিন বাড়ছে। আগে শুনতাম নারীরা বাইরে নির্যাতনের শিকার হয় এখন দেখি ঘরে বাইরে সব জায়গাতেই শিকার হচ্ছে। আনুপাতিক হারে ঘরের চাইতে বাইরে এবং জীবনের তাগিদেই বেশী নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নির্যাতনের হাত থেকে রেহায় পায় না শিশুরাও। কোথায় গিয়ে দাড়াচ্ছি আমরা। ছোটবেলায় তালিম শিক্ষা থেকে শুরু করে্ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ঘর ও পরের অধীনে কাজ করতে গিয়েও থেমে নাই এই নির্যাতন নিপীরন। তাই আসুন মানসিক পরিবর্তন ঘটাই। অন্তত একটু চেষ্টা করি।
©somewhere in net ltd.