নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

শ।মসীর

At present I am living in the consequences of a choice made earlier বেঁচে আছি এটাই আনন্দের.........।। ইচছা হয় সারাদিন ঘুরি পথ থেকে পথে ঘোরা হয়না..............................।।

শ।মসীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন মানে জি বাংলা- কি করে বলি বন্ধ করতে ?

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬

একটা সময় আমি খুব গর্ব করে বলতাম আমার বাসায় (ঢাকায়, চিটাগাং এ) জি বাংলা, জলসা এইসব চ্যানেল চলেনা, বলতে ভালও লাগত । কিন্তু এখন আর আমি এই কথা বলতে পারিনা ।

আমার বাবা মা ইন্ডিয়ান চ্যানেল দেখা শুরু করেছে বিশেষ করে জি বাংলা, অবশ্য তা বছর দুয়েক হবে মাত্র, ঢাকায় ও দেখি মাঝে মাঝে আমার বউ (বাচ্চা সামলাতে গিয়ে তার আসলে টিভি দেখার টাইম নাই) স্টার প্লাস এ কি একটা সিরিয়াল দেখে- এতে অবশ্য সে দোষ দেয় আমার অফিস থেকে দেরী করে ফেরাকে, কারন আমি বাসায় থাকলে রিমোট আমার হাতে থাকে :)



জি বাংলা দেখার আগে আমার বাবা-মা খুব আগ্রহ নিয়ে বাংলা ভিশন দেখত, সেখানে গুলশান এভিনিউ নামে একটা সিরিয়াল দেখাত, উচ্চ বিত্তের রং তামাশা দেখতে হয়ত তাদের খারাপ লাগতোনা, কিংবা ধারাবাহিক ভাবে দেখতে দেখতে একটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল হয়ত।

ওটা শেষ হবার পরে তারা দেশী চ্যানেলে দেখার মত কিছু খুজে পায় নাই, কিংবা কোন কিছু তাদেরকে আগ্রহী করে তুলতে পারে নাই । যার ফলশ্রুতিতে এখন বাসায় নিয়মিত শুনি জীবন মানে জি বাংলা। ফেসবুকে নানা জনের স্ট্যাটাস দেখে সেদিন আমিও মীরাক্কেল এর ১ম পর্ব দেখলাম, এবং সুন্দর সময় কেটে গেল- অস্বীকার করার উপায় নেই।

টিভি চ্যানেলের মেইন দর্শক কিন্তু বাসার সিনিয়র সদস্যরা- এটাই স্বাভাবিক।

তাদেরকে আকর্ষন করার জন্য আমাদের চ্যানেলগুলি আসলে কি দেখায়। ঈদে বহুল বিজ্ঞাপিত এয়ার টেলের টি........ নাটকটা দেখলাম, তারিক আনামকে লতাপাতার পোশাকে দেখে আর একদল পোলাপানের যা খুশি করার গল্পকে নাটক হিসেবে এক দুই বার হয়ত চালিয়ে দেয়া যায় কিন্তু প্রতিদিন প্রতিটা নাটকে একই স্টাইলের ভাঁড়ামো নিশ্চয় দেখতে ভাল লাগার কোন কারন নেই। প্রায় একই রকম প্রেম পীড়িতির গল্প, একই নায়ক নায়িকাদের একই রকম অভিনয় সব নাটকে ।



দেশের সব মানুষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েনা, অন্যভাবে বললে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পোলা মাইয়ারাই সারাক্ষন আল্ট্রামর্ডান পোশাকে রঙ্গলীলা করে বেড়ায়না। ২৫-২৬টা টিভি চ্যানেলে আপনি এর বাইরে অন্য কিছু খুব একটা খুজে পাবেনা, কে জানে হয়ত আমি যখন চ্যানেল ঘুরাই তখনই কেবল এইসব দেখায়।

এ্যাডাল্ট কোন প্রোগ্রাম না তার পরও দেশের চ্যানেলগুলোর কোন অনুষ্ঠানই আপনি পরিবারের সবাই মিলে দেখে উপভোগ করতে পারবেননা। চ্যানেলগুলো নিজেরাও সোজা বাংলায় রাস্তা থেকে তুলে এনে উপস্হাপিকা কতগুলাকে বসিয়ে দেয় বিভিন্ন প্রোগ্রাম উপস্হাপনার নামে। এদের উপস্হাপনা দেখে মাঝে মাঝে বুঝতে কস্ট হয় সে আসলে কি করছে, নিজেকে দেখাচ্ছে না কোন কিছু উপস্হাপনা করছে। এদের পোশাক আশাক কোন কিছুই গ্রহনযোগ্য কিনা সেটা দেখারও কেউ নেই।

কর্পোরেট বিজ্ঞাপনের জোয়ারের কারনে এইসব অনুষ্ঠান, উপস্হাপিকা আর চ্যানেলগুলো টিকে যাচ্ছে , মান নিয়ে না ভাবলেও চলে।

ঈদ উপলক্ষেই মনে হয় ছয়-সাতশো নাটক বানানো হয়েছে, বেশীর ভাগ গুলোর ই লেখক পরিচালক সবই একজন এবং একেকজনেরই পনের বিশটা করে নাটক । দেশে এত মেধাবী লেখক-পরিচালক, এরা কেউ দর্শক ধরে রাখার মত একটা ভাল গল্প নিয়ে একটা ভাল ধারবাহিক বানানোর ক্ষমতা রাখেনা- এইটা কি মেনে নেয়া যায়। সবাই দেখছে পঁচিশ মিনিটের একটা নাটক বানিয়েত ঠিকি টাকা কামিয়ে নেয়া যাচ্ছে- সুতরাং সবাই সে পথেই চলছে। দর্শকের দেখাটা এখন আর খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ না, বিজ্ঞাপন পেলেই কর্মসারা, যার ফল হচ্ছে - বিজ্ঞাপনই এখন মুল অনুষ্ঠান, ফাঁকে ফাঁকে নাটক দেখানো হয় এই আর কি ।

কাজেই পাখী ড্রেস নিয়ে নানা আলোচনাই স্বাভাবিক। মানুষ যেটাতে বুঁদ হয়ে থাকে সেটার নানা বিষয়ে ঝুকে পড়াকে দোষ দেয়া যায়না, বরং মানুষ কেন সেদিকে যাচ্ছে সেটা পর্যালোচনাটাই জরুরি।

আইন করে জি বাংলা স্টার বন্ধ করে দিলে দেশের বিপুল একটা অংশের মানুষ আমারতো মনে হয় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বে , যেহেতু দেশী চ্যানেলগুলো তাদের কে স্যাটিসফাই করতে পারছেনা। জি বাংলা আর স্টার এর অনুষ্ঠান গুলোর খারাপ প্রভাব নিয়ে আলোচনা অবশ্য অন্য আরেকটা দিক, সেদিকে গেলামনা ।

বাবা মা,বোন, বউকে জি বাংলা, স্টারপ্লাস দেখতে নিষেধ করার আগে চিন্তা করে দেখলাম আমিওতো দেশী কোন চ্যানেল দেখিনা, খবর ছাড়া । রিমোট হাতে পেলেই আমি চলে যায় ডিসকোভারি, জিওগ্রাফী , ইএসপিএন, মুভীস কিংবা এইচ বিউতে। যে আমি নিজে সবসময় বিদেশী চ্যানেল দেখি সে আমি অন্য কাউকে কিভাবে নিষেধ করব তার সামাজিক পরিনতি যায় হউকনা কেন ?



মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনার সাথে একমত।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭

আমি ইহতিব বলেছেন: ইন্ডিয়ান সংস্কৃতির আগ্রাসন গিলে খাচ্ছে আমাদেরকে তাই আমরা এখন পাখী ড্রেসের জন্যও আত্মহত্যা করি, বিবাহ বিচ্ছেদের মত ঘটনা ঘটে। এর বেশিরভাগ দায়ভার কিন্তু আমাদের অনুষ্ঠান নির্মাতাদের উপরই পড়ে। জানিনা কোনদিন ওনারা নকলের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে মৌলিক কিছু ভালো অনুষ্ঠান আমাদের উপহার দিতে পারবে কিনা? ততদিন বাধ্য হয়ে আমরা বিদেশী চ্যানেলই দেখে যাবো।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০২

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ভাল একটি বিশ্লেষণ পড়লাম --- ভাল লাগলো। আমিও তো বিবিসি,সিএনএন, জিওগ্রাফি, স্টার স্পোর্স দেখি --এগুলোতে বিদেশীই-------।

ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ হলে আমার মা, ভাবী আর খালাম্মা, খালাতো বোন আর চাচাতো বোনদের কি হবে তাই চিন্তা করছি ------- আমি ইতোমধ্যে তাদেরকে মোটিভেট করছি -- তাদের মন খারাপ !!! মনে হয় কোন স্বজনকে হারাতে যাচেছ-------------- ।
এখনই বাংলাদেশের নির্মাতাদের ভাবনার সময় এসেছে ---

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১০

আক্তারজানু বলেছেন: এবার ঈদের একটি নাটকও দেখতে পারিনাই। আমার বাসায় ১ - ২০ নং পর্যন্ত শুধু বাংলা চ্যানেল। কিন্তু যখনই ১ থেকে - ২০ নং চ্যানেলে যাতায়াত করি দেখি প্রত্যেকটি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন-এর প্রতিযোগিতা। আর নির্মাতাদের অদক্ষতা, সস্তা গল্প, বিজ্ঞাপন। আরে ভাই আপনার আপনাদের অনুষ্ঠানের মান ভাল করুন তাহলেই আপনারা দর্শক টানতে পারবেন। "নিজে পারেন না, ভাল অনুষ্ঠান বানাতে আবার অন্যের অনুস্ঠানও দেখতে দেবেন না।" আপনার যোগ্যতা দিয়ে দর্শককে টানুন চ্যানেল বন্ধ করবেন কেন? তার মানে মাথা ব্যাথা হলে মাথা কেটে ফেলতে হবে। রাত ১০টার পর কি বিনোদনের জন্য কোন চ্যানেল আছে??????????????????????????? টকশো, মিষ্টি শো, নাইট শো, লেটনাইট শো, কলের গান, খবর, বলি ঘরের মেয়েরা কি এইসব খেয়ে আমাশয় বাধাবে বাধ্যই হয়েই তারা গো টু ইন্ডিয়া চ্যানেল। কিছু কিছু বলদেরা বলে এসব চ্যানেল ঘরোয়া রাজনীতি দেখায়। আরো বলদ পুরাতন বাংলা সামাজিক সিনেমাগুলো দেখুন ওখানে আরো ঘরোয়া রাজনীতি দেখানো হতো। কিভাবে বউকে শাশুড়ী জব্দ করে, বউ, শাশুড়ীকে জব্দ করে??? তাই এসব বলদরে বলছি আপনি আমাকে ভাল অনুষ্ঠান উপহার দেন (অবশ্যই সীমিত বিজ্ঞাপন) তাহলেই বাংলার মা বোনেরা এসব চ্যানেল দেখা বন্ধ করে দেবে। তার বাস্তুব 'ইত্যাদি'। একটি প্রশ্ন আচ্ছা যেদিন ইত্যাদি চলে সেদিন কি কেউ এসব ভারতীয় চ্যানেল দেখে??????????????????????????????????????????

৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২১

লেখোয়াড় বলেছেন:
একবার অন্তত বন্ধ হোক ওইসব চ্যানেল, দেখা যাক কি হয়।
মানুষ কোন দিকে যায় একবার দেখা যাক।

পরে কিছু হলে তখন তো অজুহাত দেখাতে পারবে না।

বিয়ের আগে কনেটি খুব ভাল থাকে আর বিয়ের পর সেই কনেটি যখন বউ হয়ে আসে তখন তার অনেক দোষ বের করা হয়।

সো টাইম উইল টক।

৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: এইবার ঈদে নাটক দেখা গেল না বিজ্ঞাপ্নের জ্বালায়। অন্যদিকে সারা বছর ইংলিশ চ্যানেল দেখি আমরা পুরুষরা, মেয়েরা দেখে ভারতীয় সিরিয়াল। বাংলদেশি চ্যানেল দেখা হয় শুধু সংবাদ জানার জন্য।

>> এই ব্যাপারগুলো নিয়ে আমি লেখকের সাথে একমত।

৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

জুন বলেছেন: ইদানিং আমি কোন টিভি প্রোগ্রামই দেখি না । আগে স্টার ম্যুভিজ এইচ বি ও আর ডিসকভারি ন্যাশ জিও দেখতাম । তারাও একই জিনিস বার বার ঘুরে ফিরে দেখিয়ে যাচ্ছে। আমি হয়তো পছন্দ করি না সিরিয়াল কিন্ত মাঝে মাঝে ইন্ডিয়ান আইডল বা ফেইম গুরুকুল খুব মনযোগ দিয়ে দেখেছি ।
আমাদের নাটক আর এড গুলো দেখলে মনে হয় আমরা একটা ঝগ্রুটে জাতি। নমনীয়তা ভদ্রতা আদব কায়দা বলতে কিছু নাই ।
আর কাপড় চোপড়ের জন্য যারা আত্মহত্যা করে তাদের নিয়ে কিছু বলার নাই । ধানমন্ডির এক শপিং মলে দেখেছিলাম এক রোজার সময় । এক মহিলা সাড়ে তিন হাজার টাকার স্যন্ডেল কিনে না দেয়ায় তার হাতের ব্যাগ ছুরে এক সিন ক্রিয়েট করলো। কিন্ত তাদের অবস্থা বিশেষ করে স্বামী বেচারাকে দেখে মনে হলো এত দামী স্যন্ডেল কিনে দেয়ার মত চাকরী সে করে না। তারপর ভদ্রলোক ব্যাগ কুরাতে কুরাতে বলছিল 'তুমি যদি এত টাকার স্যান্ডেল কিনো তাহলে বাচ্চাদের কি কিনে দেবো ?'

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৭

শ।মসীর বলেছেন: ভোগবাদীতার পথে আমাদের এখন নিদারুন যাত্রা..........পরিনতি ভাল হবার কোন কারনই নেই !!!

৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩১

রেজা এম বলেছেন: টিভি কম দেখি । । এসব নিয়ে ভাবি কম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.