নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

শ।মসীর

At present I am living in the consequences of a choice made earlier বেঁচে আছি এটাই আনন্দের.........।। ইচছা হয় সারাদিন ঘুরি পথ থেকে পথে ঘোরা হয়না..............................।।

শ।মসীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন্দিরের নিরাপত্তা !

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২



একটা মাইকের সাউন্ড মেশিন, মাইক্রোফোন, আইপিএস, দেয়াল ঘড়ি, কয়েকটা ফ্যান, দান বাক্স - দেশের বেশিরভাগ মসজিদের এই হচ্ছে মোটামুটি সম্বল । সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে সংখ্যাগুরু দাবি করা মুসলমানের মসজিদের এই জিনিসগুলাও নিরাপদ না । দেশে মোটামুটি শতভাগ মসজিদের মূল অংশ আপনি নামাজের টাইম ছাড়া খোলা পাবেন না । বেশিরভাগ মসজিদের বারান্দাও অনেক সময় বন্ধ থাকে । এমন ও হয়েছে বারান্দার দরজাও বন্ধ থাকায় অজু করতে পারিনি দেরীতে নামাজ পড়তে যাবার কারনে ।

মসজিদ কেন বন্ধ থাকবে ! এই জিনিস টা আমার খুব গায়ে লাগত । আমি অনেক জায়গায় জিজ্ঞেস ও করেছি । উত্তর ছিল এই রকম- জিনিস পত্র চুরি হয়ে যায়, বিশেষ করে মাইকের মেশিনারি, দান বাক্সের টাকা । আরেকটি কারন ছিল অনেক লোক মসজিদে ঘুমায় ! এই ব্যাপারটা আমার কাছে গ্রহনযোগ্য মনে হয়নি, মসজিদে ঘুমালে তোমার সমস্যা কি ! তবে বেশিরভাগ মুয়াজ্জিনের ভাষ্যমতে নিরাপত্তাই প্রধান কারন এই নামাজ শেষে মূল অংশ তালাবদ্ধ করে রাখার, আর রাতে পুরো মসজিদ ই ।

প্রতিটা মসজিদেই মোটামুটি মুয়াজ্জিন কিংবা ইমামের কামড়া ও থাকে মসজিদ লাগোয়া, ফলে নিরাপত্তার একটা প্রাথমিক দায়িত্বও তাদের উপর বর্তায় । আর হাল জমানায় শহরের বেশির ভাগ মসজিদে মোটামুটি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়ে গেছে অলরেডি ।

স্বাভাবিক ভাবেই আমরা ভাবতে পারি মসজিদে কেন এত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার দরকার হবে !!!
বাস্তবতা হচ্ছে, এটা লাগবেই এই জমানায় , আর কোন উপায় নেই । ধর্ম কে ব্যবহার করে অধর্ম করার লোকের সংখ্যাও ক্রমাগত বেড়ে চলেছে , কাজেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই ।

দূর্গাপূজার সময় কাছে আসতে থাকায় এখন মন্দিরে মূর্তি ভাংগার নিউজ প্রায়ই দেখা যায় । আমার আইডিয়া নেই সারা বছর মন্দিরগুলাতে নিরাপত্তার কি ব্যবস্থা থাকে । যেহেতু আমাদের প্রশাসন যন্ত্র এর যথাযথ নিরাপত্তা দিতে পারছেনা , আমার মনে হয় মূর্তি ভাংগার সুযোগ যাতে কেউ না পায় , মন্দির কমিটি গুলোর সেই ব্যবস্থা আরো আগে থেকেই নেয়া দরকার ছিল ।

নিরাপত্তা হুমকি যেহেতু আছে, কাজেই মিনিমাম পাহাড়ার ব্যবস্থা না রাখাটা খুবই দৃষ্টিকটু । ভাল মানের সিসি ক্যামেরাও এখন মোটামুটি স্বল্প খরচেই লাগানো যায় । পূজার সময় এগিয়ে আসছে, এখনি এই ব্যবস্থাগুলো নেয়া দরকার । আমার মসজিদে কেউ হামলা করলে আমাদের যেমন তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় মনের মাঝে, মন্দির এ আঘাত করলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ও তার চেয়ে কোন অংশে কম হবার কোন কারন নেই । আপনারা দয়া করে বেসিক নিরাপত্তা টুকু নিশ্চিত করুন ।


দেশের বেশিরভাগ মানুষই ধর্ম কেন্দ্রীক কোন ধরনের ঝামেলা পছন্দ না করলেও, ধর্ম ইস্যুতে মানুষকে উসকে দেয়া সবচেয়ে সোজা । এই অধর্মের কাজ করার জন্য ও নানা রকম ততপরতা চলছে চারদিকে ।

নিরাপত্তার প্রাথমিক দায়িত্বটুকু যার যার প্রয়োজনে নিজেকেই নিতে হবে । প্রথমিক আক্রমন ঠেকানোর ব্যবস্থা থাকলে , হামলাকারীদের সাহস ও কমে যাবে এই কাজ করতে আসতে ।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৯

Salina Alam বলেছেন: সহমত

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৯

Salina Alam বলেছেন: সহমত

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৯

Salina Alam বলেছেন: সহমত

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১৬

শায়মা বলেছেন: ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে মানুষ ভাবতে হবে। যার যার মসজিদ মন্দির তাদেরই থাকুক। এত হিংস্রতা কেনো??? :(

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কবে যে আমরা প্রকৃত মানুষ হবো।

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৬

শিশির খান ১৪ বলেছেন: আমিও বুঝি না বেটারা মসজিদের দরজায় তালা মাইরা রাখে কেন খালি মসজিদ না মসজিদের পাশে বাথরুমেও তালা মাইরা রাখে যাতে কেউ না ঢুকতে পারে নামাজের পনেরো মিনিট আগে খুলে। আগে ক্লান্ত পথিক মসজিদের ভিতর বিশ্রাম নিতো এখন মসজিদ কমিটি সেই সুযোগ দিতে রাজি না।খালি মসজিদ কমিটিতে থাকলেই সোয়াব পাওয়া যায় না মুসুল্লিদের সেবাও করা লাগে। আমাদের আসলে মন মানসিকতা খারাপ কোটি টাকার বি এম ডাব্লিউ গাড়ির পিছনে রিকশা ওয়ালা ভুলে লাগায় দিলে মালিক ড্রাইভার দুই জন এক সাথে মারতে আসে। নতুন নতুন টাকা হইলে যা হয় এই বার পূজার আগে মহল্লায় মহল্লায় এলাকার মুরুব্বিদের পাহারা বসাইতে হবে।

৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৩৬

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: আমি ছোটবেলায় দেখেছি (৮০/৯০ এর দশকে) মসজিদ গুলো ছিলো মোটামুটি অবারিত। আমি মুসাফির, এই পরিচয়ে মসজিদে অপরিচিত লোকজনকে রাত্রি যাপনের জন্য আশ্রয় দেয়া হতো । ঈমাম, মুয়াজ্জিমও এমন লোকদের খুব খাতির যত্ন করে মসজিদে থাকতে দিতেন। অনেক সহৃদয় ব্যক্তি মুসাফির ব্যক্তির জন্য আহারের ব্যবস্থাও করতেন। তখন বিভিন্ন কারণে গ্রাম থেকে ঢাকায় আগত ব্যক্তিদের অনেকেই মুসাফির হিসেবে মসজিদে রাত কাটাতেন। এটা একটি সামাজিক নিয়ম ছিল। গ্রামে এমন বিপদগ্রস্ত অপরিচিত মুসাফির লোকজনকে কাচারিঘর বা বাংলাঘরে রাত যাপনের জন্য আশ্রয় দেয়া হতো। কোথায় হারালো আমাদের সেই পরোপকারী সামাজিক কালচার !

৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভাইসাহেব, জামাত তুলে তলে সর্বনাশ করছে।
জামাত চায় ক্ষমতা।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০০

শ।মসীর বলেছেন: তাদের এই কাজ কাম ত নতুন কিছুনা !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.