নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান দুনিয়া দুর্বল ছাএ।

সাহনিয়াজ

সমকাল,সমাজ ও রাজনীতি মানুষের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। নিত্যদিনে নিত্যনতুন প্রতিবেশ ও পরিবেশ থেকে যে শিক্ষা গ্রহন করি তা দিয়ে চলমানতার উপযোগী করে তুলি। সমকাল যাপন করি সমাজ কে দেখি আর রাজনীতি কে উপভোগ করি __

সাহনিয়াজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুপি বাতির গনতন্ত্র

১১ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৪৫

কারাগারে আমার কক্ষের জানালার পাশে দেয়াল ঘেষে হেরিকেন বাতিই আমার নিকট প্রতিবেশি।প্রতিদিন শেষ বিকালে এসে রেখে যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত একজন বন্দী।হেরেকেনগুলো জ্বালানো থাকে না।তবে আমাদের সেবক হিসেবে পাশের কক্ষে থাকা কয়েদীদের বলে দিয়ে যাওয়া হয় প্রয়োজনে দ্রুত জ্বালিয়ে দেয়ার জন্য। দুটো হেরিকেন পর দিন এসে নিয়ে যায় একই ব্যক্তি।দীর্ঘদিনে একবারও এগুলো জ্বালানোর প্রয়োজন হয়নি কিংবা সুযোগ হয়নি কারো জ্বালিয়ে দেবার।।কৌতূহলবশে দু একদিন হাতে করে পরখ করে দেখেছি তেল-সলতে-চিমনী সবই ঠিক আছে।পরিস্কার করে রাখা আছে যত্নে ঘষা-মাজা করে। শুধু দেখা হয়নি এগুলো আসনেই জ্বলে কিনা কিংবা জ্বললে স্থায়ীত্বকাল কি।চার্জার লাইট,টেবিল ফ্যান,জরুরী চার্জার নাইট এমনকি মোবাইল ফোনের আকৃতির রেডিও মাথার দিকে টর্চ লাইট প্রায় ভুলিয়ে দিয়েছিলো হেরিকেন বাতির অস্তিত্ব।খুব ক্রান্তিকালীন এক সময়ে অন্ধকার খুঁজে পেতে হয়রান হয়ে সলতের সাথে প্রাপ্তি এলো এবং হেরিকেন গুলো নিজেদের জ্বালিয়ে এবং জ্বলে আমাদেরকে নিক্ষেপ আধার থেকে বের করে নিয়ে এলো।সে ঘটনা পরে আসছি।

কাচের চিমনীওয়ালা সলতে যখন তেল থাকা সত্ত্বেও আলো জ্বালাতে পারে না তখন তো ক্রমশ তা বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক যেমন বর্তমানে বাংলাদেশের চারপাশের অবস্থাদৃষ্টে যা দেখছি তাতে অহিংসতা,ধৈর্য্য, সংযম দায়িত্বশীলতা তথা গনতন্ত্রের কথা প্রায় ভুলতে বসেছি আমরা।জাতীয় সংসদে দায়মুক্তি দিয়ে কুইকরেন্টাল এর চুরি মহোৎসব,শেয়ার মার্কেটের আওয়ামীলীগের ঐতিহ্যবাহী সর্বনাশা লুটপাট,রেলের কালো বিড়াল ধরার প্রতিশ্রুতিতে নিজেদেরই কালো বিড়াল হওয়া,হলমার্ক,ডেসটিনি মিলিয়ে দেশের মহা সর্বনাশ হলেও শাসক দলের ডেসটিনি বোধহয় নির্ধারিত হয়ে গেছে।এছাড়া পদ্মা সেতুতে আন্তজার্তিক পরিমন্ডলে চোরের উপাধি দেশ হয়েও চোর কে জাতীয় খেতাব দেওয়া হলো দেশপ্রমিক বলে। কি নির্মম রসিকতা জাতির সংঙ্গে।দ্রব্যমূল্য বাড়লে কথা বলা যাবে না,জ্বালানী তেল,গ্যাস বিদুৎ পরিবহন ভাড়া ইচ্ছেমত যখন তখন বাড়বে প্রতিবাদ করা যাবে না। মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার নির্যাতন,মহিলা রাজনীতিকদের পর্যন্ত রিমান্ডে নেবে টু শব্দ করা যাবে না।আইন শৃংঙ্খলার বাহিনীর অস্ত্রের নিশানা ঠিক রাখার নিয়মিত প্রাকটিস হচ্ছে সহজ ভাষায় চানমারী।এখন প্রতিদিনই চানমারী প্রাকটিস হচ্ছে অস্ত্র এবং গুলী কেনার অর্থের যোগানদাত এদেশের সাধারন প্রতিবাদী মানুষের উপর।মানুষ মরছে,ফিকে হচ্ছে মানবতা,পোস্টমর্টেম হচ্ছে কোন ভাষায় বিবৃতি দিলে বিরোধী দলের উপর দাঁয় চাপানো যায় তার।সকল কু কীর্তি ভুলিয়ে দেবার জন্য নতুন সালসা আবিষ্কার করছে মহাজোট সরকার।সে সালসা নাম হচ্ছে যুদ্ধপরাধী বিচার বাধাগ্রস্থ করা জনজীবনে যে কোন দুর্ভোগ নিয়ে কথা বললে রাস্তায় নামলে এই আত্মবাক্য বাজিয়ে দেওয়া হয়।ভাবখানা এমন যে রাস্তায় পাশে অবস্থিত কোন বাসা বাড়িতে স্বামী স্ত্রী কিংবা কিশোর কিশোরী ভাই বোন উচ্চ কন্ঠে ঝগড়া করে তবুও সরকারি প্রেসনোট নাশকতার পরিকল্পনা হচ্ছিলো।ঠাকুরমার ঝুলি গল্প আমরা অনেকেই কম বেশী জানি সে সকল গল্পে বাস্তবতাকে ভুলিয়ে দেওয়া হয় কিছু সময়ের জন্য হলেও। ২০০৮ সালের পর থেকে ঠাকুরমার ঝুড়ির খপ্পরে পড়েছে দেশ,তার ঝুলির গল্প শেষ হয় না।সকল গল্পের মুল সুর হচ্ছে একমাএ তিনি এবং তার সাংঙ্গ পাঙ্গরা হচ্ছেন গনতন্ত্র পূজারী,দেশদরদী, তথা দেশপ্রেমিক,দেশে ড ইউনুস, ব্যারিস্টার রফিকুল হক,মাওলানা আল্লামা শফী থেকে মাহমুদুর রহমান,ড আনু মোহাম্মদরা পর্যন্ত সবাই গনতন্ত্র ধ্বংসের ষড়যন্ত্র কারী দেশবিরোধী তথা দেশদ্রোহী। এ বি এম মুসা ,ফরহাদ মাজার,মতিউর রহমান চৌধুরী,আসিফ নজরুল, পিয়াস করিম,নরুল কবির,মিনা ফারাহ হচ্ছেন নিশিকুটুম্ব কিংবা সিদকাটা। সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম ওলামা মাশায়েখ রা হচ্ছেন ধর্মবন্ধু কিংবা ইসলামের অপব্যাখ্যাকারী । আর নাশকতার সকল ফসলের কৃষক হচ্ছে বিএনপি - জামায়েত। রাস্তায় হঠাৎ গাড়ির চাকা সশব্দে ফেটে গেলে সরকার বলতে চায় বিএনপি জামায়েত ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে । এমনকি কোথাও বজ্রপাত হলে বিরোধীদের তান্ডব বলে চালিয়ে দোয়ার অপচেষ্টার করা হয়। এমনও হতে পারে কোথাও বিদুৎ ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরক ঘটলে সেই নাশকতার মামলা সকল আসামি ও পরিকল্পনাকারী বিরোধী দলের আলোচিত নেতারা।মনে হয় ভিন দেশের কোন এলিয়েন এখন দেশ শাসন করছে।তারা মানুষের মনের ভাষা দূরে থাক মুখের ভাষাই বুঝে না।ফলে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো এই গ্রহ রাখতে চায় ধূর্ততার দখলে।

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জাতীয় সংসদে প্রশ্নোওর পর্বে বিরোধী দল বিহীন স্ব জাতীয়দের জিজ্ঞাসায় বর্তমান সরকারের চার বছরে দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড যে পরিসংখ্যান দিয়েছেন তা রীতিমত আতংকের।১০ ফেব্রুয়ারি সংসদের ষোলতম অধিবেশনে প্রদও সেই পরিসংখ্যানে ২০০৯-২০১২ পর্যন্ত মোট পুলিশ রেকর্ডকৃত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা ১৬ হাজার ২৮৫ জন। শুধুমাএ ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় খুন হয়েছেন এই সময় ১ হাজার ৮৮ জন।পুলিশ রেকর্ড এর বাইরের হত্যাকাণ্ড যদি বাদই দেই তাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এই সরকার আমলে ২০১২ পর্যন্ত খুন হয়েছে প্রতিদিন গড়ে ১২ জনের কাছাকাছি । কি ভয়ংকর আইন শৃংঙ্খলার পরিস্থিতি সরকারি স্বীকৃতি অনুযায়ী। এ সঙ্গে ২০১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত যে নিষ্ঠুর জীবন নাশের প্রতিযোগিতা সেটা যোগ করলে মনে হয় না আমরা সুদান,আইভরি কোস্ট,ইরাক আফগানিস্তান থেকে পেছনে পরে থাকবো।এর চেয়েও গনতন্ত্র সংবাদ আছে।১০ ফেব্রুয়ারি সংসদ অধিবেশনে ম খা আলমগির এদেশে খুনের পরিসংখ্যান প্রদানে সরকারের মধ্যে ব্যাপক তোলপার সৃষ্টি হয় যাতে তাৎক্ষনিক দুজন পুলিশ কর্মকর্তার চাকরি খুন হয়।সংসদ বিষয়ক কাজের দায়িত্ব প্রাপ্ত দুজন পুলিশ কর্মকর্তা কে ও এস ডি করা হয়।যদিও ঐ দু পুলিশ কর্মকর্তা লিখিতভাবে পুলিশ সদর দপ্তরে জানান মাঠ ভিওিক দাপ্তরিক পরিসংখ্যান ভিওিতে তারা রিসার্সটি তৈরী করেছেন।কিন্তু কে শুনে কার কথা। ঐ বেটাদের কত বড় সাহস যে সত্য হলেই বলে দিবে রাজা ন্যাংটা হাটছে।একই সংবাদ প্রকাশিত তথ্য জানা যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহেব ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ এ সংসদ সচিবালয়ে একটি চাহিদা পএ দিয়ে ঐ খুনের তথ্য সম্পর্কিত বক্তব্য প্রত্যাহার অনুরোধ করেছে এই অজুহাতে যে তার উপস্থিত তথ্যে ভুল রয়েছে।৪ঠা মার্চ ২০১৩ সংসদ সচিবালয়ে পাল্টা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয় সংসদে একবার কোন তথ্য উপস্থাপিত হলে তা প্রত্যাহার কোন সুযোগ নেই।সংসদ সচিবালয় কয়েকজন দায়িত্বশীল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এহেন চিঠি কে অসংসদীয় চর্চা বলে উল্লেখ করেছেন ।বিদ্বান দু:সাহসী কর্মে অভিজ্ঞ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জ্ঞান গরিমা সম্পর্কে আমার কোন সন্দেহ নেই।তবে অন্যায় করে লজ্জিত না হওয়া আর এক অন্যায় সক্রেটিস এর এই কথাটা বোধহয় উনি ভুলে গেছেন আর তাছাড়া বহু শতাব্দী পূর্বের একজন মনীষীর কথা হয়তো ওনাদের কাছে এখন প্রযোজ্য নয় কারন এখন বাংলাদেশ সরকার তো ডিজিটাল । সেখানে অ্যানালগ অমিয় বানীর যৌক্তিকতা কোথায় ।সর্বকালের গুনান্বিত কর্মতৎপর ম খা আলমগির সাহেবদের মত লোকদের বেলায় অতীত তে ধূসর বর্তমান হচ্ছে রৌদ্রকরোজ্জল । অতীতে পাকিস্তানী ইয়াহিয়া সরকারের একান্ত অনুগত হয়ে জেলার সরকারি বড় দায়িত্ব পালনে রাজাকার আল বদর আল সামস বাহিনীর সংগঠিত হতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে অখন্ড পাকিস্তান রক্ষায় কত তৎপর ছিলেন।হানাদার বাহিনী নির্মম গনহত্যা সহায়ক ভূমিকা পালনে করেছেন বিংশ শতাব্দীতে । আবার রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর খাল কাটা কর্মসূচীতে বিপুল উদ্দীপনায় ঝাপিয়ে পড়েছিলেন কোদাল ঝুড়ি নিয়ে ।পি এইচ ডি ডিগ্রীটা অর্জন করলেন জিয়াউর রহমান এর খালকাটা কর্মসূচীর নানাবিধ সুফল বর্ণনার থিসিস দিয়ে।আর একবিংশ শতাব্দীতে পরিপূর্ন ডিজিটাল হলেন চালাও গুলি-উড়াও খুলি দমন করা হবে কঠোর হস্তে বলে বলে আড়াই মাসে ২৬০ এর অধিক মানুষ খুনের প্ররোচক হিসেবে।

১৯৮৮ সালে এরশাদ আমলে বরিশাল জেলা কারাগারে বসে জেলার প্রশাসন কে চিঠি লিখলেন বরিশালের প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা নুরুল ইসলাম।যার ভাষ্য ছিলো অনেকটা এরকম ‘ জনাব জেলা প্রশাসক’ আপনার অনেক ক্ষমতা,আপনার ক্ষমতার মর্মে হয়ে আমরা আজ কারাগারে। কিন্তু এটা যে একটা আপ্তবাক্য তার প্রমান হলো জেলখানার অজ্রস মশা । এ প্রানীকূল আপনার ক্ষমতাকে থোরাই কেয়ার করে। জীবন অতিষ্ঠ করে ফেলেছে আমাদের।তাই বলছি অবিলম্বে এই মশককূল দমনের ক্ষমতা প্রমান করে আমাদের একটু শান্তি দিন ।

ফলও হয়েছিলো সেই চিঠির । পরদিন ডি সি সাহেব পৌরসভার মশক নিধন বাহিনী পাঠিয়ে জেলখানায় সেই নিদিষ্ট ওয়ার্ড প্রায় মশামুক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ।যে কারনে সক্রেটিস শ্রদ্ধার স্মরন করা ‘অন্যায় করে লজ্জিত না হওয়া আর এক অন্যায়’ যদিও ডিজিটাল ডিকশনারী খুঁজে দেখার সময় এসেছে যে অন্যায় করে গর্বিত হওয়া কোন সংজ্ঞায় পরবে।পূণ্য না পাপী ? বর্বরতা নিষ্ঠুরতা মা বিবেক এর গলা টিপে নগদ প্রাপ্তিতে উল্লাসিত হওয়া ? যা এখন প্রতিনিয়ত চলছে ।

লেজে - গোবরে করে ফেলা প্রবাদটির মানে যদি হয় দিশাহীন হওয়া তাহলে বর্তমান গোয়াড় সরকার কে কি বলবো ।দিশাহীন নাকি বিদিশাহীন ? বিরোধী রাজনীতিকদের অবরুদ্ধ করে নাটক করে এরা বলে দুষ্কৃতকারী।সরকারের অপ-শাসন যন্ত্রনায় প্রতিবাদী মিছিলে বেশুমার গুলি,সাউন্ড গ্রেনেড টিয়ার গ্যাস মেরে পিটিয়ে গ্রেপ্তার করে বলে এরা দুর্বৃত্ত । বলে সকল অঘটন হুকুমের আসামি হবে বিরোধী দলের নেএী । বিএনপি জামায়েত নেতা কর্মীদের নামে হাজার হাজার মামলা আসামী আনুমানিক তিন লক্ষাধিক এরা ক্ষমতাসীন দলের মতে বিশ্বাসী হলে রাজাকার কে মূহুর্তে বানায় সংঙ্গী ।সকালে হয় গলাগলি বিকালে হয় গালাগালি। আর পরদিন করে গোলাগুলি।এরা হাক্কানী ওলামা মাশায়েখর তাদের মতে চললে বলে এরা ধর্মভীরু ইসলাম প্রিয়।অমতে গেলে বলে মৌলবাদী,ধর্মান্ধ মতের সাথে মিলে ধর্ম অবমাননাকারী ব্লগারদের বলে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের শহীদ আবার মতের অমিল হলে বলে,ধরো এরা সাইবার ক্রিমিনাল । রাজাকাররা আওয়ামীলীগ ক্ষমতার দীর্ঘস্থায়ী একমত হলে বলে এরা মুক্তিযোদ্ধা আর অমিল হলে এরাই যুদ্ধাপরাধী। এরা চোরকে বলে দেশপ্রেমিক আর দেশপ্রেমিক কে রক্তচোষা ও সুদখোর ।এরা জাতীয় স্বার্থে শান্তির পক্ষে কাজ করার আগ্রহী সম্মানিত ব্যক্তিকে বলে ‘মুই কার খালু রে’ ।তাই সব দেখে শুনে মনে হয় লেজে গোবরে শুধু নয় বর্তমান সরকার লেজ থেকে শরীরে সম্মুখ এবং পৃষ্টদেশে নাকে মুখে চোখে মাথায় পর্যন্ত গোবর মেখে বসে আছে যদি এই গোবর সার এ তরতর করে আবার ক্ষমতায় চারাগাছ জন্মায় বেড়ে ওঠে লতা পাতা তরু গুল্ম সেই আশায়। কি আশায় বাঁধে খেলাঘর ক্ষমতার বালু চরে।

কথা শুরু করেছিলাম কারাগারে বিদুৎ চলে গেলে হেরেকিন জ্বালানো প্রসঙ্গে।একদিন হঠাৎ জোর ঘূর্নি বাতাস শুরু হওয়ায় অন্ধকার নেমে আসলো।আচমকা ঘুম ভাঙ্গা আধার রাতে হাতের কাছে না কিছু খোজে পাচ্ছি ,না সাহায্যের জন্য কাউকে ডেকে কোন সাড়া পাচ্ছি।প্রবল বাতাসে কারারক্ষীকে ডাকার কন্ঠস্বর বাতাসে উড়িয়ে যাচ্ছে।মশারী নামক বিছানার খাচা সরিয়ে বের হলাম ।কিন্তু কোথায় চার্জার লাইট কোথায় রেডিও লাইট কিছুই হাতের কাছে পেলাম না।অন্ধকার হাতড়াতে হাতড়াতে এক সময় পড়ার টেবিলে উপর লাইটার পেলাম।বারবার জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে বাতাসের ধাক্কা সামলানোর জন্য।খুব সর্তকভাবে জানালার কাছে গিয়ে শিকের ফাঁক দিয়ে হাত বের করে স্মৃতি নির্ধারিত স্থানে হেরিকেন খোজা শুরু করলাম।হাতটা কখনো প্রসারিত কখনো সংকুচিত করে ঘুরিয়ে বার কয়েক এদিক ওদিক করতেই হেরেকিন এর অস্তিত্ব পেলাম। এখন ওটাকে ভেতরে এনে জ্বালাতে পারলে হলো।শিকের ফাঁক দিয়ে আনতেই হবে।কারন কক্ষের মূল দরজা বাইরে থেকে প্রতি রাতেই তালাবদ্ধ থাকে।বেশ কিছু শারীরিক এবং হাতের কসরত করে ওটাকে যখন একাংশ প্রায় কক্ষের ভেতরে নিয়ে এসেছি তখনই জানালার দু পাশে শিকের চাপে কিংবা অন্য কোন ধাক্কায় চিমনীটা চুরচুর হয়ে ভেংঙ্গে গেলো। ভাগ্য ভালো চিমনীর ফাকে হাত বা শরীরে কোন অংশ কাটে নি ।এখন শুধু আমি হেরিকেন,সলতে,লাইটার আর জ্বালানোর পর আলো বাড়ানো কমানো চাবিটা ওটার নিম্নাংশ বিদ্যমান । যা হোক লাইটার দিয়ে চিমনী বিহীন হেরিকেন এর সলতে জ্বালালাম দোতাল আড়াল করে যাতে বাতাসে নিভে না যায়।তখনই দেখলাম হেরিকেন অভিজাত্য এবং নিরাপওার ব্যারিকেড হিসেবে থাকা চিমনী ভেংঙ্গে ওটা এখন ন্যাংটা হয়ে গেছে।হেরিকেন রুপ নিয়েছে কুপি বাতিতে।ঘুম ভাংঙ্গা বিষণ্ন শরীরে মনটাও বিষন্ন হয়ে গেলো।কেন যেন মনে হলো বাংলাদেশের বর্তমান গনতন্ত্র আর হেরিকেন এর চিমনী ভাংঙ্গা কুপি বাতি কি একাকার হয়ে গেলো।
[ সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল - কুপি বাতির গনতন্ত্র ,পৃষ্টা ২১-২৫]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.