নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের জানাল২৬৪১

মনের জানাল২৬৪১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণমাধ্যমে নারী কর্মীদের যৌন হয়রানি ও মালিক পক্ষের টিভি ব্যবসা

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

বর্তমানে টিভি চ্যানেলে মেয়েদের কাজ করা খুব অসুবিধা হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা অনেক বছর ধরে বিদ্যমান কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আরো বেশী চ্যালেঞ্জলিং হয়ে পড়েছে টিকে থাকা নিয়ে। আজ ফেইসবুকে দেখলাম ইটিভির ১৫ মিনিটের একটি ভিডিও অংশ। যেখানে নাম করা টিভি সাংবাদিকরা কিভাবে মেয়েদের হেনস্থা ও যৌন হয়রানি করছে কিন্তু কেউ এতদিন মুখ খুলেনি। অন্যায়কারী অন্যায় করে পার পেয়ে যাবে কিন্তু কেউ জানতে পারবে না তা সবসময় সঠিক নয়, একদিন হলেও মানুষ তা জানবে। ইটিভির অনিয়মের বিষয়টি অনেক আগে থেকেই অনেকে জানতো কিন্তু কেউ মুখ খুলেনি। অনিয়ম বলতে ছিল যেমন মেয়েদের উপর যৌন হয়রানি, বেতন বৈষম্য, পুরুনো কর্মীদের ছাটাই, বিভিন্ন অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠন বন্ধ করে দেয়া। আজতো জানা গেল ইটিভির অনিয়মের বিষয় অপেক্ষায় থাকুন কিছুদিন পর হয়তোবা দেখতে পাবো আরো কিছু গণমাধ্যমের অনিয়মের চিত্র। তবে গণমাধ্যমে নিঃশব্দে যে নারীদের উপর যৌন হয়রানি হচ্ছে তা প্রশাসনের এখন একটু এইদিকে সুনজর দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আমরা বর্তমান প্রশাসনের উপর আশাবাদী যে প্রসাশন এই বিষয়টি অতি অবশ্যই দেখবে। বাংলাদেশে পুরুষদের সবচাইতে বড় শক্তি হচ্ছে মেয়েদের চুপ থাকা। মেয়েরা চুপ থাকে কারন একটি মেয়ে চিন্তা করে সে কিভাবে এই নির্লজ্জতার কথা বলবে, সমাজ ও পরিবার তাকে ভালো চোখে দেখবে না। আর এই একটি বিষয়কেই কেন্দ্র করে পুরুষরা মেয়েদের উপর সব রকম নির্যাতন চালিয়ে যায়। তবে আর নয় মেয়েরা এখন আগের চাইতে অনেক বেশী বুদ্ধিমতী এবং সচেতন হয়েছে। তারপরেও পুরুষশাষিত এই সমাজে টিকে থাকতে হলে তাদের ঘরে, বাইরে, অফিসে আদালতে, স্কুল, কলেজে, কর্মসংস্থানে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হচ্ছে।

নাম না বলেই জানাই হাতে গোনা কয়েকটা টিভি চ্যানেল ছাড়া বেশীরভাগ টিভি চ্যানেলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন হচ্ছে না তিন থেকে চার মাস যাবত। কিছু বলতে গেলে ম্যানেজমেন্ট বলে না পোষালে চাকুরী ছেড়ে দিন। আমাদের দেশের টিভি চ্যানেলগুলোর উপর সঠিক কোন নীতি মালা নেই। তাই চ্যানেলগুলো যা খুশি তাই করছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপর। তিন থেকে চার মাস পর পর একমাসের বেতন বা একমাসের অর্ধেক বেতন হচ্ছে। মালিক পক্ষ বলছে লাভ হচ্ছে না কিন্তু খোঁজ নিলে দেখা যাবে যে দেশের বাইরে বিদেশে তাদের আলাদা ব্যবসা আছে, তারা সবাই পরিবার পরিজন নিয়ে সেকেন্ড হোম করেছে কেউ মালেয়শিয়া, কেউ আমেরিকা আবার কেউবা কানাডা। ব্যাংকে তাদের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ আছে। কিন্তু তারা কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাসিক বেতনাদি দিতে পারছে না প্রশ্ন হলো দিতে পাছে না নাকি ইচ্ছে করে দেয় না? কি হাস্যকর তাই না? তাদের চ্যানেল ব্যবসা থেকে যদি লাভ না থাকে তাহলে তারা চ্যানেল ব্যবসা বন্ধ করছে না কেন? এই যে মালিক পক্ষ বেতন দিচ্ছে না এর মাঝেও ব্যবসা আছে, তাহলে ব্যবসাটা কি? ধরুন খুব সামান্য করে যদি ধরি, সংবাদ চালাতে সবকিছুর খরচ মিলিয়ে মাসে ৪০ লক্ষ টাকা খরচ হয়। এই টাকাটা যদি চার মাস ব্যাংকে রাখা হয় তাহলে মালিকের ইন্টারেষ্টসহ কত টাকা আয় হচ্ছে ব্যাংক থেকে? একবার চিন্ত করে দেখুন। টিভি চ্যানেলতো বন্ধ করা যাবে না কারন এখন এটা একটা ক্ষমতা ও ষ্টাটাস হয়ে গিয়েছে ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন জীবনে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: এ বিষয়ে শক্ত নীতিমালা প্রয়োজন। দেশ যত বেসরকারীকরনের দিকে এগোবে, এইসব তত বাড়তে পারে। সুতরাং আগে থেকেই শক্ত অবস্থান নেয়া দরকার।

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: মেয়েদের এই চুপ করে থাকার মানসিকতা যে শুধু মুসলিম দেশগুলোতেই রয়েছে তা কিন্তু নয়। এই আমেরিকাতেও কলেজ প্রফেসর ক্রিস্টিন চুপ মেরে থেকেছিলেন বহু বহু দিন নিজের মানসম্মানের কথা ভেবে। শেষ তক সবকিছু অগ্রাহ্য করে সামনে এসেছেন।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩০

জাতির বোঝা বলেছেন: এমন একটা সময় আসবে তখন বাংলাদেশে কোন টিভি চ্যানেল থাকবে বলে মনে হয় না। ইউটিউব টিভি চ্যানেলের বাড়া ভাতে ছাই দেবে। কেবল সময়ের অপেক্ষা।

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: মেয়েরা মুখ খুলুক।

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৮

সাফকাত আজিজ বলেছেন: পুরুষদের থেকে নারী বার্তা উপস্থাপক নিয়োগে অধিক আগ্রহ বা ফিমেল নিউজ প্রেজেন্টারদের নিয়োগ এর পদ্ধতি...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.