![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমার দেশকে ভালবাসি, যেমন ভালবাসি মা কে। আমি সংস্কার করতে চাই... যা কিছু নোংরা, অশোভন... পরিবর্তন করতে চাই নিজেকে আর নিজের দেশ মাটি ও মানুষকে......কোন লিঙ্গ ভেদে নয়,কোন ধর্ম ভেদে নয়, কোন বর্ন ভেদে নয়, আর যেন বিভক্ত না হয় মানুষ , বিভক্ত না হয় দেশ... সেই প্রত্যাশা লালন করি.....।
বন্ধুদের আড্ডা চলছে..... হঠাৎ ঢুকে গেলো পাকিস্থান বিষয়।
রকি বললঃ পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান ইসলামাবাদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে।
সোবহান ভাই বলল.........
শুভ বললঃ ............
সাগর বললঃ ..............
প্রনব বললঃ............
শেলি বললঃ ...........
অনেকক্ষন ধরে বিষয় টি নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলছিল।
সবশেষে,
শামিম বললঃ পাকিস্থান আমাদের বাল ফেলাবে।
সঙ্গে সঙ্গে অট্টোহাসি।
আড্ডা শেষে রাত ১০ টার দিকে শেলি, সিমা আর বিপাশাকে বাসার আমনে খানিকটা এগিয়ে দিয়ে পাকিস্থান পন্য বর্জণের দৃঢ় অঙ্গিকার নিয়ে আমরা হাটতে হাটতে আমাদের মগবাজারে মেসে ফিরছি।
হঠাৎ শামিম কাউকে কিছু না বলে একটা মুদি দোকানে ঢুকে কিছু একটা কিনে পকেটে ঢুকা্লো।
আমরা সিগারেট ভেবে খুশি হলাম। কিন্তু একটা বিষয় আমরা কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না যে সিগারেট এভাবে লুকালোর কি আছে? শামিম বড়লোকের ছেলে সারাদিন বন্ধুদের পেছনে দেদারছে খরচ করছে, ফুটপাতে চা সিগারেট কফি থেকে শুরু করে কে এফ সি, সি পি কিংবা মিডনাইট সান যেখানেই যায় হোক বিলের রিক্সটা বেশীরবাগ সময় শামিম’ই কাঁধে নেয়। অথচ আজ সামান্য সিগারেট লুকিয়ে নিল! ব্যাপারটাই কেমন যেন একটা রহস্যের গন্ধ পেলাম। শুভ একবার শামিমকে জিজ্ঞেস করল “পকেটে কি ঢুকালি”? শামিম তোতলাতে তোতলাতে বলল ও কিছু না অন্য একটা জিনিস। আমাদের আগ্রহ টা অনেক বেড়ে গেলো। কিন্তু তারপরেও ওকে আমরা আর বেশী চটকালাম না। কারন আমরা সবাই জানতাম যে শামিম যায় করুক বা যায় লুকাক না কেন পরে নিজে নিজেই সব ব্রাষ্ট করে দেবে সবার কাছে এমন কি সিমা আর বিপাশার কাছেও।
এই সব ভাবতে ভাবতে আমরা আমাদের মেসের সামনে পৌছে গেলাম। তালা খুলতে খুলতে প্রনব বলল, আ্জ তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যেতে হবে কারন আগামিকাল শুক্রবার, সপ্তাহের একমাত্র কর্মদিবস। বাকি ছয়দিন হরতাল-অবরোধ। আবার অট্টোহাসি ......
পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আবিস্কার করলাম আমি ওয়াশ রুমের ছয় নম্বার সিরিয়ালে।
তাহলে ভেতরে কে ?
রকি বললঃ শামিম অনেকক্ষন আগে ঢুকেছে কি..ন্তু ..ওর তো এতো সময় লাগার কথা না!
ততক্ষনে জয় বাজার থেকে ফিরে এসে বললঃ কি রে আমি কি মেসে ঢুকতে গিয়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে্ ঢুকে পড়লাম নাকি ? তোরা সবাই বাথরুমের সামনে সিরিয়ালে দ্বাড়িয়েছিস কেন ?
সোহান ভাই একটু রেগে গিয়ে বলল, না এটা তো বাথরুম না এটা একটি এটিএম বুথ !! শালার মানুষের সময় জ্ঞান নেই?
সঙ্গে সঙ্গে রকি বলে উঠল, হ সময় জ্ঞান আছে তো, এতদিন ধরে একসাথে আছি বাথরুমে কার কত টুকু সময় লাগে সে জ্ঞান তো আমার আছেই। প্রনবের সময় লাগে আট দশ মিনিট, শ্যামলের লাগে পাঁচ মিনিট, সুজয়ের লাগে সাত আট মিনিট, আমার... এগার মিনিট আর শামিমের সর্বোচ্চ সাত মিনিট। কিন্তু আজ.. জানিনা কেন ওর এতো সময় লাগছে!!
শুভ বলল, দরজায় জোরে লাথি মার তো । শালা ভেতরে কি করছে ?!!
রকি লাথি মারার প্রস্তুতি হিসেব পা উঠাতেই........হটাৎ ভেতর থেকে চিৎকার !!
পাকিস্থান !! পাকিস্থান!, মেড ইন পাকিস্থান!
বাথরুমের দরজায় দ্বাড়িয়ে থাকা সবাই থ মেরে গেলো।
বাথরুমের দরজাটা বেশ খানিকটা ফাঁকা করে শামিম বাম হাত দিয়ে একটি ব্লেড সবার সামনে এগিয়ে দিয়ে বলল “মেড ইন পাকিস্থান”
গত কাল কেনার সময় খেয়াল করিনি ।
তারপর চার পাঁচ মিনিট ধরে অট্টো হাসি চলল ।
সবশেষে সুজয় বলল , গত কাল শামিম বলেছিল পাকিস্থান নাকি আমাদের বাল ফেলাবে। আজ সত্যি সত্যি পাকিস্থান ওর বাল ফেলে দিল।
তারপর আবার অট্টোহাসি ............
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩১
বিলিভ ইট অর নট (শ্যামল বিশ্বাস) বলেছেন: !!!!!!!!!!!!!
২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৭
এম এ কাশেম বলেছেন: রুচিহীন ফালতু বাতচিত
মেইড ইন ইন্ডিয়া, মেইড ইন বাংলাদেশ, বা অন্য কোন দেশের
ব্লেড দিয়ে সে কাজ করলে তখন কি বলবে?
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৮
বিলিভ ইট অর নট (শ্যামল বিশ্বাস) বলেছেন: এম এ কাশেম ভাই কি মনে কষ্ট পেলেন নাকি পাকিস্থান বাঁশ দিলে?
আমরা ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে ও আমার অনেক লেখা আছে দয়া করে পড়ে দেখবেন।
তাছাড়া এতদিন তো আমরা কিছু বলি নাই যখন তারা আমাদের দেশের অভ্যান্তর বিষয় নিয়ে নাক গলাচ্ছে তখন তো আমার ভেতর যদি সামান্য তম দেশ প্রেম থাকে তাইলে তো আমি প্রতিবাদ করবই।
৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: হাউকাউ