![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি।
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি-
তাঁর করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিলো
তাঁর পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিলো”। আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
আমরা যারা ৭১ তরুণ ছিলাম তারা পাকিস্থানী হানাদারদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারন করেছিলাম বাঙ্গালী জাতি সত্তার স্বাধীকারের প্রশ্নে ,স্বাধীনতার প্রশ্নে । পাকিস্থানী উপনিবেশিক শাসনের নিগড় থেকে মুক্তির জন্য । এই ভুখন্ডের সংখা গরিষঠ মানুষ বাঙ্গালী ও মুসলামান। আমাদের এই ভুখন্ডে বিভিন্ন জাতি সত্তার বসবাস আছে , বসবাস আছে বিভিন্ন ধর্ম ,বর্ণ ও গোত্রের মানুষদের । তাদের সাথে আমরা আমাদের পূর্বপুরুষরা শান্তি পুর্ণ সহবস্থান করেই জীবন কাটিয়েছেন ।
১৯৭১ সালে পাকিস্থানী বর্বর হানাদার ও তাদের তাবেদার সহযোগি জামাত , রাজাকার , আল-বদর রা বাংলা ভাষাভাষী মুসলমান হওয়া সত্তেও এদেশের বাঙ্গালী মুসলমান,হিন্দু, খৃস্টান , বৌদ্ধ ও বিভিন্ন উপজাতি নিধনের মহৎসবে মেতে ঊঠেছিল। লাখ লাখ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে , ধর্ষিত হয়েছিল অসংখ মা বোন । যাদের সত্যিকারের তথ্য ভিত্তিক সংখা আমরা জানিনা । কায়েমি স্বার্থবাদীরা এই শহীদ ও ধর্ষিত মা বোনের তালিকা প্রনয়ন করে নাই । আমরাও কোন সফল উদ্যোগ নিতে পারি নাই ।
নির্যাতিত মা বোন ও অসংখ শহীদ কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীল সখের নাস্তিক ছিলেন না । তারা দর্মপ্রাণ ছিলেন, তারা বাঙ্গলী ছিলেন এবং স্বীয় ধর্মীয় বিশ্বাসে অবিচিল ছিলেন ।
একটা কথা মনে করিয়ে দেই , ‘জয় বাংলা’ধ্বনির বীপরিতে জামাত ,রাজাকার ,আল-বদরদের পাল্টা শ্লোগান “জয় বাংলা জয় হিন্দ , লুঙ্গি ধুয়ে ধুতি পিন্দ” এর মত প্রতিক্রিয়াশীল শ্লোগান আমাদের ও আমাদের পুর্ব পুরুষদের বিভ্রান্ত করতে পারে নাই।
আজ যে প্রতিক্রিয়াশীল সখের নাস্তিকরা মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট করছেন সেটা এ দেশের মানুষের কাছে গ্রহন যোগ্য নয় । প্রতিক্রিয়াশীল সখের নাস্তিকদের পদক্ষেপ ও উপস্থিতি প্রজন্ম চত্তরের আন্দোলনকে জনবিছিন্ন করবে , তাদের মুক্তমণা হবার নামে ধর্মীয় বিশ্বাস কে কটুক্তি , আন্দোলন এর সহায়ক না হয়ে বরং অর্ন্তঘাত বলেই বিবেচিত হবে।
এই জমিনে Natural self defensive mechanism আছে । এখানে ধর্মীয় অনুভুতিকে অসম্মান করে কোন আন্দলোন ,সংগ্রাম তার ইস্পিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারে না ।
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১
নিষ্কর্মা বলেছেন: সত্য কথা বলেছেন। এই জমিনে ধর্মে ব্যবহার করেও কেউ জিততে পারে নাই, একাত্তর তার একটা উদাহরন। আশা করি একমত হবেন।
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০১
zahir বলেছেন: "এই জমিনে ধর্মে ব্যবহার করেও কেউ জিততে পারে নাই, একাত্তর তার একটা উদাহরন"
ধীরে ধীরে আপনাদের ব্লগ সাইটে লেখার হাত পাকাচ্ছি জনাব নিষ্কর্মা
৭১ এ ধর্মের অপব্যাক্ষা দিয়ে পাকিস্থানী হানাদার ও তাদের এ দেশীয় দোসর এই ভুমির ধর্ম প্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত বা বিরোধী করতে পারে নাই । ভাগ্য সহায় , তারা আমাদের নাস্তিক বলে প্রচার বা প্রমান করে নাই । যদি তারা প্রমান করতে পারত ৭১ এর লড়াইটা নাস্তিকদের বিরুদ্ধে , এক জন মুক্তি যোদ্ধা হয়ে দ্বার্থ্যহীন কন্ঠে বলতে পারি , আমরা এই ভুমের ১% লোকের ও সমর্থন পেতাম না আর আমাদের ও এই দেশে ফিরে আসা হত না। ধর্মের অপব্যাক্ষা, ধর্মীয় অনুতিতে আঘাত , ধর্ম ও তার প্রচারকদের অসম্মান করে কোন আন্দোলনকেই সফল করতে পারবেন না । এই উপমহাদেশে , ১৯১৭ সাল থেকে কমুউনিস্ট পার্টির বান্ধাত্য সেই সাক্ষ্য দেয় / ৭১ নাস্তিকদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল না , ছিল বাঙ্গালী ধর্ম্প্রাণ মানুষের ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭
বাংলার হাসান বলেছেন: এই জমিনে Natural self defensive mechanism আছে । এখানে ধর্মীয় অনুভুতিকে অসম্মান করে কোন আন্দলোন ,সংগ্রাম তার ইস্পিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারে না । একমত