কারা শিক্ষিত?

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৩০

আমাদের সমাজের শিক্ষিত কারা, তা জানতে হলে আগে আমাদের জানতে হবে শিক্ষিত শব্দটার
মানে কি। বর্তমান যুগে আমাদের বেশিরভাগ লোকের ধারনা এই যে, যারা একটি নিদিষ্ট ক্লাস
পর্যন্ত পড়ালেখা করছে, অর্থাৎ যাদের
অক্ষর জ্ঞান আছে তাদের শিক্ষিত বলে। কিন্তুু এটি সম্পুর্ন ভুল সংজ্ঞা। উপরোক্ত সংজ্ঞাটি হল
স্বাক্ষরতার সংজ্ঞা। কারন শুধু পড়ালেখার মধ্যে শিক্ষা সীমাবদ্ধ থাকেনা। শিক্ষা গ্রহন শব্দের
অর্থ হলো জ্ঞান অর্জন। জ্ঞান অর্জন ভিন্ন ভিন্ন
ভাবে হতে পারে। নতুন কিছু শিখা মানে হল, নতুন জ্ঞান অর্জন করা। তা হলে শিক্ষিত শব্দের
সংজ্ঞা হল, যারা প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করার পর; সেই জ্ঞানকে আবার
যারা কাজে লাগাতে পারে তাদেরকে শিক্ষিত বলে। অর্থাৎ সব শিক্ষিত
কিছুটা হলেও সাক্ষর, আর সব সাক্ষর শিক্ষিত নয়। যেমন কাজী নজরুল ইসালাম। তিনি বেশী ক্লাস
পযন্ত পড়ে নাই,
কিন্তু তিনি তার অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগাইছেন। তিনি একজন শিক্ষিত এবং এই
ব্যাপারে কারো কনো সন্দেহ নেই৷
বেশিরভাগ বিজ্ঞানী, দার্শনিক, সাহিত্যিক অনেক কম পড়ালেখা করেছেন কিন্তু
তারা শিক্ষিত। আবার অনেক মানুষ আছেন যারা অনেক উচ্চ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন,
কিন্তু তারা সামাজের অপকর্মে লিপ্ত থাকেন। তারা কখনো শিক্ষিত হতে পারে না। একাডেমির
শিক্ষাটা সবই গ্রহন করে। ছোট কালে মুল শিক্ষাটা নির্ভর করে পরিবেশের উপরে।
বাবা মা পারিপার্শিক সব কিছু থেকে ছেলে মেয়ে যা শিখে তা হলো ছোট কালের শিক্ষা। (এর
মদ্ধে 50% নিভর করে মায়ের উপর। "আমাকে একজন
শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটি জাতি উপহার দিব") আর বাকিটা নিভর করে নিজের
ধ্যান ধারনার উপর।
আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা মানুষকে কথায় কথায় অশিক্ষিত বলে গালি দেয়। আমার
মতে যে সব মানুষ এমনটা করে তারা হলো এক নাম্বার সারির অশিক্ষিত। কারন
তারা শিক্ষা অর্জন করে তা কাজে লাগাতে পারেনি।

০ টি +০/-০