নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

শ।মসীর

At present I am living in the consequences of a choice made earlier বেঁচে আছি এটাই আনন্দের.........।। ইচছা হয় সারাদিন ঘুরি পথ থেকে পথে ঘোরা হয়না..............................।।

শ।মসীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয় কিংবা বিয়ে বহির্ভূত !

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

(ছোট গল্প)

তাহমিনা অনেক চেস্টা করছে তার অভিব্যক্তি লুকিয়ে রাখতে । সে নিশ্চিত সেটা সে পারছেনা । তার চেহারায় একি সাথে অস্থিরতা এবং ভয় দুটোই ফুটে আছে বলে তার ধারনা । যদিও তার চেহারায় কি ফুটে আছে এটা নিয়ে সামনে বসে থাকা মানুষটার কোন ভাবনা আছে বলে তার মনে হলোনা । তিনি ওয়েটার এর সাথে কথা বলছেন, দুটো লাতে অর্ডার দিলেন, একটা সুগার সহ আরেকটা সুগার ছাড়া , সাথে দুই পিছ ব্রাউনি আর দুই পিছ ডোনাট পার্সেল করে দিতে বললেন । মনে পড়ল এগুলা তার ছেলের ও পছন্দের খাবার । লোকটি নিশ্চয় নিজের বাচ্চাদের জন্য নেয়ার জন্য পার্সেল করে দিতে বলেছে । ঠিক করল সে ও তার ছেলের জন্য যাওয়ার সময় নিয়ে যাবে । এই লোক তাকে কি নিয়ে বলবে সেটা সে জানে, কিন্তু কি বলবে সেটা সে বুঝতে পারছেনা । ওয়েটার চলে যাওয়ার পরও লোকটি কোন কথা শুরু করছেনা । সেও অন্য মনস্কভাবে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে । কফি না দিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মনে হয়না কথা শুরু করবেন ।

অফিস থেকে বের হয়ে সামান্য হেঁটে সামনে এসে সিএনজি নেবে, এমন সময় লোকটি এসে তাকে বলল আমি, ইব্রাহীম । আমার কথা আপনি জানেন এটা আমি শিউর, যদি নাও জানেন তাহলে বলছি, আমি নাফিস এর সম্বন্ধি। তাহমিনা ফোনটা হাতে নিচ্ছিল, এমন সময় লোকটা বলল কাউকে ফোন দেয়ার দরকার নেই, আপনার সাথে আমি বিশ মিনিট কথা বলব , আপনার অফিসের উল্টাপাশের কফিশপেই । এমন কিছুর মুখোমুখি তাকে একদিন হতে হতোই, সে ও আর কিছু না ভেবে লোকটির পিছু হাঁটা ধরল ।

ওয়েটার কফি নিয়ে আসার পর ইব্রাহিম বলল সুগার ছাড়া টা ম্যাডাম কে দিন , বলেই তাহমিনার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিল । আপনারা এই যুগের মেয়ে , স্বাস্থ্য সচেতন, ফিগার ঠিক রাখার জন্য চিনি টিনি খাওয়া ছেড়ে দেয়ায় স্বাভাবিক । আমি এইসব নিয়ে ভাবিনা, চিনি ছাড়া কোন কিছু খাওয়া যায় নাকি । একটু ভূড়ি বাড়লে বাড়বে, ঘোরাঘুরি সব ত করি নিজের বউকে নিয়েই । স্বামী মোটাসোটা হলে মনে হয়না বউরা অত মাইন্ড করে । তাহমিনা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে, লোকটা কি আসলেই জানে সে চিনি খায় না, নাকি জাস্ট তাকে একটু চমকে দেয়ার জন্য এই কাজ সে করেছে , মাথায় আসেনা কিছু তার । কিছু সময় ধরে তার মাথা এমনিতেই ফাঁকা হয়ে আছে । ওয়েটার চলে গেল ।

কফি খাও ! তাহমিনা চমকে উঠল । এতক্ষন আপনি করে সম্বোধন করা লোকটা এক পলকেই কোন ধরনের ভাবলেশ ছাড়াই তুমিতে নেমে আসল । তার অস্থিরতা আরো বেড়ে যাচ্ছে, সে বুঝতে পারছে । লোকটার দিকে এক পলক তাকিয়ে সে কফি হাতে নিয়ে হালকা একটা চুমুক দিল । ইব্রাহিম লম্বা একটা চুমুক দিয়ে কফিটা নামিয়ে কথা বলা শুরু করল ।
লুনা আমার ছোট বোন । বাবা মা মারা যাবার পর বলতে গেলে সেই আমার মা । মায়ের সাথে তার শুধু চেহারা না স্বভাবেও অসম্ভব মিল । আমার বাচ্চারা ও নিজের মাকে মাম ডাকে আর তাকে মা ডাকে । মা কে একদিন না দেখলে তারা অস্থির হয়ে যায় । গরুর মাংসে আমি কেমন ঝোল পছন্দ করি, কোন মাছটা ভাজা আর কোনটা রান্না পছন্দ করি সব তার মুখস্ত । শুধু আমার না, আমার বাচ্চাদের টাও । কিছুক্ষন দম নেয় ইব্রাহিম । তারপর বলে, আমি অন্য অনেক কিছু সহ্য করলেও, আমার বোনের চোখে পানি সহ্য করবোনা । তুমি নাফিস কে এক সপ্তাহের মাঝে লুনার কাছে ফেরত পাঠাবা, সব ভুলে যাতে সে আগের মত হয়ে যায় সেটা নিশ্চিত করবা । ইব্রাহিম থামে , কফিতে লম্বা লম্বা চুমুক দিতে থাকে ।

তাহমিনা ফিরে যায় পাঁচ বছর পেছনে । নাফিস ভাই আর সে তারও আগে একসাথে জব করত । পরে নাফিস ভাই জব সুইচ করে অন্য অফিসে চলে যান । অনেকদিন যোগাযোগ ছিলনা, কেবল ফেসবুকে লাইক দেয়া ছাড়া । সেদিন হঠাত নাফিস ভাই মেসেনজারে মেসেজ দিল অনেক দিন তোমার গান শোনা হয়না । মেসেজটা দেখেই তার কেমন জানি মনটা আল্লাদে ভরে গিয়েছিল । সে সাথে সাথেই নাফিস ভাইকে কল দিয়ে বসেছিল । কল রিসিভ করতেই বলল, ভাইয়া ভাবী কি গান জানে । নাফিস না বোধক রিপ্লাই দেয়ার সাথে সাথে সে কোন কারন ছাড়াই বলে বসল, আহ, আপনার গান ভাল লাগে ভাবী গান জানেনা ! আমি গান গাইতে পারি , অথচ আমার স্বামী কোন দিন ও বললোনা একটা গান শোনাও । বলে দুজনই হাসতে লাগল । নাফিস বলল এমন ই হয় । এটাই বোধ হয় দুনিয়ার নিয়ম । বেশ কিছুক্ষন কথা হলো, পুরোনো স্মৃতিচারনসহ । অফিসের যে কোন আড্ডায় তাহমিনার গান ছিল একটা কমন ব্যাপার । যে কেউ বলে বসলে সে ও কোন দ্বিধা ছাড়াই গান গাওয়া শুরু করত ।

পরদিন অফিসে আসার আগে রেডি হতে হতে একটা গান গেয়ে রেকর্ড করে সেটা নাফিস কে পাঠিয়ে দিয়েছিল । সেই যে শুরু ! এরপর চ্যাট আর ফোনে কথা হয়ে গেল নিয়মিত অভ্যাস । নাফিসের জন্যই যেন সে গান গাইত । রেকর্ড করে না পাঠানো পর্যন্ত শান্তি পেতোনা । মাঝে মাঝে কফি শপে এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি তাদের নিত্যকার রুটিন হয়ে গেল। একসময় তারা বুঝতে শুরু করল জল অনেকদূর গড়িয়ে গেছে । একদিন দুজনে মিলে তারা গেল আরেক পুরনো কলিগের বাসায় । ঘটনাক্রমে আপুর বাসায় সেদিন অন্য কেউ ছিলনা । আপুও কি এক কল আসায় বলল তোমরা বস, আমি অল্প সময়ের জন্য বাইরে যাচ্ছি । তাহমিনা গান শোনাতে শুরু করেছিল ব্যালকনির দরজায় হেলান দিয়ে । কখন যে নাফিস এসে পেছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরে পিঠে একটা চুমু দিয়ে বসল সে টেরই পায়নি । গান বন্ধ করে থমকে গিয়েছিল । জড়িয়ে ধরা পিঠে চুমু আরো কিছু সময় চলার পর তাহমিনা ও চাচ্ছিল আরো বেশি কিছু হউক । একসময় দুজন দুজনের কাছে নিজেদেরকে শপে দেয় তারা । নিষিদ্ধ জিনিসের স্বাদ সবসময়ই সেরা । সেদিনের পুলক ছিল তাদের দুজনের কাছে পাগল করা ব্যাপার । বাসায় ফিরে তাহমিনা শাওয়ার নিতে নিতে ভাবছিল ঐ কলিগ আপুর বাইরে চলে যাওয়া কি নাফিসের আয়োজন, নাকি আসলেই তিনি কাজে গিয়েছিলেন । পরক্ষনেই ভাবে যেভাবেই হউক নাফিস কে সে কিছু সময় নিজের করে পেয়েছে, এটাই আসল ব্যাপার । শাওয়ার নিতে নিতেই একটা গান রেকর্ড করল সে নাফিসের জন্য-
কাঁদালে তুমি মোরে ভালোবাসারই ঘায়ে-
নিবিড় বেদনাতে পুলক লাগে গায়ে ।।
তোমার অভিসারে
যাব অগম-পারে
চলিতে পথে পথে বাজুক ব্যথা পায়ে ।।

এভাবে একসময় তারা হয়ে উঠল একে অন্যের রুটিন । স্বামী সংসার পুত্র, স্ত্রী পুত্র কণ্যা - কোন কিছুই আর তাদেরকে আটকে রাখতে পারলোনা পুরোনো অভ্যাসে । তারই ধারাবাহিকতায় নাফিস কিছুদিন হল ঘর ছেড়ে বের হয়ে এসেছে । সে লুনাকে জানিয়ে দিয়েছে ডিভোর্স দিবে । তাহমিনা ডিভোর্স দিল কি দিলোনা এই নিয়ে অবশ্য তার স্বামীর তেমন কোন বিকার নেই । সংসার থাকা না থাকায় তার মনে হয় কিছুই যায় আসেনা । সে যখন জানালো আর সংসার করবেনা , তার স্বামীর রিপ্লাই ছিল কাবিনের টাকা কিন্তু দিতে পারবোনা !

তোমার কফি ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে ! ইব্রাহিমের কথায় সম্বিত ফিরে পায় তাহমিনা । অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও কফিতে চুমুক দেয় । ইব্রাহিম শীতল চোখে তাহমিনার দিকে তাকায় । কথা শুরু করে আবার । ঠান্ডা কিন্তু জমাট গলায় ।
হায়াত মউতের মালিক আল্লাহ । আমি কারো জীবন নিয়ে নেয়ার কাজে নাই । কিন্তু চিন্তা করোতো, তোমার ছেলে স্কুলে যাবার পথে একটা একসিডেন্টে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেল । এমন সন্তান নিয়ে নতুন প্রেমিকের সাথে জীবন কতটুকু সুখের হবে সময় করে ভেবে দেইখো , প্রেমিক আর প্রেম সব নাই হয়ে যেতে পারে, কারন মন চাইলেই মালদ্বীপ কিংবা মরিশ্বাসে ছুটি কাটাতে যেতে পারবানা । কিংবা , আচ্ছা কিংবা বাদ দাও । সন্তান যদি তোমার জামাই এর কাছে থাকে তাহলেত আর ওরে কিছু করে আমার লাভ নাই ।
আবার ধরো উল্টাটা । তোমার নতুন প্রেমিকের ই ধরো হাত পা কিছু একটা নাই হয়ে গেল । পঙ্গু প্রেমিক, চাকরি নাই, সাথে ধরো তোমার চাকরি টাও চলে গেল! একটানে বলে যাওয়া কথার মাঝে ইব্রাহিম হঠাত হাহাহা করে হেসে উঠল । তারপর বলল, অবশ্য জীবন কে যদি গল্প উপন্যাস ভাব, সিনেমা ভাব, তাহলে ভিন্ন কথা । আমাকে আমার মত থাকতে দাও, সিনেমার গান হিসেবেই সুন্দর । বাস্তব দুনিয়াই সবাইকে নিয়েই থাকতে হয় ।

গলা শুকিয়ে গেছে তাহমিনার । কফিটা হাতে নিল সে একটা চুমুক দেয়ার জন্য । এমন সময় ইব্রাহিম বলল, আমার কথা শেষ। তুমি বাসায় যাও, ছেলে তোমার জন্য অপেক্ষা করে আছে । বাপ কখন আসবে তার তো ঠিক ঠিকানা নাই । উহ, আরেকটা কথা, আমি কেমন সেটাত তুমি নিশ্চয়ই জানো, না হলে নাফিস থেকে আরেকটু জেনে নিও । আর দিনশেষে তোমার জীবনের হিসেবত তোমার ই ।
চুমুক না দিয়েই কফিটা নামিয়ে রেখে উঠে দাঁড়াল তাহমিনা । ওয়েটার এর রেখে যাওয়া ডোনাট ব্রাউনির পার্সেল টা তার দিকে এগিয়ে দিল ইব্রাহিম । তাহমিনা বলে বসল এটা কার জন্য । ইব্রাহিম বলল তোমার ছেলের জন্য, বইলো ওর এক মামা কিনে দিছে । এটা আমি নিয়ে যাবোনা বলার সাথে সাথে ইব্রাহিম বলল, তুমি এটা বাসায় না নিলে আমি ধরে নিব তুমি আমার কথা রাখবানা। আমাকে তাহলে আমার মত করে হিসেব মেলাতে হবে । হায়াত মউতের মালিক আল্লাহ , এর বাইরে বাকি হিসেব নিকেশ আমাকে করতে হবে । তোমার ছেলেটা অনেক সুন্দর, ওরে বইলো নীল ফ্রেমের চশমায় ওরে অনেক সুন্দর লাগে । ওহ, আরেকটা কথা, ছেলের সাইকেলের চাকায় হাওয়া কমে গেছে, একটু হাওয়া দেয়ার ব্যবস্থা কইরো, না হলে পায়ে অনেক প্রেশার পরে প্যাডেল ঘুরাতে । এই কথা শোনার পর তাহমিনার দম বন্ধ হবার উপক্রম হয় । ছোখ বড় বড় করে সে ইব্রাহিমের দিকে তাকিয়ে থাকে । ইব্রাহিমের হাত থেকে পার্সেল টা নিয়ে সে হাঁটা শুরু করে ।

কফি শপ থেকে বের হয়ে কিছুদূর আগাতেই তাহমিনা একটা ময়লার বিন দেখতে পায় । পার্সেল টা সেখানে ফেলে দিতে গিয়ে ও সে থামকে দাঁড়ায় । পার্সেলটা হাতে নিয়ে সিএনজি খুজতে থাকে সে ।

পেছনে একবারও ফিরে দেখেনি সে । তাকালে দেখত ইব্রাহিম কফি শপ থেকে বের হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে । বিন এ পার্সেল টা না ফেলে যখন তাহমিনা সামনে এগিয়ে গেল ইব্রাহিম ও উল্টো দিকে হাঁটা শুরু করল ।

আয়েশ করে একটা সিগারেট ধরাল সে.................লুনা কে ফোন দিবে কিনা ভাবছে । মায়ের হাতে রান্না করা গরুর মাংসের ঝোল দিয়ে ভাত খেতে ইচ্ছে করছে এখন তার । ।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আধুনিকতা দিন দিন আমাদের জীবনটা
জটিল থেকে জটিলতর করছে ।

......................................................
অসীমের ঠিকানায় পথচলা
আর কতদুর যাবে ???

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৮

শ।মসীর বলেছেন: সেটাই.............জীবন মানেই এখন জটিলতা !!!

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: গল্পের পরের পার্ট আছে নাকি দাদা? সুন্দর লিখেছেন...

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৯

শ।মসীর বলেছেন: না এখানেই শেষ । । তাহমিনা বুঝে গেছে কি করতে হবে তাকে !!!

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৭

বিজন রয় বলেছেন: বাহ! আবার আপনাকে দেখছি। প্রথম পেজে বাম পাশে নামের তালিকা বা ছবির তালিকার সবার উপরে। আগে যেমন দেখতাম!!

সবসময় এভাবে দেখতে চাই।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২১

শ।মসীর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই । চেস্টা করব :)

৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১১

রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব গল্প লিখেছেন।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২২

শ।মসীর বলেছেন: বাস্তবে আসলে সংসারটাই কেবল ভেংগে যায় !!!

৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৭

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: সব ভাঙন হয়ত জোড়া লাগে না, ইব্রাহিমের মতন নিয়ামকও থাকে না সবার জীবনে।

আবার কিছু ভাঙন জরুরী, জীবনে ভালো থাকার জন্য মানসিক শান্তি দরকার।

দারুণ লিখেছেন গল্প।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.