নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনটা যেভাবেই চলুক

ব্লগের এই পাতায় আমারই রাজত্ব

খুলনার শের

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র। শেষ বর্ষ। খুলনার ছেলে। গুন বলতে কোন কিছু আমার মধ্যে আছে কিনা জানিনা। অনেকের মধ্যে অনেক গুন থাকে। কারো গানের গলা ভাল, কারো কবিতা লেখার হাত ভাল, কেউ আবার অনেক মেধাবী। আমার মধ্যে এমন কোন গুন নেই। বন্ধু মহলে জোকার নামে স্বীকৃতি আছে। কারন আমি প্রায় সব ব্যাপারে কেয়ারলেস একটা ভাব দেখাই স্পেশিয়ালি বন্ধুদের সামনে। অনেকে আবার অলস ও বলে। ভালই লাগে শুনতে। কারন এইচ এস সি পর্যন্ত এত ভাল ভাল কথা শুনেছি যে এই স্বাদ পরিবর্তন টা উপভোগই করি।

খুলনার শের › বিস্তারিত পোস্টঃ

একাত্তরের কালরাত

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩১

আজকের রাতের মতই ছিল সেই রাত।

নিশ্চুপ, ভাপসা গরম, চাঁদনী রাতের মিষ্টি আলো।

তবে সেই রাত ছিল ভয়ঙ্কর এক রাত। কারন-

সে রাতে মানুষ জানতোনা আর কিছুক্ষন পরে কি ঘটতে যাচ্ছে।

এক অজানা আশঙ্কার মাঝে ছিল সবাই।

শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাই সত্যি হল।

মাঝ রাতে শকুনের মত ঝাঁপিয়ে পড়ল হানাদারেরা।

চারিদিকে আগুনের ফুল্কি, তপ্ত বুলেটে ঝাঁঝরা হল

কত নিষ্পাপ শরীর।

কত শিশু মায়ের কোলেই চলে গেল মৃত্যুর দুয়ারে

এই সুন্দর পৃথিবীর রূপ আস্বাদন করার আগেই।

কত পলায়নপর মানুষ প্রান হারাল বেয়নেটের খোঁচায় খোঁচায়।

বাদ যায়নি কোলের শিশুও।

কাউকে ছাড়েনি সেদিন হানাদার পাকিরা।

সাথে ছিল এদেশীয় কিছু বেজন্মা কুকুর।

রক্তের বন্যায় ভেসে গিয়েছিল তিলোত্তমা ঢাকা,

শিল্পনগরী চট্টগ্রাম, আম্রসুবাসিত রাজশাহী,

চায়ের শহর সিলেট, রূপসা তীরের খুলনা।

কেয়ামত এর স্বাদ আস্বাদন করেছিল সেদিন নিষ্পাপ বাঙ্গালী।

পাকি হানাদারেরা যেন ছিল সাক্ষাত শয়তান-

রক্তের নেশায় পরিপূর্ণ হয়ে তারা ঘটাল গনহত্যা।

তারা চেয়েছিল এ মাটি, নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল জনগণকে বুলেটের শক্তিতে।



বীর বাঙ্গালী সময় নেয়নি ঘুরে দারাবার জন্য।

স্বজন হারানোর শোক পরিনত করে শক্তিতে

দুর্বার আঘাতে তারা ছিন্ন ভিন্ন করতে থাকে দখলকারীদের।

এক লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার বর্গ কিলোমিটার এর পবিত্র ভুমিকে

বাঁচানোর জন্য, স্বাধীনতার জন্য নিজ প্রানকে তুচ্ছ করে

ঝাঁপিয়ে পড়েছিল যুদ্ধে। ওই পাকি হানাদারের বিপক্ষে।

এ যেন অসম লড়াই ডেভিড আর গলিয়াথ এর।

তবে কিংবদন্তীর ডেভিড এর মতই

বীরত্ব পূর্ণ ভাবে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতা

মাত্র নয় মাসে, ত্রিশ লক্ষ তাজা প্রান আর

দুই লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে।

আজ সেই পচিশে মার্চ, সেই কালো রাত।

আজ আমরা স্বাধীন, যদিও হাজারো সমস্যার মাঝে কাটে দিন

কারন আজও দেশের বিপক্ষে লড়ছে একাত্তরের সেই পাকি

শুয়োরদের বীর্যে জন্মানো স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি।

তবুও আজ রাতে আমরা এই ভেবে নিশ্চিন্ত আমরা স্বাধীন।

কারন বাংলাদেশিদের হাতে সেই

পাকি প্রেতাত্মাদের পরাজয় সুনিশ্চিত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.