![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কয়েকেদিন পর পর খুব ভালোভাবে সাজগোজ করে পাত্রপক্ষের সামনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী অনামিকা। পরে সে আর বাজারের পণ্যের মতো নিজেকে এতগুলো চাহনির সামনে হাজির করতে পারবে না বলে জোর প্রতিবাদ করেও কাজ হয়নি। অভিভাবকদের এক কথা ‘‘এভাবে তোকে না দেখে বিয়ে করবে কে? সব মেয়েকেই তো এমন হাজারটা পাত্র দেখে, তুই উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছিস বলে কি নিয়ম বদলে যাবে?’’
দিন দিন মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে সুপ্রভা। এটি তার ছদ্ম নাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্রী সুপ্রভা। তার সমস্যা সে পরিবারের বাইরে বন্ধু মহলে, পরিচিতমহলে বা কর্মক্ষেত্রে কোনো আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারছে, স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারছে অথচ সে নিজ পরিবারে তার মতামত প্রদানে, অধিকার প্রতিষ্ঠায় হচ্ছে বঞ্চিত। সুপ্রভার মতো আরো কিছু মেয়ের সাথে কথা বলে জানা গেল তাদেরও একই ক্ষোভ। অভিযোগ: কেন ‘নিজ পরিবারে’ তারা নিজশ্ব মতামত, অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারছে না? পরিবারই যেখানে একটা মানুষের মূল অনুপ্রেরণা কেন্দ্র, সেখানে যদি তারা এভাবে বঞ্চিত হয়, তাহলে পরিবারের বাইরে কিভাবে তারা নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের বিজ্ঞান বিভাগের কেয়া বললো, পরিবারের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে আলোচনায় অংশ নিতে পারলেও দেখা যায়, সব সময় ভাইদেরটাই গ্রহণ করা হয়। তাই সে এখন আর কিছু বলে না নিরব
দর্শক মাত্র। তাই স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন জাগে, তাহলে এত কষ্ট করে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের মানে কি, যদি সে তার শিক্ষাকে জীবনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজে লাগাতেই না পারে? যদি নিজের পছন্দ অপছন্দ প্রতিষ্ঠা করতে না-ই পারে, তাহলে এতো কষ্ট করে পড়াশুনা করে বিবেককে শাণিত করার দরকারটা কী? ভবিষ্যৎ পেশা নির্বচনের ক্ষেত্রে বা সাবজেক্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় পরিবারের সিদ্ধান্তিই মেনে নিতে হচ্ছে সব মেয়েকে।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬
সনেট কবি বলেছেন: পরিস্থিতি পরিবর্তন হওয়া দরকার।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: মেয়ে দেখা এই যুগে এসে এখন ব্যাপারটার পরিবর্তন দরকার।