![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র। শেষ বর্ষ। খুলনার ছেলে। গুন বলতে কোন কিছু আমার মধ্যে আছে কিনা জানিনা। অনেকের মধ্যে অনেক গুন থাকে। কারো গানের গলা ভাল, কারো কবিতা লেখার হাত ভাল, কেউ আবার অনেক মেধাবী। আমার মধ্যে এমন কোন গুন নেই। বন্ধু মহলে জোকার নামে স্বীকৃতি আছে। কারন আমি প্রায় সব ব্যাপারে কেয়ারলেস একটা ভাব দেখাই স্পেশিয়ালি বন্ধুদের সামনে। অনেকে আবার অলস ও বলে। ভালই লাগে শুনতে। কারন এইচ এস সি পর্যন্ত এত ভাল ভাল কথা শুনেছি যে এই স্বাদ পরিবর্তন টা উপভোগই করি।
বালকঃ কি হে এই রুপে প্রবল বেগে ডাকিতেছিলি কেন?
বালিকাঃ তোর সহিত কিছু কথা বলিবার ছিল... তাই... তোকে বিরক্ত করিয়াছি ইহা ঘাট হইয়াছে ক্ষমা করিস।
বালকঃ না না, ইহাতে কোন সমস্যা হয়নাই তোর কি বলার আছে বল।
বালিকাঃ আমায় এড়িয়ে চলিতেছিস কেন? আমি তোর কি বিগড়াইয়াছি?
বালকঃ ইহা আমি বলিতে চাইনা। থাক না এসব।
বালিকাঃ যদি আমায় সত্যই বন্ধু হিসেবে ভাবিস তবে অনুগ্রহ করিয়া বল।
বালকঃ উদাহরন দিয়েই বলি, হনুমান সীতার জন্য রাবণকে ক্যাদালো। পড়ে সীতা রাবনের সহিত যখ মাখামাখি করে তখন বাঁদর সেনা রা তো হাসিবেই। বাঁদর সেনারা যখন হাসিবে তখন অবশ্যই হনুমানের ফাটিবে। তাহা ছাড়া হনুমান যদি সীতার জন্য নিজের লেজে আগুন দিয়ে জ্বলতে পারে তখন রাবনের সাথে হাস্যকেলি দেখিয়া নির্ঘাত ঠিক থাকিতে পারিবেনা। তখন দ্বিতীয় লঙ্কা কান্ড ঘটানোর আগেই কি হনুমানের উচিৎ না সরিয়া যাওয়া।
বালিকাঃ তা ঠিক। কিন্তু সীতা রাবনের সহিতবাক্যালাপ করিতেছে অন্য কোন উদ্দেশ্যে। তুই সীতাকে কি চরিত্রবান মনে করিস না।
বালক দ্বিধায় পড়িয়া গেল। এতকাল যাহাকে সরস্বতী রুপে কল্পনা করিয়াছে তাহার সম্পর্কে বাজে কিছু ভাবিতে তো মন চাহে না। কিন্তু বাস্তব যে ভিন্ন।
বালকঃ সীতা অবশ্যই চরিত্রবান। (অতি উৎসাহের সঙ্গে)
বালিকাঃ তবে তোকে বলিব আমায় দূরে ঠেলিয়া দিসনা।
বালকঃ না, অতি অবশ্যই আর তোকে দূরে ঠেলিবনা।
বালিকাঃ আজ আবার তোর ভাষ্যমতে রাবনের সহিত বাক্যালাপ আছে। আজ বিষয়টা পরিপূর্ণ করিব।
বালকঃ ঠিক আছে যা।
বালক সরে এল। দ্বিতীয় বালেক (বালক বালিকার মিশ্রন) এর সাথে বালিকার কথোপকথন।
বালিকাঃ কেমন আছ?
বালেকঃ ভাল।
বালিকাঃ ওই গণ্ডমূর্খের সহিত আলাপ হইল। আমার উপরে রাগ করিয়াছিল। আমায় খুব বিশ্বাস করে। তাই উল্টাপাল্টা বুঝ দিতেই পোষ মানিয়া গেল।
বালেকঃ তুমি পারো বটে।
এইভাবে কথা বলিতে বলিতে দুজনে হাসিতে লাগিল।
বালক বোঝেনা যে তা না যে সে ক্রিড়ানক। তাই তো কঠিন থাকা অবস্থায়ও মনকে প্রবোধ দিয়ে বালিকার মুখে হাসি ফোটাইবার জন্য প্রতিজ্ঞা করিয়াছে বন্ধুত্বে আর আচড় দিবেনা। তবে একটা কথা বালকের মনে খচ খচ করিতেছে ঠিকই,
' জানিনা কি খেলা আরম্ভ করিয়াছিস তুই। কেনই বা খেলিতেছিস? কেনই বা আমায় জড়াচ্ছিস তোর এই খেলায়। তোর কথা ফেলিতে পারিবনা। তাই তোর খেলায় থাকলাম। নিজের যতটুকু ক্ষতি হবার তা তো হয়েছেই। বাকি আর কিইবা আছে। তবে কষ্ট এমন ভাবে দিসনা যেন অসহ্য হইয়া ওঠে। তোকে ভাল দেখিবার জন্য আমি সব কিছু করার জন্য প্রস্তুত। তবে একসময় হারিয়ে যাব তোর হইতে। খুজিয়া পাবিনা। তবে তোর দুঃখ দেখিলে আবার ফিরিয়া আসিব। তোর পাশে থাকিতে, তোর কষ্ট দূর করিতে।'
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
খুলনার শের বলেছেন: বালকের কপালটাই মন্দ। বালক বালিকাকে ভালবাসে। বালিকা তাকে ব্যাবহার করতে চায়। বালক এই দুশটচক্র থেকে ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করছে। তার জন্য দোয়া করবেন।
২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫২
তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন:
হায় বোকা বালক !
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৮
খুলনার শের বলেছেন: বালক বোকা হতে বাধ্য। কি আর করার প্রার্থনা করুন এই বালকের জন্য। সে সত্যই আছে।
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫০
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালো লিখেছেন@!!!
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
খুলনার শের বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন: হায় বালক!!!!!!!