নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনটা যেভাবেই চলুক

ব্লগের এই পাতায় আমারই রাজত্ব

খুলনার শের

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র। শেষ বর্ষ। খুলনার ছেলে। গুন বলতে কোন কিছু আমার মধ্যে আছে কিনা জানিনা। অনেকের মধ্যে অনেক গুন থাকে। কারো গানের গলা ভাল, কারো কবিতা লেখার হাত ভাল, কেউ আবার অনেক মেধাবী। আমার মধ্যে এমন কোন গুন নেই। বন্ধু মহলে জোকার নামে স্বীকৃতি আছে। কারন আমি প্রায় সব ব্যাপারে কেয়ারলেস একটা ভাব দেখাই স্পেশিয়ালি বন্ধুদের সামনে। অনেকে আবার অলস ও বলে। ভালই লাগে শুনতে। কারন এইচ এস সি পর্যন্ত এত ভাল ভাল কথা শুনেছি যে এই স্বাদ পরিবর্তন টা উপভোগই করি।

খুলনার শের › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিঃশব্দ

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮

বন্ধুত্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পরস্পরকে বোঝা। তবে বুঝতে পারারও প্যারা আছে এক প্রকার। বন্ধু মনে মনে কি ভাবছে একসময় তাও ধরে ফেলা যায়। এমনই দুই বন্ধু ছিল মঞ্জয় আর কামনা। কামনাকে মনে মনে খুবই ভালবাসে মঞ্জয় কিন্তু বন্ধুত্বের কারনে কিছু বলে ওঠা হয়না।



কামনা একসময় ভালবাসত মদন কে। ছাড়াছাড়ি হবার পরও ছাড়াছাড়ি হয়নাই এমন ব্যাপারটা। মদনের চোখে মঞ্জয় আবার শত্রু। মঞ্জয়ও মদনকে সেভাবেই দেখে। কামনা জানে ব্যাপারটা তবু তার অসীম সরলতা (!) অথবা কুটিলতা (মেয়েদের মন ভগবান ও বোঝেনা আমি কোন ছার) এর কারনে মদনের সাথে তার কথা হয় নিয়মিত। মঞ্জয় একসময় সরে যায় কামনার কাছ থেকে এই কারনে।



কামনা এখানেও বাগড়া দেয় মঞ্জয়ের কাছে তাই কোন এক অমোঘ টানে কামনা কে ফেরাতে পারেনা মঞ্জয় (মঞ্জয় আসলেই আবুল মার্কা পোলা, নিজের পুঙ্গি বাজলেও মুখে হাসি বজায় রেখে চলা এক আজব চরিত্র।) তবে সব খেলার শেষ আছে। মঞ্জয় বুঝতে পারল তার বন্ধুর মনের মধ্যে মদন শিকড় গজিয়ে আছে। তাই দ্বিধা দ্বন্দ্ব ত্যাগ করে নিজের খেলা আরম্ভ করল সে। কামনাকে বলল চল মন্দিরে যাই। অন্যদিকে বন্ধুদের পাঠাল মদনকে আনতে। মন্দিরে দুজনকেই উপস্থিত করে মদনের হাতে কামনার সিঁথিতে সিঁদুর রাঙ্গিয়ে দিল। বন্ধুর মন বুঝে বন্ধুর বিক্ষিপ্ত মনকে স্থির করতে নিঃশব্দে এর চেয়ে ভাল আর কিইবা করতে পারত মঞ্জয়... তাই করেই ফেলল। আর নিজেকে সঁপে দিল পবিত্র জলের কাছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.