নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

শ।মসীর

At present I am living in the consequences of a choice made earlier বেঁচে আছি এটাই আনন্দের.........।। ইচছা হয় সারাদিন ঘুরি পথ থেকে পথে ঘোরা হয়না..............................।।

শ।মসীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্রীজ : প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্কে বড় বাধা !!!

০১ লা জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩

শৈশবে আমার কিংবা আমাদের প্রতিবেশীদের কারো ফ্রীজ ছিল বলে মনে পরেনা অথচ আমাদের সবার মাঝে সুসম্পর্কের কোন কমতি ছিলনা। সবাই সবাইকে ভাল করে জানার পাশাপশি বিপদে আপদে এগিয়ে আসা সহ নানা কাজে একে অন্যকে সহযোগীতা করার কোন সীমারেখা ছিলনা। সবাই ছিল সবার জন্য । নিকট আত্মীয় স্বজনের চেয়ে তারা যেহেতু কাছাকাছি তাই তারায় ছিল সবচেয়ে বড় স্বজন।

এখন আমি জানিনা অন্যদের কি অবস্হা তবে আমার ক্ষেত্রে অবস্হা খুব খারাপ। আমার বর্তমান আবাসস্হলের প্রতিবেশীদেরকে আমি চিনিনা, আগের বাসায় এক কলীগ প্রতিবেশী হওয়ায় কেবল তাকে চিনতাম। প্রতিবেশীদের সাথে লিফটে দেখা সাক্ষ্যাত হলেও কথা হয়না, একে অন্যের দিকে একবার তাকানো হয়- সেটা হয়ত দেখে নেয়ার জন্য , এর বেশী আর কিছু না । ভদ্রলোকের সাথে দুকবার হাই হ্যালো হলেও সেটা আর বেশী দূর আগায়নি, বয়সের পার্থক্য কিংবা দুপক্ষের অনিচ্ছাও হয়ত এতে দায়ী। আমরা দুজনই জব করাতে, বেশীর ভাগ সময় বাইরে থাকাতে ভদ্রমহিলার সাথেও আমার বউ এর কখনো কথা হয়েছে বলে শুনিনি। আসল কথা হল প্রতিবেশীদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই, বাসায় অতিথী বলি আর যারা আসেন তারা সবাই নিজের বন্ধু মহল আর আত্মীয় স্বজন।

আমার ব্যক্তিগত একটি ধারনা হল আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় ফ্রীজ প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক তৈরিতে একটা বড় বাঁধা।

ছোটবেলায় প্রতিবেশীর বাসায় কেউ মিস্টি নিয়ে এলে কিংবা ভাল মন্দ কোন রান্না হলে এটা নিশ্চিত ছিল যে তার একটা অংশ আমরাও পাব, তেমনি আমাদের বাসায় ও ভাল কিছু রান্না হলে সেটা তাদের বাসায় পাঠানো হত। কেউ মিস্টি জাতীয় কিছু নিয়ে এলে সেটা না পাঠানো ছাড়া কোন উপায়ও ছিলনা, সব মিস্টি খাওয়া যেমন সম্ভব না, তেমনি সেটা প্রিজার্ভ করার ও কোন উপায় ছিলনা । সদগতি করার জন্য প্রতিবেশীরাই ভরসা, আর এভাবে আদান প্রদানের মাধ্যমে সুন্দর একটা সম্পর্ক গড়ে উঠত পরিবারগুলোর মাঝে।

ফ্রীজ আগমনের পর আমার মনে হয় এই সমীকরন বদলানো শুরু হয়েছে। বাসায় যত মিস্টিই আসুক, যত যায় রান্না করা হউকনা কেন যা খাবার শেষে রয়ে যাবে তা সুন্দর করে পরে খবার জন্য ফ্রীজে চালান করে দেয়া হয়। খাদ্যের সুষম বন্টন প্রথা মোটামুটি উঠে গেছে এর মাধ্যমে, চালু হয়েছে সঞ্চয় প্রথা । এমনকি মানুষ কোরবানির মাংসও গরীবকে দেয়ার আগে ফ্রীজ ভর্তি করে ফেলার কাজটা করে ফেলে।



ফ্রীজ না থাকলে এই ব্যাপারগুলো ঘটতনা , প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্কও অনেক ভাল হত আমি নিশ্চিত।

[ ফ্রীজ এর উপকার নিয়ে কোন ডাউট নাই, তবে মূল ব্যাপার হল আমার প্রতিবেশী মহিলা এত ভাল রান্না করে বলার বাইরে, অন্তত তার রান্নার সুঘ্রান তাই বলে, পায়েস থেকে বিরানী- আমরা শুধু ঘ্রানটাই পাই !!! ;) ]

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: আপনার ফ্রি স্টাইলে ফ্রিজের যে গুনগান করলেন তাতে আমি পুরোপুরি একমত না হলেও শতভাগ একমত। ধন্যবাদ।

০১ লা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮

শ।মসীর বলেছেন: হা হা হা

২| ০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ১২:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আসলেইতো ফ্রীজ আমাদের সঞ্চয়ী হতে শিখিয়েছে। :P

৩| ০২ রা জুন, ২০১৪ ভোর ৪:১২

সকাল হাসান বলেছেন: ফ্রীজ এর উপকার নিয়ে কোন ডাউট নাই, তবে মূল ব্যাপার হল আমার প্রতিবেশী মহিলা এত ভাল রান্না করে বলার বাইরে, অন্তত তার রান্নার সুঘ্রান তাই বলে, পায়েস থেকে বিরানী- আমরা শুধু ঘ্রানটাই পাই !!!

আসলেই ভাই - মাঝে মাঝে ঘ্রান শুঁকে পেটটা মোঁচড় দিয়ে উঠে। কিন্তু প্রতিবেশি বুঝেও বুঝতে চায় না।
সব খাইতে পারে না ঠিকই, যেটুকু বাঁচে ঐগুলো ফ্রিজে নিয়ে পুঁতে দেয়। ফ্রিজ না থাকলে হয়ত খাবার গুলো আমার পেটেই পুঁতা হত।

:( :( :(

৪| ০২ রা জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাঁধা = বন্ধন
বাধা = প্রতিবন্ধকতা

কোনটা হবে শিরোনামে?

ধন্যবাদ, শামসীর।

০২ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:০২

শ।মসীর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ঠিক করে দিলাম, বানান নিয়ে আমার সমস্যা নিত্যদিনের :(

৫| ০২ রা জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৫৫

নীল জোসনা বলেছেন: কিছু বলবো না । :P :P :P :P :P

০২ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮

শ।মসীর বলেছেন: হা হা হা

৬| ০২ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বানানের বিষয়টি অন্যভাবে নেবেন না প্লিজ। আসলে ভুল বানানের কারণে লেখাটির শিরোনামের অর্থ সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী হয়ে যাচ্ছিল দেখে জানিয়েছি।

সংশোধন করে নেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভাই শামসীর।

০২ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫০

শ।মসীর বলেছেন: নারে ভাই অন্য কোন ভাবে নেই নাই, খুশী হয়েছি ভুল শোধরাতে পেরে, ধন্যবাদ আবারও ।

৭| ০৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বড় কঠিন সত্য কথা বলেছ ! মনে পড়ে আমি গাজীপুরে ধান গবেষনা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে বড় হয়েছি, তো সেখানকার প্রতিবেশীদের সাথে আমার সম্পর্ক এখনো অনেকটা আত্মীয়ের মত, যদিও আমাদের ফ্রিজ ছিল, কিন্তু একই জায়গায় জন্ম এবং বেড়ে ওঠার সুবাদে তথা অনেক দিন থাকার কারণে সম্পর্কটা এমন হয়ে গিয়েছিল। মনে পড়ে, প্রতিবেশীদের মধ্যে খাবার আদান প্রদান করার ব্যাপারটা ছিল...

যাহোক, ইরানে আমার সাথে আমার নীচতলায় থাকা প্রতিবেশীর সম্পর্ক সাপে নেউলে হয়ে উঠেছে আমার দুই ছেলের কারণে ! আমার দুই ছেলে বাসায় খেলে আর শব্দ করে, দৌড়াদৌড়ি করে, সেটা নীচের বাসায় থাকা বয়স্ক এক মহিলা সহ্য করতে পারে না ! দু'বার অভিযোগ দিয়েছে, আজ বাসায় এসে দরজায় দুম দাম বাড়ি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে গেছে !!!

অন্যান্যদের কাছে শুনে যা বুঝেছি, ইরানি বয়স্ক মহিলারা বাচ্চা কাচ্চাদের কোলাহল একেবারেই পছন্দ করে না... :|

সাড়ে পাচ আর সাড়ে তিন বছরের দু'টো বাচ্চাকে বকা ঝকা করে কতটুকু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়????

০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২

শ।মসীর বলেছেন: বাচ্চা দুটারে ঐ মহিলার সাথে ভাব করার পরামর্শ দেন, একদিন এক বাটি পায়েস নিয়া তার কাছে পাঠান :)

৮| ০৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আর মনে হচ্ছে নীল জোসনা আপুই তোমার সেই প্রতিবেশী !!! ;) ;) :P :P

০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩

শ।মসীর বলেছেন: হা হা হা, খাওয়া পাঠালেই লেখা মুছে ফেলবো :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.