![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তাহরির স্কয়ার আন্দোলন ছিল , উদ্দাম তারুণ্যের স্বৈরাচার বিরোধী একনায়কের বিরুদ্ধে রাজনৈতক পট পরিবর্তনের সংগ্রাম । অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট সাম্রাজ্যবাদী অর্থনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ । দুটারই আন্দোলনকারির ওপর শাসক শ্রেনীর তরফ থেকে নির্যাতন নেমে এসেছে , মানুষকে জীবন ,রক্ত দিয়ে মুল্য পরিশোধ করতে হয়েছে ।
প্রজন্ম চত্তর আন্দোলন মুলত যুদ্ধাপরাধের রায়ের বিরুদ্ধে অপরাধীদের সর্ব্বচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য সরব প্রতিবাদ। ব্লগার ও অন লাইন একটিভিস্টদের অদলীয় আন্দলোন কিনতু চলমান শাষক শ্রেনীর সসমর্থন পুস্ট ।
প্রজন্ম চত্তর এর আন্দোলন কারিদের দাবি তারা মুক্তি যুদ্ধের চেতনা ধারন , বহন , অনুশীলন ও লালন করে । তারা স্বাধীনতা উত্তর কালের কলঙ্ক মোচনে বদ্ধ পরিকর , মুক্তি যুদ্ধের আসমাপ্তকে সমাপ্ত করতে নিবেদিত ,প্রতিশ্রুতি বদ্ধ ।
এই আন্দলোনের সাথে শাসক ও শোষক শ্রেণীর সহমর্মিতা প্রকাশের কারন এই নয় যে তারা এই আন্দলোনের মুল চেতনার সাথে ঐক্যমত পোষন করে । আইনের যে ফাঁক ফোকর দিয়ে আসামী কাদের মোল্লা বেড়িয়ে গিয়েছিল এবং তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের আপীল করার সুযোগ না থাকার আইনটি ও অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে এরাই প্রণয়ন করেছিল । প্রশ্ন থেকে যায় , এই ফাঁক ফোকর রেখে কার জন্য ,কি উদ্দেশ্যে , কার স্বার্থে এই আইন প্রনীত হয়েছিল ? জনমতের চাপে নিজেদের মুখরক্ষার জন্য আজ আইনের সংশোধনী আসছে , তাকে সাধুবাদ । কিনতু তারা তাদের এই কৃত কর্মের জন্য অনুশোচনা থেকে জাতির কাছে দুঃখ প্রকাশ বা ক্ষমা প্রার্থনা করেছে কি ? করে নাই । সচেতন মহল ও প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যাচ্ছেন।
মনে রাখতে হবে, চলমান আন্দোলন কে সমর্থনদান , ক্ষমতাসীন শোষক শ্রেণির ও ক্ষমতার বলয়ের বাইরের যুযধমান রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে কার অর্ন্তদ্বন্ধ। অপরাধীদের সর্বচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার অদলীয় আন্দলোন থেকে বর্তমান শাসক শ্রণী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, বিরোধী ও বৈরি রাজনৈতিক দল গুলোকে কোন ঠাসা করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলায় সচেস্ট । প্রজন্ম চত্তর আন্দোলনকে সার্ব্জনীন রুপদান করুন , জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলুন , আন্দোলনকে দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যাবহার হতে দেবেন না ।
প্রজন্ম চত্তর এর আন্দোলন নিশ্চয়ই কারো রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের আন্দোলন না ।
ধন্যবাদ সকলকে ।
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫
খুব সাধারন একজন বলেছেন: সময় যত গড়ায় প্রোপাগান্ডা ততই সূক্ষ্ণ হয়।
পোস্টদাতার উদ্দেশে বলছি না, সার্বজনীন কথা,
*যারা প্রথমদিন লিখেছিল রাজাকারের মুক্তি চাই/জয় রাজাকার/আমি রাজাকার/জামাত জিন্দাবাদ/কাদের মোল্লার জয় ইত্যাদি,
*তারাই দ্বিতীয়দিন লিখেছিল আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলনে নামা বাংলাদেশের সব স্তরের মানুষেরা বেশ্যা, আমরা গাঞ্জুট্টি, নাস্তিক, রেপিস্ট, ভাড়াটে, জুসের বোতল লোভী,
*তৃতীয় দিন লিখেছিল, তারাও বিচার চায়, কিন্তু...
*তারাই চর্তুথ দিন লিখেছিল আমরা ফ্যাসিস্ট,
*পঞ্চমদিন লিখেছিল আমরা আর কয়দিন থাকব- একদিন রাজপথ ছেড়ে দিতে হবে,
*এরপর লিখেছিল আমরা কোটাবাজ (মুক্তিযুদ্ধার সন্তানের কোটা!), সাগর রুনী হত্যা, পদ্মা সেতু, কুইক রেন্টাল,
*সপ্তম দিন আর আমাদের বিরুদ্ধে কিছু বলে না, আওমী দলে থাকা রাজাকার ও ছাত্রলীগের বদনাম,
*এরপর দাড়ি টুপি ও মসজিদের অপমান ও আলেম সমাজ (আসলে শিবির)এর মিছিলে হামলা, সেন্টিমেন্ট নিয়ে টানাটানি, অথচ লক্ষ লক্ষ প্র্যাকটিসিং মুসলিম এই বাংলাদেশের আন্দোলনে জড়িত।
*নবম দিনে বলে, এই আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে যাবে, লীগও এই আন্দোলন চায় না, আওয়ামীলীগ করলেই কি যুদ্ধাপরাধ থেকে মুক্তি?
*দশম দিনে হুমকি দেয়, শাহবাগ আন্দোলন সফল তো হবেই না, বরং প্রশাসন ও অন্যান্য জায়গায় এটা হবে, সেটা হবে, শিবির সব মেরে ফেলবে (আন্দোলন শুরুর আগেরদিন যা বলেছিল, সে কথাতে ফিরে গেছে, 'গৃহযুদ্ধ' হুমকি দিলে ফ্যাসিস্ট হয় না, যারা গৃহযুদ্ধ রুখতে চায় তারা ফ্যাসিস্ট!)
আর আজকে একাদশ দিনে তারাই বলছে,
আর শাহবাগ যামু না। শাহবাগ বদলায়া গেছে।
আর তখন মধ্যম মানের শিল্পকর্ম ১০/২০/৩০ খান ফেববু শেয়ার পায়। অথচ বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার বিপ্লব এ অংশ নেয়া সব স্তরের বাংলাদেশের নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করা চমৎকার পোস্টগুলো একটাও প্লাস পায় না, একটাও প্রিয়তে পায় না, একটাও ফেসবুক শেয়ার বা মন্তব্য পায় না।
আর দলে দলে সেখানে সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছে 'বাংলার' 'সাধারণ' জনতা যারা শাবাগ যেতে যেতে ক্লান্ত। ভোটের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
বাহ,
আমরা আমাদের র্ধৈয্য দেখে অবাক হচ্ছি।
আমরা এতই বদলে গেছি যে ফুল দিয়ে যুদ্ধ করতে চাই, ফুল বাঁচাতে নয়।
----------------------------
হায়রে, পরিস্থিতি ও প্রচারণা দেখে মনে হয় জামাত শিবিরও কি এইরকম মনে করে?
* ইয়াহিয়া খান- তিরিশ লাখ মারব, বাকিরা আমাদের হাতেই খাবে।
*নিয়াজী- নিচু দেশের নিচু মানুষ। এগুলো মানুষ না,বানর আর মুরগি।
*পাক আর্মির ক্যাপ্টেন- আমরা যাকে খুশি যে কোন কারণে মারতে পারি। এজন্য কাউকে গোণায় ধরি না।
*ভুট্টো, ১৯৭২- আমার সোনার বাংলা আবার আমার হবে।
-------------------------------
কারণ বাংলাদেশের জন্ম যারা চায়নি এবং সেইসব অপরাধীকে যারা টিকাতে চায় তারা একই কথা বলে-
১৯৭১ সালে জামাত ছিল না। গঠন হইসে আশি সালের পর।
২. শিবির বা কোন ছাত্র সঙ্গঠন একাত্তর সালে ছিল না।
৩. একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধা নামে বহুত ডাকাত আর রেপিস্ট ছিল। তারা অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াত। লুট করত আর ক্যাম্প করে মেয়ে মানুষ নাচাত।
৪. শিবির জামাতের পক্ষের সঙ্গঠন নয়।
৫. ছাত্রীসংস্থার সাথে জামাতের কোন সম্পর্ক নেই-
৬. এজিদ একজন ন্যায়বিচারক শাসক। তিনি এই দেশে আসলে আমরা সবাই তার হাতে বায়াত হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা তুলে দিতাম।
৭. শহীদ বুদ্ধিজীবীর যে ছবি দেয়া হয়। চোখ বাধা ইটপাটকেলের ভিতর পড়ে থাকা অর্ধনগ্ন লাশ, সেগুলো আসলে একাত্তর সালে গণহত্যার শিকার জামাতে ইসলামীর সদস্য।
৮. শিবির, 'একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার'
৯. স্বাধীনতা এনেছি, স্বাধীনতা রক্ষা করব। -মুজাহিদ।
১০. মুজিব ক্ষমা করেছেন। সবাইকে সাধারণ ক্ষমা করেছে। (মিথ্যা কথা এটাও)
১১. বাংলাদেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নাই।
১২. আমি ক্ষমতায় আসলে কুরআনের আইনে তাদের শাসন করব। তাদের হাত সাক্ষ্য দিবে। পা সাক্ষ্য দিবে। -কা. মো.
১৩. বাঙালি বলতে কোন জাতি নেই।-গোলাম আজম।
১৪. এই যুদ্ধে পরাজয় হলে পূর্ব পাকিস্তানের একজন জামায়াত সমর্থকেরও আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।- গোলাম আজম।
----------------
একাত্তরে কোন ব্যক্তি রাজাকারি করুক আর না করুক, জামাতি সঙ্গঠন সাঙ্গঠনিকভাবেই রাজাকারি করেছে।
এটা ছিল তাদের প্রতিষ্ঠাতা আবুল মিয়ার নির্দেশ। আবুল জামাতি (জামাতিদের পিতা) একাত্তরেও মিডিয়াতে রাজাকারির নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান থেকে-
*সেই নির্দেশ গোআ, ম.র.নিজামী, আআ মুজাহিদ, ওরা পালন করেছে মাত্র।
*সেই নির্দেশ সারা বাংলার রেজাকার, আল বদর, আল শামস, শান্তি কমিটি পালন করেছে মাত্র।
*সেই নির্দেশ বর্তমান জামাত পালন করছে মাত্র।
*সেই নির্দেশ পালনের জন্যই আজো শিবির বলে, 'একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেক বার।'
*সেই নির্দেশ পালন করেই জামাতিরা সব সত্যিকে অস্বীকার করে। একাত্তরকে অস্বীকার করে।
*সেই নির্দেশ পালন করেই এখন প্রোপাগান্ডা চালায়।
*সেই নির্দেশ পালন করেই বাংলাদেশের মানুষকে শত্রু বানিয়ে গৃহযুদ্ধ ঘোষণা করে।
তাই আজকের দিনের জামাত-শিবির সমর্থকদের মধ্যে,
গোলাম আজমের,
বর্তমানের শিবিরের এবং
রাজাকারদের মধ্যে কোন তফাত নেই
জামাতের গোড়ায় দোষ,
জামাতের নীতিতে দোষ,
তাই ব্যক্তি পর্যায়ে জামাত নিষিদ্ধ করতে হবে। যারা জামাতের সাথে যুক্ত তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি বিধায় স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে ব্যক্তিগত পর্যায়ে জামাত ও তার সমস্ত নীতিগত সমর্থক ও তাদের সব ধরনের প্রাতিষ্ঠানিকতা নিষিদ্ধ করতে হবে।
এই কর্মীদের লিস্ট জামাতের কাছেই রয়েছে। যারা দেখেশুনে এবং বুঝেও এমন অপপ্রচার ও অপশক্তির সমর্থন করতে পারে তাদের নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখা সম্ভব নয়।
৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: তাহরির স্কোয়ারের আন্দোলন সর্বোত্তম আন্দোলন, অকুপাই ওয়ালস্ট্রিট শ্রেয়তর আর শাহবাগ আন্দোলন নিকৃষ্ট - এইটা লেইখা তাবিজ বানাইয়া গলায় ঝুলাইয়া রাখ টাকলু - কাজে দিব।
৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৪৬
বাংলার হাসান বলেছেন: রজন্ম চত্তর এর আন্দোলন নিশ্চয়ই কারো রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের আন্দোলন না ।
৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫৮
মতিউর রহমান চরিয়া বলেছেন: "অপরাধীদের সর্বচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার অদলীয় আন্দলোন থেকে বর্তমান শাসক শ্রণী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, বিরোধী ও বৈরি রাজনৈতিক দল গুলোকে কোন ঠাসা করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলায় সচেস্ট।"
-খুবই সঠিক মন্তব্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
নায়করাজ বলেছেন: অপরাধীদের সর্বচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার অদলীয় আন্দলোন থেকে বর্তমান শাসক শ্রণী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, বিরোধী ও বৈরি রাজনৈতিক দল গুলোকে কোন ঠাসা করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলায় সচেস্ট ।
...............................................................................
পুরাই সহমত। যে কোন আন্দোলন কারো বিপক্ষে এবং কারো পক্ষে যায়। এটাই বাস্তবতা।
তবে আন্দোলনকারীরা সতর্ক বলেই এখনও এটার রাজনীতিকরণ হয় নি।