নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খেজুর কাঁটা

বিলিভ ইট অর নট (শ্যামল বিশ্বাস)

আমি আমার দেশকে ভালবাসি, যেমন ভালবাসি মা কে। আমি সংস্কার করতে চাই... যা কিছু নোংরা, অশোভন... পরিবর্তন করতে চাই নিজেকে আর নিজের দেশ মাটি ও মানুষকে......কোন লিঙ্গ ভেদে নয়,কোন ধর্ম ভেদে নয়, কোন বর্ন ভেদে নয়, আর যেন বিভক্ত না হয় মানুষ , বিভক্ত না হয় দেশ... সেই প্রত্যাশা লালন করি.....।

বিলিভ ইট অর নট (শ্যামল বিশ্বাস) › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুগোল জীবন পথে

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৫

নচীকেতার সেই গানটা “একলা চলতে হয়...... “

হ্যা, জীবন পথে আমি তো একলায় চলতে পারতাম, দোউড়াতেও পারতাম একলাই। একদিন হঠাৎ

কারোও হাত ধরে হাটার সাধ হয়েছিল আমার । তারপর থেকে হাটছি একসাথে একপথে, কি মধুর সেই পথ চলা এক অন্তহীন আনন্দ এক অনাবিল সুখ সেই জীবনে । দুটো নদীর মিলনকে যদি মোহনা বলা যায়, তবে দু’টো পথের মিলনের নাম কি হতে পারে না প্রেম?

না হোক আমি তবুও তাই বলবো।

তুমি বলতে মৃত্যু আসুক পথ বদলাবো না আমরা । আমিও বলতাম দূ”টো জীবন একহয়ে গেলে আর কোন বাইপাস থাকে না । আমাদের পথ একদিন শেষ হবে একসাথে মৃত্যুর আলিঙ্গনে। কিন্তু নচিকেতা ! “......... ......... ...ফিরবে না যে জানবি সে তোর ভাবনার মোড়কে আছে ডুবে ছিড়বে মোড়ক ছিড়বে যে তার আপনও কোলায় ...।

আমি বিশ্বাস করি নচিকেতার প্রতিটা কথা একেকটা মতবাদ একেকটা আবিস্কার প্রতিটা বাক্য একেকটা চিরন্তন বাস্তবতা। যা মিথ্যে হবার নয়।

তবে কি সেও আমার ভাবনার মোড়কে ডুবে আছে ? একদিন ঠিকই মোড়ক ছিড়ে যাবে?

প্রশ্ন গুলো খেলা করে আমার মস্তিস্কে । ততক্ষনে আমি বুঝতে পারি আমার পায়েঁর সমস্ত শিরা উপশিরা অবশ হয়ে গেছে, অকেজো হয়ে গেছে আমার শেষ নিজের পায়ে ভর করে উঠে দারানোর শক্তিটুকুন । আমি এখন তোমায় ছাড়া হাসতে পারিনা কাঁদতে পারিনা, একটি সেকেন্ড বাচঁতে পারিনা। তবুও আমরা সুখেই আছি দুজন মিলে একটি জীবন। কিন্তু আজ সকালে হঠাৎ তুমি হোঁচট খেয়ে পড়লে ধূলোয়, আমিও পড়লাম, তারপর তুমি অনেকটাক্ষন তাকিয়ে ছিলে ধুলোর দিকে, তাকিয়ে ছিলে তোমার আমার পথের দিকে, আমিও অবাক তাকিয়ে আছি তোমার দিকে, তুমি কি যেন অন্যমনস্ক ভাবছো । তারপর তোমার চোখে আমি ঘৃনা দেখতে পেলাম, যে রকম ঘৃনাই মুখ দিয়ে থুতু বেরিয়ে আসে সেরকম ঘৃনা তোমার চোখে মুখে খেলা করছে। রাস্তাটির দিকে তুমি তিক্ষ্ণ ভাবে তাকালে আবার চারপাশের নোংড়া ময়লা, মাছি, পঁচা ছুচোর থেতলানো শরীর, ইঠ সুড়কীর ছড়ানো ছিটানো, মাঝে মাঝে গর্ত- কাঁদা বালী খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে দেখতে তুমি ঘেন্নায় উত্তেজিত হয়ে পথের উপর ছুড়ে দিলে থুতু। তারপর তাকালে আমার দিকে এখন আর থুতু নেই জিহ্বাতে তোমার চোখে কেবল ঘৃনার তিব্রতা, আমি আরো নমনীয় হলাম কারন সম্পুর্ন দোষ আমার। বাহুর মথ্যে রেখেছিলাম তাই বুঝতে পারোনি এ পথে কত কাটা কাটার যন্ত্রনা কেবল আমিই সয়েছি একা । আজ তুমি হোচট খেয়ে বাস্তবতা শিখলে, তুমি বিরবির করে বললে আমার নিজের পথে তো কাটাঁ ছিল না কাদাঁ ছিল না তাহলে ? আমি বললাম তোমার পথ আমার পথে মেশালে তাই কাঁদা জলে মিশে গিয়েছিল । তুমি এবার আগুন হয়ে রেগে গিলতে চাইলে আমায়। কিন্তু আমিও তো শুন্য তোমায় ছাড়া । শুন্যে কি আর আগুন লাগে বলো? তুমি তখন নরম সুরে বললে ফিরিয়ে দিতে তোমার স্বর্ণপথ। আমি বললাম এই পথদিয়ে কিছুদুর গেলেই একটা বাইপাস পাবে বেশ সিমসাম ঢালায় দিয়ে সোনাই মোড়ানো, দামি কংক্রিট স্বেতপাথর। তাতেও যদি পছন্দ না হয় ক্ষতি নেই ওখানকার ডানে বামে ওনেক সোনা গলি আছে যে কোন একটা... আমার তো আর পায়ে বল নেই তা না হলে আমিই পৌছে দিতাম ...।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.